Connect with us

বাংলাদেশ

সমবায়কে গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

Published

on

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ। সমবায়কে তিনি উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সমবায় সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা ছিল গভীর এবং ব্যাপক। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন সমবায়ের শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। বলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

আজ ৬ নভেম্বর ‘জাতীয় সমবায় দিবস’। এ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭২ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সমবায় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে- এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে। এ সব সমবায় সমিতি শেয়ার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজিগঠন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নসহ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে নিয়েছিলেন বহুমুখী পরিকল্পনা, দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক নতুন ফর্মুলা। তারই উদ্ভাবিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন দর্শন বাস্তবে রূপ দিতে তিনি সমবায়ের অন্তনির্হিত শক্তিকে পুরোমাত্রায় ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায় একটি কার্যকরী পদ্ধতি। কোভিড-১৯ এর কারণে সারাবিশ্ব বর্তমানে এক কঠিন সময় পার করছে। সমবায় পদ্ধতির পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা ও মূল্যবোধের চর্চা বর্তমান সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখতে পারে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ বছর জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের জন্মদিন আজ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

আজ (২১ মে)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির জন্মদিন। ১৯৮০ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন তারুণ্যের শক্তিকে সংঘবদ্ধ করা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকের সন্তান ববি আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করছে। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ং বাংলা’র মাধ্যমে কাজ করছেন  তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের।

তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ববি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে গভর্ন্যান্স অ্যান্ড হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠান থেকে কমপেরেটিভ পলিটিকস বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ববির দুই বছরের ছোট বোন টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেয়া ছিলো নিষিদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে এভাবে বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে ফেলার স্বাক্ষী হয়ে আছেন আশির দশকে ঢাকায় শৈশব পার করা বঙ্গবন্ধুরই দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ তৎকালীন প্রজন্ম।

নিজের শৈশবের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে ববি বলেন, “স্কুলে অনেকেই তখন নানার নামই শোনেনি। আমার বন্ধুরা বলতো, ‘কে তোমার এই বঙ্গবন্ধু নানা?’ স্কুলে আমার শিক্ষকরা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটা শুনলে অনেক ঘাবড়ে যেতেন। আমাকে বলতো, ‘বঙ্গবন্ধু বলতে হয়না স্কুলে’।” শিশু রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সে সময় বুঝতে পারতেন না কেনো তার নানাকে কেউ চেনেন না, যিনি বাংলাদেশের জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছেন তাকে কেনো চিনবে না বন্ধুরা!

Advertisement

আর এ কারণেই বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের স্বপ্ন দেখতেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।  তাঁর পরিকল্পনায় শিশু-কিশোরদের জন্য প্রকাশিত হয় গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’। ১০ পর্বের গ্রাফিক নভেলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটিকে যেনো বাস্তবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশে নির্মিত ডকুড্রামা ‘হাসিনা: এ ডটারর্স টেল’ এর নির্মাণের পেছনেও বড় ভূমিকা রেখেছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। মূলত ১৯৭৫ সালের নিজ পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়ে যেভাবে জাতির পিতার দুই কন্যা বেঁচে ছিলেন এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে এই ডকুড্রামার মাধ্যমে। এটি নির্মাণের পেছনেও মূল কারণ ছিলো তরুণদের আকৃষ্ট করা।

পর্দার আড়ালে থেকে তরুণদের জন্য কাজ করে যাওয়া রাদওয়ান মুজিব গণমাধ্যমের সামনেও খুব একটা আসেন না। কিন্তু তার দুর্দান্ত সব কার্যক্রমের কল্যাণে দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলার’ মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি। ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৩১৫টি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ইয়াং বাংলার সদস্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি।

২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে তার নেতৃত্বে ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ও জয় বাংলা কনসার্ট সহ আরও নানা আয়োজন। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে বারবার জানিয়েছেন, তরুণদের দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সহজে পরিচিতি ঘটাতে এবং দেশ গঠনে তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতেই এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করা হয়।

২০২১ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আসলে আমাদের শুধু বললেই হবে না। এখন সময় এসেছে তরুণদের হাতে আরও দায়িত্ব তুলে দেয়ার। সকল সেক্টরে তরুণদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে, সেটা ব্যবসা, রাজনীতি, এনজিও থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে।

Advertisement

বাস্তবতা হলো, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক শুধু তরুণদের দায়িত্ব দিতে বলেননি। তিনি তরুণদের কাধেই সকল দায়িত্ব অর্পন করেছেন।  আর তাদের পাশে সর্বদা ইয়াং বাংলার মাধ্যমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

সিআরআই থেকে প্রকাশিত নীতি-নির্ধারণী ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ডের প্রধান সম্পাদক রাদওয়ান মুজিব। তার হাত ধরে গড়ে ওঠা তরুণদের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলার সদস্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।  তার হাত ধরেই দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারছে তরুণ প্রজন্ম।

২০০৮ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৭ সালে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ‘ফ্রস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-খ্যাত স্যার ডেভিডকে যে সাক্ষাৎকার দেন, যা বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানালেন সিইসি

Published

on

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।  বললেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে  এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও সহিংসতার তেমন ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই পর্যন্ত ভোটের হার ৩০ শতাংশের বেশি। বুধবার (২২ মে) পুরো বিষয় জানা যাবে।

সিইসি বলেন, ভোটের সময় বিভিন্ন অপরাধে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাল ভোটের অপরাধে ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

বৈশ্বিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

Published

on

বৈশ্বিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সূচকে এবার দুই ধাপ উন্নতি করে  ১২৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে অবস্থান ছিলো ১৩০তম।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে আর্টিকেল নাইনটিনের  বৈশ্বিক মতপ্রকাশ রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির রিজিওনাল ডিরেক্টর শেখ মনজুর-ই-আলম।

মনজুর ই আলম বলেন, বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের মতো সংকটজনক অবস্থায় আছে ভারত ও আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়, ২৫টি সূচকের মধ্যে সবগুলো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের স্কোর সম্পূর্ণ ঋণাত্মক। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্সরশিপে। ধর্ম পালন ও নারী পুরুষের আলোচনার স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ইতিবাচক।

সংস্থাটি জানায়, এবার বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর ১২। ২০১৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর আটকে আছে ১১ ও ১২-এর মধ্যে। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আর্টিকেল নাইনটিন  ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আসছে ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version