জাতীয়
হজযাত্রীদের জন্য ৩৩৫টি ফ্লাইট ঘোষণা
চলতি বছর হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছাতে মোট ৩৩৫টি ফ্লাইট ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের হজ চুক্তি অনুযায়ী, হজযাত্রীদের অর্ধেক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বাকি অর্ধেক সৌদির আরবের সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস (সাউদিয়া) ও ফ্লাই নাস বহন করবে। হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছাতে ১৬৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। অন্যদিকে সাউদিয়া ১১৫টি ও ৫২টি ফ্লাইটে হজযাত্রী নেবে ফ্লাই নাস।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস গণমাধ্যমকে জানায়, আগামী ২১ মে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বিমানের প্রথম ফ্লাইট। বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইটটি সৌদি যাবে ২২ জুন। এ ছাড়া হজযাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ২ জুলাই থেকে শুরু হবে বিমানের ফিরতি ফ্লাইট।
অন্যদিকে আগামী ২৫ মে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। পাশাপাশি ফ্লাই নাসের প্রথম ফ্লাইট উড়াল দেবে ২১ মে ও ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। তবে কারিগরি ত্রুটি বা অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যেকোনো সময় ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন বা বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনস সংস্থাগুলো।
চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ জন সৌদিতে হজ করতে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। কোটা পূরণ হতে আরও ৭ হাজার ৫০২ জন হজযাত্রী প্রয়োজন হবে।
জাতীয়
ইতালিতে আরও বাংলাদেশি জনবল নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এটা খুবই দুঃখজনক যে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টাকালে বাংলাদেশিসহ বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছে, যাতে কেউ অবৈধভাবে কোনো দেশে না যায়। এ লক্ষ্যে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছি। ইতালিতে বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি জনবল নেয়ার অনুরোধ করছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার (১২ মে) ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইতালির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, অধিকন্তু সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশের জন্য ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।
শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর মাধ্যমে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অঙ্গনে পা রাখবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে তিনি ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য দেশটির জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে দক্ষিণ ইতালির সহায়তা কামনা করেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে সহায়তা করতে চায়।
তিনি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রদানে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় উভয়েই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেবে সৌদি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে বন্ধুত্বসুলভ আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে ৩০ লাখ প্রবাসী কর্মী আছেন, আরও জনশক্তি নেবে দেশটি। জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (১২ মে) হোটেল লা মেরিডিয়ানে সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা সৌদি আরবে গেছেন। সৌদির নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট না থাকলে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু পরে কথা হয়েছে যে তাদের ফেরত পাঠানো হবে না, পাসপোর্ট রিনিউ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিজিবি-পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি, সেদেশে আনসার প্রেরণের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, হজ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, ফলে দ্রুত সময় হাজিরা গাড়িতে চড়তে পারবেন। এছাড়া রুট টু মক্কা নামে একটি সার্ভিস চালু করেছে, যাতে হাজিদের ব্যাগ-লাগেজ এয়ারপোর্ট থেকে তাদের ঠিকানায় পাঠানো হবে।
টিআর/
জাতীয়
ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ বের করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ফলাফলে দেখলাম তিন বোর্ডে ছাত্রের সংখ্যা বেশি। কিছু জায়গায় সমান। অধিকাংশ জায়গায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এটা আমাদের জন্য সুখবর। এসএসসি পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা আমরা অবৈতনিক করেছি। পরীক্ষায়ও ছাত্রী সংখ্যা বেশি। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে, কেন ছাত্রের সংখ্যা কম। কী কারণে আমাদের ছাত্ররা কমে যাচ্ছে। পাসের ক্ষেত্রেও মেয়েরা এগিয়ে, এটা ভালো কথা। কিন্তু ছেলেরা কেন পিছিয়ে? বের করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা একটা শিক্ষানীতি করেছি, এখন সেটা বাস্তবায়ন করছি। বিনামূল্যে আমরা বই বিতরণ করছি। আজকে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে স্বাক্ষরতার হার, এটা আমাদের অর্জন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হতে যা যা দরকার এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে ঠিকে থাকতে হলে যা দরকার; সেটা আমরা প্রবর্তন করতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারপ্রধান বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো উন্নতি সম্ভব নয়, সেজন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে।
যারা পাস করেছে, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন। এজন্য বাবা-মা-অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানাই। যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, আমি বলবো, তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আবার চেষ্টা করলে হয়ত ভালো করতে পারবে। বাবা-মা অভিভাবক এ বিষয়ে গালমন্দ করবেন না তাদের। এমনিতেই তো মন খারাপ, তার ওপর অভিভাবকরা রুষ্ট হলে আরও মন খারাপ হবে। কেন খারাপ ফল করলো, সে কারণ বের করুন, তাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখে পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে সুযোগ দেয়া দরকার।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
টিআর/
-
এশিয়া1 day ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি1 day ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
জাতীয়6 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা6 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
বলিউড6 days ago
ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না: হানি সিং
-
ঢালিউড3 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
বলিউড1 day ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন