উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ : রাষ্ট্রপতি

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শ্রমিকদের শ্রম ও দক্ষতা অপরিহার্য। এ জন্য মালিক-শ্রমিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট কোনো পণ্য বা সেবা খাতের উপর নির্ভরশীল না হয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক গতিধারার সাথে তাল মিলিয়ে শিল্পোৎপাদনে বহুমুখী ধ্যান-ধারণা প্রয়োগ করতে হবে। বললেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

আবদুল হামিদ বলেন, উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

তিনি বলেন, এসব অর্থনেতিক অঞ্চলে একটি  বড় অংশ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ইকোনোমিক জোনে শিল্প স্থাপন করা হলে কর রেয়াতসহ প্রদেয় বিভিন্ন প্রণোদনা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সমভাবে ভোগ করবেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরাধিকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার বিগত এক যুগে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকেই বর্তমানে বাংলাদেশের শিল্পায়নের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগ সহায়ক কর ও শুল্ক কাঠামো নির্ধারণ ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোক্তাবান্ধব ও সৃজনশীল কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের অন্যতম আর্কষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

Recommended For You

Exit mobile version