Connect with us

আন্তর্জাতিক

বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণায় উদ্বেগে বাইডেন

Published

on

পারমাণবিক

প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার বিষয়ে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

একইসঙ্গে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের এই বক্তব্যকে ‘বিপজ্জনক’ কথা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বুধবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

টানা ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এই আগ্রাসনের জেরে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর ও এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের বাখমুত শহর দখলে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে রুশ বাহিনী।

এই পরিস্থিতিতে গেলো শনিবার বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে।

Advertisement

নিজের সর্বশেষ এই পদক্ষেপটি পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না বলেও জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। একইসঙ্গে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র স্থাপনের সাথেও তুলনা করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিলেও মস্কো এই অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের কাছে হস্তান্তর করবে না।

এরপর মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এটি বিপজ্জনক ধরনের কথাবার্তা এবং একইসঙ্গে এটি উদ্বেগজনক।’

এএফপি বলছে, রাশিয়ার এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থানান্তরের কোনও চিহ্ন এখনও দেখেননি। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘তারা সেটা (বেলারুশে অস্ত্র স্থানান্তর) এখনও করেনি।’

উল্লেখ্য, বেলারুশ হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি মিত্র দেশ। বেলারুশিয়ান সরকার ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের কট্টর সমর্থক। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বছরজুড়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট পুতিন গত শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি তার কাছে উত্থাপন করেছেন।

পুতিন সেসময় আরও বলেন, ‘এখানেও অস্বাভাবিক কিছু নেই। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে এটি করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ডে তাদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের স্টোরেজ সুবিধার নির্মাণ কাজ শেষ করবে।’

অবশ্য ঠিক কবে নাগাদ অস্ত্রগুলো বেলারুশে স্থানান্তর করা হবে তা ভ্লাদিমির পুতিন উল্লেখ করেননি। তবে এই ঘোষণা বাস্তবে রূপ নিলে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে রাশিয়া।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আন্তর্জাতিক

ইরানি প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে? বাড়ছে গুজবের ডালপালা

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে ঘিরে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। সরকার স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাতে না পারায় খোদ ইরানে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে-প্রেসিডেন্ট রাইসি হয়তোবা আর বেঁচে নেই।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদন অনুযায়ি, দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে।

হেলিকপ্টার  দুর্ঘটনাটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। হেলিকপ্টারটির কী অবস্থা তা পরিষ্কারভাবে বলা হয়নি। আর ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ দ্বারা  কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।

ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফিরেছে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে ছিলেন।

Advertisement

তবে দুর্ঘটনার  কবলে পড়া হেলিকপ্টারে রাইসি ছিলেন কিনা  তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, রাইসি ওই সময় গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে স্থানীয় কয়েকটি ‍সূত্র তার হেলিকপ্টারে থাকার বিষয়টিতে জোর দেয়। বিবিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো ওই হেলিকপ্টারে রাইসির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের প্রভাবশারী গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বোলছে-হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি স্থাপন হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

তবে ইরানের  তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন বোলছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট রাইসির  সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। এমতাবস্থায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে, মাশহাদ শহরে লোকজন জড়ো হয়ে ইবরাহিম রাইসির জন্য প্রার্থনা করছেন।  প্রেসিডেন্ট রাইসির দুর্ঘটনার কবলে পড়ার  বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি।  পাশাপাশি টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

Advertisement

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, দলগুলো হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। হতে পারে দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ ছিল। অথবা এলাকাটিতে নেটওয়ার্ক নাও থাকতে পারে। তাই প্রেসিডেন্ট রাইসির   ভাগ্যে  কী ঘটেছে তা নিয়ে গুজবের ডালপালা ক্রমশ বাড়ছে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেটি জরুরি ভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।

ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইবরাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা মারা গেছেন সে ব্যাপারেও সরকারিভাবে কোনো বিৃবতি দেয়নি প্রেসিডেন্টের দপ্তর।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি।

ইরনার  প্রতিবেদনে বলা হয়,  ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে  হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

Advertisement

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফেরে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে নিরাপদে ফিরেছেন।

ইরনা নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

যে কারণে ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস

Published

on

ব্যবসা ভালো হওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্মীদের ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। সবশেষ অর্থবছরে সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা অর্জন করায় এ ঘোষণা দেয়া হল।

শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে,  চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় ধরনের লাভের দেখা পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সিইও গোহ চুন ফং বলেন, তাঁদের সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাদের এই পরিশ্রমের কারণে মহামারির পরও বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version