Connect with us

আবহাওয়া

আকাশে চাঁদের সঙ্গে আজ দেখা মিলবে পাঁচ গ্রহের

Published

on

চাঁদ, পাঁচ গ্রহ

সৌরজগতের পাঁচ গ্রহ বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, ইউরেনাস ও মঙ্গলগ্রহ এবং পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ আজ (২৮ মার্চ) বাংলাদেশের আকাশে একই সরলরেখায় দেখা যাবে সন্ধ্যা থেকে। এর আগে সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার আকাশেও একই রেখায় দেখে গেছে তাদের, কোথাওবা খালি চোখেই দেখা গেছে এ দৃশ্য। আর এ বিরল দৃশ্যের নাম দেয়া হয়েছে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ বা গ্রহপুঞ্জের কুচকাওয়াজ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পশ্চিম আকাশে পাঁচ গ্রহের সঙ্গে চাঁদকে একই সরলরেখায় দৃশ্য দেখা গেছে । গ্রহের এমন বিরল এক সরলরেখায় আসার দৃশ্য গেলো গ্রীষ্মে দেখা গিয়েছিল, তখন বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতির সাথে শনি গ্রহও ছিল।

সন্ধ্যার পরপরই এ দৃশ্য দেখতে হবে কারণ বুধ ও বৃহস্পতি গ্রহ খুব দ্রুতই দিগন্তে মিলিয়ে যায়। বাংলাদেশেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এ দৃশ্য দেখা যাবে। বাংলাদেশের আকাশে প্রায় রাত নয়টা পর্যন্ত দেখা যাবে শুক্র গ্রহ, যা বাংলাদেশে শুকতারা নামেও পরিচিত।

বাংলাদেশে সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদ একই সরলরেখায় দেখা যাবে। এ দুই গ্রহ প্রায় সূর্যের সাথেই পৃথিবীর দিগন্তরেখায় অস্ত যায়। গ্রহ দেখার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা যেখানে আলো কম, শহুরে কোলাহল নেই এবং দৃশ্যত কোনও বাধা নেই আকাশ দেখতে।

Advertisement

ব্রিটেনের স্কটল্যান্ডে ‘তারা’ দেখতে ভালোবাসেন এমন মানুষ গেলো রাতেই ভিড় জমিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডে খোলামেলা পরিবেশ এবং সুন্দর আকাশের জন্য পরিচিত একটা জায়গায়।

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে জ্যোতির্বিদ, গবেষক এবং সৌরজগত নিয়ে আগ্রহ আছে এমন মানুষেরা গতরাতে এ বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন, অনেকেই আবার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজেদের উচ্ছ্বাস ও বিস্ময়।

অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল ফর স্কটল্যান্ডের প্রফেসর ক্যাথেরিন হেইম্যান্স, এডিনবরার পোর্টোবেও সৈকত থেকে রাতের আকাশ দেখেছেন।

তিনি বলেন, ‌‘রাতের স্বচ্ছ আকাশে এমন গ্রহের প্যারেড দেখার ব্যাপারটা চমকপ্রদ।’

রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোর্তিবিদ জ্যাক ফস্টার বলেছেন, ‘পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে মূলত গ্রহগুলো এবং চাঁদ একটা সরলরেখায় এসেছে। এমনিতে গ্রহগুলো কিন্তু এক রেখায় নেই, বরং তারা সৌরজগতে ছড়িয়ে আছে। যখন তারা অনেক দিন পর পর কাছাকাছি আসে তখন আমরা এভাবে দেখতে পাই।’

Advertisement

ইউরোপের সবচেয়ে গভীর কালো আকাশ দেখা যায় নর্থ ওয়েলসের, অ্যাঙ্গলেসি থেকে। সেখানকার লিন পেনিনসুলার ইনিস এনলি ইউরোপের প্রথম জায়গা হিসেবে আন্তর্জাতিক ডার্ক স্কাই স্যাঙ্কচুয়ারি স্বীকৃতি পেয়েছে।

অ্যাঙ্গলেসির ডার্ক স্কাই অফিসার ড্যানি রবার্টসন বলেন, ‘খানিকটা মেঘ ছিল বটে তবু চোখের জন্য প্রশান্তিময় ছিল নর্থ ওয়েলসের রাতের আকাশ।’

‘আমি আমার বাড়ির পেছনে উঠোন থেকে আমি দারুণ একটা বাঁকা চাঁদ দেখতে পেয়েছি। তার ঠিক ওপরে দেখলাম লাল আভা দেয়া মঙ্গল গ্রহ, সেখান থেকে একটু নিচে দিগন্তের দিকে জ্বলজ্বল করছিল শুক্র গ্রহ,’ বলেন ড্যানি রবার্টসন।

তিনি মনে করেন, ‘আরেকটু স্পষ্ট থাকলে আরও বেশ কটি গ্রহ দেখতে পাওয়া যেত, যেমন ইউরেনাস, এটা দেখতে টেলিস্কোপ লাগবে।’

স্কটল্যান্ডের সীমান্তে হেক্সহ্যামের কিলডার অবজারভেটরি থেকে ড্যান পাই বলেন, ‘গ্রহগুলোর সরলরৈখিক দৃষ্টিকোণ থেকে সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘পুরো রাতজুড়ে এই গ্রহগুলোর দূরত্ব পরিবর্তন হয় এবং চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, আমরাও সূর্যের চারিদিকে আরেকটু ঘুরি এবং অন্য গ্রহগুলোর সূর্যকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ জারি রাখে।’

এই পুরো দৃশ্যকে ‘ব্যালে’ নাচের সাথে তুলনা করেছেন ড্যান পাই, ‘এটা আমাদের জন্য একটা মহাকাশ থিয়েটার এবং আমরা অন্য গ্রহগুলোর ‘ব্যালে নৃত্যে’র সাথে নিজেদের সংযোগ খুঁজে পাই।’

মিজ রবার্টসন একজন নতুন জ্যোতির্বিদ, তিনি মনে করেন, যুক্তরাজ্যের ৯৮ শতাংশ মানুষই দূষিত আকাশের নিচে বাস করে।

‘এটা লজ্জার বিষয় যে আমাদের ছায়াপথ আমরা নিজেরাই দেখতে পারিনা, নিজেদেরই দোষে,’ বলেন তিনি।

যখন আকাশে তাকাই আমরা টরাস, প্লেইডেস ও চাঁদ দেখি। যা গোটা মানবজাতির জন্য একই রকম দেখায়।

Advertisement

তিনি মনে করেন, অন্য অনেক ধরনের দূষণের চেয়ে আকাশের দূষণ তুলনামূলক সহজে পরিস্কার করা যায়।

মিজ রবার্টসন বলেন, ‘আমরা যদি আলো পরিমিত রাখি তাহলে আকাশ আরও গভীর কালো দেখাবে, এভাবে সমাধান হবে।’

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আবহাওয়া

তীব্র ঘূর্ণিঝড় আকারে ২৬ মে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে রেমাল

Published

on

তীব্র ঘূর্ণিঝড় আকারে ঘণ্টায় ১২০ কি.মি. বেগে বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে আঘাত হানতে পারে সাইক্লোন রেমাল। ২৫ মে সন্ধ্যা নাগাদ এর প্রভাব বাংলাদেশ উপকূলে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৪ মে) এক আবহাওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, নিম্নচাপ আকারে রেমাল বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্যানিং উপকূল থেকে ৭৫০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২৫ মে রাত নাগাদ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। এসময়ে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭০ কি.মি.। যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮০ কি.মি. বেগে বৃদ্ধি পেতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ২৬ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড় রেমাল তীব্র ঘূর্ণিঝড় এর গতিবেগ নিয়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

Advertisement

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে আরও জানা যায়, বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রের প্রভাব পড়তে পারে। এর কেন্দ্র সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই মুহুর্তে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্ক সংকেত

Published

on

নিম্নচাপের বর্তমান অবস্থান

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নিম্নচাপটি আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

বাংলাদেশে ১২০ কি.মি. গতিতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

Published

on

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হতে পারে। ২৬ মে নাগাদ ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে এর গতিপথ এর বিষয়ে এখনই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় সর্বশেষ বুলেটিনে বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি বলেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যাঞলের নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ও  পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করছে। আগামী ২৫ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

লঘুচাপের সর্বশেষ অবস্থান

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সংস্থা ইসিএআই এবং এনসিইপি ইঙ্গিত দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে। তবে ভিন্নমত আইমডি, এনসিইউএম এবং আইএমডি এমএমই এর। তাঁরা বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চার করে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে।

Advertisement

একই সঙ্গে তাঁরা আঘাত হানার সময় সম্পর্কে জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ডাটা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৬ মে ঘূর্নিঝড়টির অগ্রভাগ বরিশাল উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এসময়ে এর কেন্দ্রের বাতাসের একটানা গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৯২ কি.মি। যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে সর্বোচ্চ ১১৭ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এর বহির্ভাগে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯১ কি.মি।

প্রসঙ্গত, ‘রেমাল’ একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version