ঢাকা
সেই আলোচিত বজলু মেম্বারের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বজলুরের বাড়ি বরিশালে। তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক বাচ্চু মিয়া জানান, বজুলরের মরহেদ মর্গে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্রে সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে কারাগারে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে বজুলকে পাঠানো হলে তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি মারা গেছেন।
র্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গেলো বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় র্যাব-১ অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন জানান, চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট ছিলেন বজলু। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং যৌন ব্যবসা পরিচালনার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আদালত বজলুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে বজলু নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ঢাকা
চিকিৎসার খরচ চালাতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার। তার ওপর কয়েক বছর ধরে ভুগছিলেন হার্টের রোগসহ নানা অসুখে। নুন আনতে যেখানে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা, সেখানে বছরের পর বছর চিকিৎসার খরচ চালানোর চাপ আর নিতে পারছিলেন না তিনি। আর্থিক কষ্টের সাথে যোগ হয়েছিল শারীরিক ব্যথা। এসব সহ্য করতে না পেরে অবশেষে নিজের পেটে নিজেই ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন রংপুর থেকে জীবিকার সন্ধানে রাজধানীতে আসা – ৪৫ বছর বয়সী রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন।
রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাগ এলাকায় ভাড়া করা বাসায় মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নিজের পেটে নিজেই ছুরি চালান জয়নাল। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৯টায় মারা যান তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।
নিহতের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, আমার স্বামী রিকশা চালাতেন। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনও কাজই করতে পারতেন না।
তিনি বলেন, আমাদের মা-মেয়ের সামান্য এই টাকায় সংসার চলত। অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলে আমাদের। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাদের নেই। তাই কখনও আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার অনেক সময় পারতাম না।
তিনি আরও জানান, আজ সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারিনি। এই কষ্টে আমার স্বামী নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। পরে আমরা এই অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। পরে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জয়নাল আবেদীন রংপুরের পীরগঞ্জ থানার হাসানপুর গ্রামের মৃত মোজামিয়ার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগের ৩ নম্বর গলির বাসায় ভাড়া থাকতেন।
ঢাকা
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪
ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর এলাকায় গ্যাস সিলেন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন নুরুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএসের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২১) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ঢাকার ধামরাই থেকে দগ্ধ অবস্থায় চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে নুরুল ইসলামের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, সোহাগ হোসেনের ৩৮ শতাংশ ও নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। এরমধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে, দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লিকেজ থেকে তিন কক্ষের ফ্ল্যাটটিতে গ্যাস জমে ছিল। ভোরের দিকে রান্না করতে উঠে আগুন জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে তিনটি কক্ষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ধামরাই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবীর ঢাকা গণমাধ্যমে বলেন, আগুনে দগ্ধ চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এএম/
ঢাকা
এলিফ্যান্ট রোডে নিজ ঘর থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আমিনুর ইসলাম (২৪) নামে এক শিক্ষার্থী।
নিহত আমিনুর ইসলাম আসাদ গেট এলাকার বিসিআই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা সিভিল বিভাগে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি তিনি রাইড শেয়ারিং (পাঠাও) চালাতেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ওই এলাকার মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল মুন্সি।
তিনি বলেন, এলিফ্যান্ট রোড মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন আমিনুর।
কামাল মুন্সি জানান, ‘আমিনুর বারান্দার রুমে থাকতেন। রাতে খাবার খেয়ে তার রুমে ঘুমাতে যান। সেখানে মধ্যরাতে সবার অগোচরে ফ্যান ঝুলানো কাঠের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
এসআই আরও বলেন, মৃতের পরিবার থেকে তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
নিহতের সৎ ভাই মাইনুল ইসলাম জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে আমিনুর তার রুমে ঘুমাতে যান। আড়াইটার দিকে তার রুমে গলায় ফাঁস দেয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে কী কারণে আমিনুর আত্মহত্যা করেছেন, সে ব্যাপারে কিছুই জানতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, নিহত আমিনুর কুড়িগ্রাম জেলার ওলিপুর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের মো. শামীমের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন