জাতীয়
খালেদাকে বাসায় রেখেছি, এটা কি বেশি নয় : প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, এটাই কি বেশি নয়? আপনাকে যদি কেউ হত্যার চেষ্টা করত, আপনি তাকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন?
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনার পরিবারকে যদি কেউ হত্যা করত, আর সেই হত্যাকারীকে যদি কেউ বিচার না করে পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিত, তার জন্য আপনি কী করতেন?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলার পর খালেদা জিয়া বলল, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। কোটালিপাড়ায় বোমা যখন পোঁতে, এর আগে তার বক্তব্য কী ছিল? শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। ভেবেছিল মরেই তো যাব। রাখে আল্লাহ, মারে কে; মারে আল্লাহ, রাখে কে? আমার বেলায় হচ্ছে, রাখে আল্লাহ, মারে কে। তারপরও আবার খালেদা জিয়ার জন্য এত দয়া দেখাতে বলেন? কেউ এই প্রশ্ন করলে আমার মনে হয় অন্তত একটু লজ্জা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা অমানুষ নই। অমানুষ নই দেখেই আমার এক্সিকিউটিভ অথরিটি দিয়ে তাকে বাসায় থাকার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাকিটা আইনগত ব্যপার। তারপরও দুর্নীতি করে দেশটাকে একেবারে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। গ্রেনেড হামলায় আমাদের এতজন আহত হন, ২২ জন মারা যান, সংসদে বিষয়টি নিয়ে একদিনও আলোচনা করতে দেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, এত বড় অমানবিক যে, তাকেও আমি মানবতা দেখিয়েছি। আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার, সেটুকু আমি দেখিয়েছি। আর কত চান, এখন সে অসুস্থ, এই আমি বললাম না, রাখে আল্লাহ মারে কে; মারে আল্লাহ রাখে কে। সেটিই মনে করে বসে থাকুন। এখানে আমার কিছু করার নেই। আমার যতটুকু করার আমি করেছি। বাকিটা আইনের ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিস সফর করেন। সফরকালে তিনি কপ২৬ সম্মেলন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২১, ইউনেস্কো সদর দফতরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলন, প্যারিস শান্তি ফোরাম, ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে গত ১৪ নভেম্বর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সফর নিয়েই আজকের এ সংবাদ সম্মেলন।
জাতীয়
এমপি আজিমের শরীর থেকে মাংস আলাদা করে জিহাদ : ভারতীয় পুলিশ
এমপি আনোয়ারুল আজিমকে আনারকে কলকাতার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, পুরো শরীর থেকে সমস্ত মাংস আলাদা করে এবং মাংসের কিমা করে তারপর তারা সমস্ত কিছু পলিথিনের প্যাকেট রেখে দেয়। পাশাপাশি হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।
বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ২ মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন। এই শাহিনই এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ ৪ জন ওই এমপিকে তার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত সাংসদের শরীর থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করা হয়। এরপরে সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে এবং কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেয় জিহাদ।
সিআইডি জানায়, তাঁদের বিভ্রান্ত করতে অভিযুক্ত তাঁর নাম জিহাদের বদলে সিয়াম বলে জানিয়েছিলো। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সঠিক নাম এবং বাংলাদেশের ঠিকানা জানান এই জিহাদ ওরফে সিয়াম। দুই বছর আগে সে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে মুম্বাইতে বসবাস করে আসছিলো। জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার।
প্রসঙ্গত, আজ ২৪ মে জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা ও দায়রা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
আই/এ
জাতীয়
আজিমের খুনের ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: শাহীন
ভারতের কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।এ হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের উঠে এসেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানিয়ছেন, আজিমের হত্যাকাণ্ডে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে শাহীন জানান, আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার সময় তিনি ভঅরতে ছিলেন না, বাংলাদেশে ছিলেন।এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও অস্বীকার করেন তিনি।
বেসরকারি ওই টেলিভিশনকে আক্তারুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়ে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছে এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।’
ফ্লাটের ভাড়ার বিষয়ে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে শাহীন বলেন, ‘আমি যদি ফ্লাট ভাড়া নেই। আমি কি আমার ফ্লাটে এই ধরণের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কিভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কোথার থেকে পেলাম আমি এত টাকা। এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কি করার আছে। ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।’
আক্তারুজ্জামান শাহীন আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরণের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কি করব?’
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।
মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হলেও আর ফিরে আসেননি।ওইদিনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে।
এমআর//
জাতীয়
আপৎকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভেও। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা, আপৎকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এতবেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনে কোনও সংকট নেই দেশে, তবে মুদ্রাস্ফীতি কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পরিস্থিতে ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করতে আলোচনা হবে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি না হওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবে নেয়নি। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মতো দৈনতায় তিনি কখনো ছিলেন না। বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানাতে দিলে, কারও কারও নির্বাচনে জিততে কোনো সমস্যা নেই– এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু তিনি রাজি হননি।
তিনি বলেন, বে অব বেঙ্গলে যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটি বানাবে। ভারত মহাসগাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর। এখানে বেজ বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? তিনি এটা করতে দিচ্ছেন না বলেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে খারাপ।
তিনি আরও বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধান-মাছ চাষ হচ্ছে। সেখানে ছয় বিঘা জমি দেয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে এখন শরীয়তপুরের সবজি।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আই/এ
-
বলিউড7 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড6 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
ঢাকা6 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
অপরাধ1 day ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়4 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
-
অপরাধ5 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আইন-বিচার5 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ