Connect with us

রাজশাহী

জীবন সংগ্রামে থেমে নেই প্রতিবন্ধী বিলকিস খাতুন

Published

on

প্রতিবন্ধী

প্রতিবন্ধকতা কখনোই সাফল্যকে আটকাতে পারে না। প্রতিবন্ধীরা এখন সমাজের বোঝা নয়, সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে তারাও বদলে দিতে পারে সমাজ, সংসার ও পরিবার। সমাজের মানুষের ভালো দৃষ্টি ও রাষ্ট্রের সামান্য সহযোগিতা আট দশজনের মতো সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের ন্যায় দেশ জাতি গঠনে সার্বিক ভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।

এমনি একজন রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের করিলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিলকিস খাতুন(৩৫)। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবন সংগ্রামে থেমে নেই। কাজের মাঝেই তার পরম আনন্দ। তার পিতা মৃত সোলাইমান হোসেন, মা বেঁচে আছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন, পারিবারিক ভাবে স্বামীর সংসার থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন। বোনের সন্তানকে নিজের সন্তান মনে করে লালনপালন করছেন। বিলকিস খাতুন তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় বান্ধবীর সহযোগিতায় ধানগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে  দিয়েছেন বিলকিস পাপিয়া টেইলার্স অ্যান্ড ফ্যাশন হাউস। নিজে আর বান্ধবী পাপিয়া খাতুন মিলেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।

শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবেই বিলকিস খাতুনের জম্ম। সে আট দশজনের মত হাটা চলা করতে পারে না। স্থানীয় নেতা কর্মীদের মাধ্যমে স্থানীয় এমপি ডাঃ আব্দুল আজিজের সহযোগিতায় তিনি একটি চলাচলের জন্য রিকশা পেয়েছেন। সেই অটো রিকশা করে বিলকিস তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় চলাচল করেন।তিনি জানান শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও আমি হালাল ভাবে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছি। বর্তমানে এনজিও থেকে লোন নিয়ে সেলাই মেশিন ক্রয় করে এই দোকান দিয়েছি। ক্রেতাদের ভীর থাকলেও অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল না থাকায় দোকানে তেমন পণ্য সামগ্রী তুলতে পারছি না।

সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে কেউ সহযোগিতা করলে হয়তো ব্যবসায় সফলতা পাবো। প্রতিবন্ধী বিলকিস খাতুনের সহযোগি পাপিয়া খাতুনের বাড়ি উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বাঐখোলা এলাকায় সংসার জীবনে ১ ছেলে আর ১ মেয়ে রয়েছে তার। পারিবারিক ভাবে স্বামীর সংসার তারও ত্যাক করতে হয়। হঠাৎ পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় প্রতিবন্ধী বিলকিসের সঙ্গে। সেই থেকে দুজনে এক সাথেই চলা ফেরা করেন।

তিনি জানান, বিলকিস খাতুনের সঙ্গে তিনিও উদ্যোগ নেন টেইলার্স ও ডিজাইন ব্যবসার। স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে লোন নিয়ে তারা দুজনে মিলে শুরু করেন এই ব্যবসা। খুব ভালোই চলছে তাদের বেচাকেনা। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারছেল না। তাই তারা জানান সরকারি ও বেসরকারি ভাবে তাদের অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করলে তারা এই ব্যবসায় সফলতা পাবেন।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

কৃষি

আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী

Published

on

রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।

এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।

Advertisement

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

নাটোরে জেলা প্রশাসক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন

Published

on

নাটোরে জেলা প্রশাসক টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল আটটার দিকে শহরের শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ শুরু হয়।

শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মাছুদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন এবং ৭ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছাড়াও চ্যাম্পিয়নশিপে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, লন টেনিস, খো খো, ব্যাডমিন্টন, দাবা সহ ৮ টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টে ৭ উপজেলা এবং পৌরসভা অংশগ্রহণ করবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

রাজশাহীতে দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যা, দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

Published

on

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোবাইলফোনের দোকানের কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলো, নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)।  তিন বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো, বাঘার জোতচৌকিপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রকি (২৫)।

নিহত জহুরুল ইসলামের (২৩) গ্রামের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আম বাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জহুরুল ইসলামকে। জহুরুল ইসলামের কাছে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল স্মার্টফোনসেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যান। এরপর মোবাইল সেটগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

Advertisement

ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়।

এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মহামান্য আদালত এই রায় ঘোষণা করে। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এ রায়ে বাদিপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version