Connect with us

ইসলাম

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুন চকবাজারেও, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ফেরদৌস

Published

on

প্রত্যেক বছর রোজার মাসে ঢাকাবাসীর কাছে চকবাজার হয়ে উঠে বাহারি ইফতার সামগ্রীর স্বর্গরাজ্য। তাই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ভিড় জমে চকবাজারে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুন থেকে বাদ যাচ্ছে না চাল, ডাল, আটা, চিনি থেকে শুরু করে সবজি বাজারও। যার চরম প্রভাব পড়েছে ইফতার বাজারে। এছাড়ও ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ আয়োজিত ইফতার বাজার মনিটরিংয়ে একাত্ব প্রকাশ করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।

সোমবার (২৭ মার্চ) চতুর্থ রমজানে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি’ প্রতিপাদ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ ইফতার বাজার পরিদর্শন করেন তিনি।

অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় ও ক্রয় নিশ্চিত না হলে হট লাইন নম্বরের ‘১৬১৫৫’ যোগাযোগের আহ্বান জানান। এছাড়াও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ইফতার বাজার মনিটরিংয়ের আশ্বাস দেন।

তবে এবারের ইফতার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দাম বেড়েছে সকল ইফতার সামগ্রীর। এ অবস্থায় ক্রেতাদের অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া অন্য কোন উপায়ও নেই। গেলো বছর জব্বার মিয়ার স্পেশাল দই বড়া প্রতি ৪ পিস বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায় এবং প্রতি ৮ পিস বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকায়। কিন্তু এ বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৫০ টাকা এবং ৩০০ টাকায়। তবে স্থান এবং মানভেদে প্রতি চার পিস ১০০ টাকা ৮ পিস ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রমজানের আরেক বিশেষ আইটেম শাহী শরবত গত বছর প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া গত বছর যে লাবাং ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এ বছর তা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের ১১০ টাকা লিটার দরের বোরহানি এ বছর ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার ফিরনি এবং জর্দা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

Advertisement

২২০ টাকার মুরগির ঝাল ফ্রাই বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়, ২৫০ টাকার কবুতর ভুনা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, ৬০ টাকার টেংরি কাবাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ১১০ টাকার তন্দুরি কাবাব বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, ৮০০ টাকা কেজির সুতি কাবাব বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়, ১২০ টাকার হাফ গরু এবং মুরগির আচার ১৫০ টাকায়, ৬০ টাকার শাহী পরাটা ৮০ টাকায়, ৪০ টাকার নরমাল পরাটা ৬০ টাকায়, ৮০ টাকা লিটারের খোলা মাঠা ১০০ টাকা, ১৫০ টাকা মূল্যমানের ফালুদা (বড় বাটি) ২০০ টাকায়, ৮০ টাকার মাঝারি বাটি ১০০ টাকায়, ৪০ টাকার দুধ নান ৬০ টাকায়, ২০০ টাকা কেজি দরের জিলাপি ২৪০ টাকা, আড়াই হাজার টাকার ভুনা রাজ হাঁস ৩ হাজার টাকা, ১ হাজার টাকার চিনা হাঁস ১২ শ টাকা, ৮০০ টাকার ভুনা পাতি হাস ১ হাজার টাকা এবং ১০ টাকার টিক্কা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

গেলো বছর ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এ বছর তা ২০০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চকবাজারের একজন ইফতার বিক্রেতা বলেন, ইফতার সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায়, বিক্রেতারদের চাহিদা কম দেখা যায়। এছাড়াও ইফতার পণ্যের দাম শুনে অনেকে চলে যান। তবে এখানে মানুষের অনেক ভীড় থাকার ফলেও অনেকে ইফতার না কিনে চলে যান।

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

ইসলাম

৯ হজ এজেন্সিকে আজকের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ

Published

on

আজকের মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মো. মতিউল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ যাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। আবার আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের বুকিং কম হওয়ায়, বুকিং হার দ্রুত বাড়াতে তাদেরকে তাগিদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে বুকিং হার কম হলেও হজ যাত্রীদের সিডিউল ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, হজ যাত্রার ৮ম দিনে মোট ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন হজ যাত্রীরা৷ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইনসে মোট ৩৬৭১ জন পবিত্র হজ পালন করতে কাবা ঘরের দিকে রওনা দেয়ার কথা আছে৷ এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ভিসা হয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি জনের৷ বাকি আছে এখনও ৪ হাজার ৮০০ জনের ৷ এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে হজ অফিস৷

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে

Published

on

বাংলাদেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল (১০ মে) শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

Published

on

পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালনের নিয়ম।

বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ জিলহজ বা ১৬ জুন (রোববার)।

বাংলাদেশ সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন পর ঈদ উদযাপন করে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হতে পারে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version