Connect with us

চট্টগ্রাম

পরিচয় মিলেছে ট্রলারে হাত-পা বাঁধা সেই ১০ মরদেহের

Published

on

কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকায় ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। নিহত সবাই মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা সামশুল আলম। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি একজন।

রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে একটি ট্রলার ভেসে আসার পর মরদেহ দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয় জেলেরা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গভীর সাগরে পরিকল্পিতভাবে ১০ জেলেকে হত্যা করে ট্রলারটি সাগরে ডুবিয়ে দিতে পারে অথবা জলদস্যুরা গভীর সাগরে ট্রলারের মাছ লুট করে জেলেদের বরফ রাখার কুটিরে (কক্ষে) আটকে রেখে ট্রলারটি ডুবিয়ে দিতে পারে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষ থেকে ১০ জেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। কয়েকজনের শরীরে জাল পেঁচানো ছিল। একটি মরদেহে গলা থেকে মাথা ছিল বিচ্ছিন্ন। আরেকটি মরদেহের হাত বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো ট্রলারের যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষের ঢাকনাও পেরেক দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া ট্রলারের জাল ও ইঞ্জিন রয়ে গেছে। এ কারণে সন্দেহ হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

চট্টগ্রাম

রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলা, ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

Published

on

রাঙামাটির লংগদুতে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রসীত বিকাশ নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজন নিহতের হয়েছেন। ইউপিডিএফ এ ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গ্রুপকে দায়ী করছে।

নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সদস্যের তিনক চাকমা (৫০) ও দুদকছড়া গ্রামের জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধন্যমতি চাকমা (৪০)।

শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙামাটির সহকারী পুলিশ সুপার (বাঘাইছড়ি-লংগদু) সার্কেল আবদুল আউয়াল।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, শনিবার সকালে লংগদু ইউনিয়নের মনপতি, ধনপতি, মধ্য খাড়িকাটা ও খাড়িকাটা এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান নেয়। লংগদু উপজেলার কাট্টলী এলাকায় ১০-১২ জনের একটি দল মনপতি ও মধ্যখাড়িকাটা এলাকায় এসে ইউপিডিএফের সদস্যের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

Advertisement

রাঙামাটির সহকারী পুলিশ সুপার আরও বলেন, এলাকাটি অনেক দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ বিবৃতি দিয়েছে। ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কন্দোলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

৪ কেজি আইসসহ আটক ১

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ ও রামুতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ২৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা  হলো, উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং পাগলীর বিলের আলী হোছনের ছেলে মো. নূর মোহাম্মদ (৩৯)।

মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন লম্বরী ঘাট এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে সাগরপথে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল লম্বরী ঘাট এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল বঙ্গোপসাগরের তীরে লম্বরী ঘাট থেকে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একটি পোটলা হাতে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দিকে আসতে দেখে। এ সময় টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে ধাওয়া করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তার হাতে থাকা পোটলাটি ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া পোটলার ভিতর থেকে ২ কেজি ৪৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

চোরাকারবারীকে সনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Advertisement

এদিকে রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ জানান, একইদিন রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে মরিচ্যা চেকপোস্ট ও ব্যাটালিয়ন সদর থেকে একটি টহলদল গোয়ালিয়া লিংক রোডে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশীকালীন মরিচ্যা থেকে গোয়ালিয়া সড়ক হয়ে কক্সবাজারগামী যাত্রী মো. নূর মোহাম্মদকে (৩৯) সন্দেহ হওয়ায় তাকে তল্লাশি করে তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে ১ কেজি ৯৮০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।

অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ আরও জানান, আটককৃত আসামিকে ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে লরি, শিশুসহ পথচারী নিখোঁজ

Published

on

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবন্দর সড়কের মোড়ে বাটারফ্লাই সংলগ্ন পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেছে একটি লরি। এতে পাঁচ থেকে ছয় জন পথচারী লরির নিচে চাপা পড়েছেন। এখনো লরির নিচে শিশুসহ কয়েকজন থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছে, তিন জন পথচারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। লরির নিচে পড়া এক শিশুসহ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা থেকে আসা একটি কনটেইনারবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় ৫-৬ পথচারী লরির নিচে চাপা পড়েন। এর মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version