Connect with us

ফুটবল

মালদ্বীপকে ১৮ বছর পর হারাল বাংলাদেশ

Published

on

কোনো ট্রফি নয়, গ্রুপ পর্বের সাধারণ একটি ম্যাচ জয়। এরপরও এই জয় জামালদের এনে দিয়েছে বিশেষ প্রশান্তি। ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশ পয়েন্ট হারিয়েছে।

শনিবার (নভেম্বর) অবশ্য ভাগ্য বিধাতা বাংলাদেশের দিকে তাকিয়েছে। ৮৭ মিনিটে বাংলাদেশ মালদ্বীপের বিপক্ষে পেনাল্টি পায়। সেই পেনাল্টি থেকে তপু বর্মণ গোল করেন। এই গোলে বাংলাদেশ ২-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছে। 

২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ আর মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি। ১৮ বছর পর জামাল-তপুদের হাত ধরে এল এই জয়। গত মাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এই মালদ্বীপের বিপক্ষে মালেতে বাংলাদেশ ০-২ গোলে হেরেছিল। এই জয়ে সাফের সেই হারানো ক্ষতেও কিছুটা প্রলেপ লাগল।

গত ম্যাচে বাংলাদেশ সিশেলসের বিপক্ষে হেরেছিল ৮৭ মিনিটের গোলে। সাফে নেপাল বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়েছিল ৮০ মিনিটের পর। এবার অবশ্য ঘটনা উল্টো হয়েছে। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টিতে পায় বাংলাদেশ। জুয়েল রানাকে বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে ফেলে দেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। 

রেফারি পেনাল্টির বাঁশির পাশাপাশি গোলরক্ষককে কার্ড দেখান। তপু বর্মণ পেনাল্টি শট নেন। ডিফেন্ডার হলেও তিনি পেনাল্টিতে খুবই সিদ্ধহস্ত। তপু বর্মণের নেওয়া শট ঠেকাতে মালদ্বীপের গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাঁপ দেন। তপু শট ডান দিকে কোনাকুনি শট নেন। বাংলাদেশ ২-১ গোলের লিড পায়।

Advertisement

ম্যাচের তখন ১০ মিনিট। মালদ্বীপের অর্ধে থ্রো ইন করে বাংলাদেশ। ডিফেন্ডার রহমত মিয়া লম্বা থ্রো করেন। বক্সের মধ্যে তৈরি হয় জটলা। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড ও মালদ্বীপের ডিফেন্ডাররা হেডের জন্য লাফালেও বল পাননি। বল ড্রপ করে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার কাছে যায়। জামাল ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ভুল করেননি। 

গোললাইন ক্রস করার আগেই সহকারী রেফারি অফ সাইডের পতাকা উঠান। বাংলাদেশের ফুটবলাররা রেফারিকে জেরা করেন। রেফারি কিছুটা সময় নিয়ে সহকারী ও চতুর্থ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে গোলের বাঁশি বাজান। 

বাংলাদেশ লিড নেওয়ার পর আরো আক্রমণাত্মক খেলে। গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। ৩২ মিনিটে মালদ্বীপ ম্যাচে সমতা আনে। আলী আশফাকের কর্নার বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড আনমার্কড ছিলেন। প্লেসিংয়ে ম্যাচে সমতা আনেন।

বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে পথে রয়েছে। আজ রাতে শ্রীলঙ্কা সিলেশসের মোকাবেলা করবে।

Advertisement

ফুটবল

শত ধাপ এগিয়ে থাকা চাইনিজ তাইপের কাছে হারলো বাংলাদেশ

Published

on

ছবি; ফিরোজ আহমেদ

চাইনিজ তাইপের কাছে প্রীতি ম্যাচে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ নারী দল। দুই দলের র‍্যাংকিং অবশ্য পার্থক্য বলে দেয়। তাইপে ও বাংলাদেশের র‍্যাংকিংয়ে ব্যবধানের পার্থক্য এক’শ। অর্থাৎ বাংলাদেশ যেখানে ১৪০ নম্বরে অবস্থান করছে, তাইপে সেখানে ৪০তম অবস্থানে। ফলাফল বলছে ফিফা প্রীতি ম্যাচে চাইনিজ তাইপের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাইপে ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের শক্তির জানান দেয়। যার প্রমাণ আসে স্কোরলাইনেও। ম্যাচের ২৬ মিনিটের মধ্যে ৩ টি গোল হজম করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটের মাথায় চতুর্থ গোল হজম করে স্বাগতিক দল। আর তাতে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সু ইউ-সুয়ান। তাইপের পক্ষে অন্য গোলটি করেন সু সিন ইউন।

বাংলাদেশ দল প্রায় ৭ মাস পর নতুন কোচ জেমস বাটলারের অধীনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামে। তবে সুখকর হলো না সময়টা। আগামী ৩ জুন বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

কৃষ্ণার চিকিৎসায় অবহেলা, বাফুফের দিকে অভিযোগের তীর

Published

on

বেশ অনেকদিন ধরে চোটে আছেন কৃষ্ণা রানী সরকার। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য তিনি। অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হয়ে থাকে। তবে তার চোট নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খুব একটা নজর দিচ্ছে না। এমন এক অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) লিখেছেন কৃষ্ণা রানী।

মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির অংশ ছিলেন কৃষ্ণা। এই ক্লাবটি এবার শিরোপা জিতেছে। চীনা তাইপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দলেও ছিলেন না কৃষ্ণা। এর কারণ হিসেবে তার চোটকেই সামনে রাখা যায়।

কৃষ্ণার চিকিৎসা ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, বাফুফে এ বিষয়ে তৎপর কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফেসবুকে দেওয়া তার স্ট্যাটাস বলছে, সে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কথা বললেও, বাফুফে সে ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। যদিও বোর্ডের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার জানিয়েছেন, কৃষ্ণার এই অভিযোগ সত্যি নয়।

কৃষ্ণা তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রায় দেড় বছর হয়ে গেছে। পা আগের থেকে ভালো, কিন্তু এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়ে উঠতে পারিনি। প্র্যাকটিস করলেই ব্যথা হয়। বাফুফের ফিজিও দিয়ে আমার চিকিৎসা চলছে। সবাই জানে ইনজুরিটা অনেক জটিল। ব্যথা নিয়েই প্র্যাকটিস করছি। দেশে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও দেবাশীষ চৌধুরী স্যারকে দেখিয়েছিলাম। উনি প্রায় আমাকে অনেক দিন দেখেন, যখন ব্যথা কমছিল না। স্যার বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া-ভারত গিয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু যখন আমি বাফুফেকে জানাই, তারা বলেছিল আর কিছুদিন দেশে ডাক্তার দেখাতে। আমি অনেক দিন তাদের বলেছি ভারতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ওনারা আমার কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি। আজ পর্যন্ত ব্যথা নিয়ে প্র্যাকটিস করছি।’

Advertisement

‘২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পাই এবং ২০১৪ সালে সিনিয়র জাতীয় দলে সুযোগ পাই, সেখান থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কখনো কোনো দলের বাইরে থাকতে হয়নি। প্রায় ১০ বছর একটানা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। টুকটাক ইনজুরিতে পড়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে এত বড় ইনজুরিতে পড়ব, কখনো ভাবিনি। অনেক দিন রেস্টে থাকার পর আর ভালো লাগছিল না এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলাম। তাই ব্যথা নিয়ে প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছি। চীনে যখন এশিয়ান গেমস খেলতে যাই, তিনটা ম্যাচ বেঞ্চে বসে কাটিয়েছি। ব্যাক টু ব্যাক দুটা টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে গেলাম। একজন প্লেয়ার হিসেবে এটা মেনে নেওয়া খুব দুঃখজনক। কষ্ট একটাই, কখনো কোনো টিমমেট, প্লেয়ার বা কোচকে বলতে শুনলাম না কৃষ্ণা ইনজুরিতে, তাকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করানো হোক। কারও কোনো মাথাব্যথাই নেই। ১০ বছরের পরিশ্রম এক নিমেষে শেষ। অনেক প্লেয়ারকে দেখেছি এভাবে হারিয়ে যেতে। মনে হয় সেই দিনটা আর বেশি দিন নেই কৃষ্ণার জন্য। সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ এবং দোয়া করবেন। যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ি। আবার আগের মতো মাঠে ফিরতে পারি।’

শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্য উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘মনের কিছু কথা শেয়ার করলাম। কারো কোন খারাপ লাগে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।’

বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন, কৃষ্ণা এমন কথা ফেসবুকে লিখে অন্যায় করেছে। ফলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

প্রতিপক্ষ হিসেবে মার্তিনেজকে ‘অসহ্যকর’ বললেন রোমেরো

Published

on

দুই আর্জেন্টাইন সতীর্থ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ভিন্ন ক্লাবে খেলেন।  মার্তিনেজ খেলেন অ্যাস্টন ভিলায়, রোমেরো খেলেন টটেনহামে।

প্রতি মৌসুমে লিগে অন্তত দুবার একে অপরের মুখোমুখি হন তাঁরা।  আর্জেন্টিনার হয়ে এক সাথে খেললেও প্রতিপক্ষ হিসেবে যখন খেলেন তখন এমিলিয়ানোকে ‘পাগলাটে’ ও ‘অসহ্যকর’মনে হয় রোমেরোর।

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ডিস্পোর্তসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে  কথা বলেছেন রোমেরো। টটেনহাম ডিফেন্ডার বলেন, ‘দিবু তো একটা পাগল। প্রতিপক্ষ হিসেবে অসহ্যকর। এই মুহূর্তে নিজের সেরা সময় কাটাচ্ছে। আর্জেন্টাইন হিসেবে ব্যাপারটা উপভোগ করি। সে এমন একজন মানুষ, যে নিচ থেকে উঠে এসে এখন বিশ্বসেরা গোলকিপার। দেখতে ভালো লাগে। মানুষ হিসেবেও অসাধারণ।’

রোমেরো আর্জেন্টিনার সেই দলের সদস্য, যারা ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। এবার দলটির লক্ষ্য আরেকটি কোপা আমেরিকা জয়। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টটি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version