Connect with us

ছাত্র-শিক্ষক

৭ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাচ্ছে ইবি ছাত্রলীগ!

Avatar of author

Published

on

দীর্ঘ ৭ বছর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগ। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে কর্মীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২ মে সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক বরাবর সিভি জমা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্যাম্পাস ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইফুল ইসলাম সভাপতি, অমিত কুমার দাস সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ১২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায় ইবি ছাত্রলীগ। এর আগে ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ইবির ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। এরপর ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি ও জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্র। তারাও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন হয়। এর তিন মাসের মাথায় সম্পাদক রাকিবের পদ পেতে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এরপর থেকে আন্দোলনে নামে পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে সভাপতি সম্পাদককে-অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সভাপতি-সম্পাদককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ায় ভঙ্গুর অবস্থার সৃষ্টি হয় দলটির মধ্যে। ফলে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি তো দূরের কথা। ক্যাম্পাসে এসেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি।

এদিকে প্রতিটি কমিটিরই দায়িত্ব প্রাপ্তরা বারবার আশ্বাস দিলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের। এছাড়াও অনেক ‘ত্যাগী নেতাকর্মী’ দলীয় পদবি ছাড়াই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। তারাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে কর্মীদের কাছে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করেছেন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে বর্তমান কর্মীদের মাঝেও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

Advertisement

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের আগামী ২ মে সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে সকল শিক্ষা সনদের ফটোকপি, অধ্যয়ণরত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্রের কপি এবং স্ব-স্ব জেলা/উপজেলা/মহানগর/পৌরসভা/ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রত্যয়নপত্রের কপি (মোবাইল নম্বরসহ) অবশ্যই যুক্ত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া, ক্রীড়া, সামাজিক-সাংস্কৃতিক বা অন্য কোনো দক্ষতামূলক কর্মকাণ্ডের সনদ/স্বীকৃতির কপি এবং পাসপোর্ট আকারের ৪ কপি ছবি জমা দিতে বলা হয়েছে। পৃথক ৪ সেট জীবনবৃত্তান্ত ‘এ ৪’ সাইজের পৃথক খামে জমা দিতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা সমমান কমিটিগুলোতে ১৫১-২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়। বর্তমানে অধিকাংশ কমিটিই ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট দেওয়া হচ্ছে। আমরাও ১৫১ সদস্যের কমিটি দেওয়ার কথাই ভাবছি। আমাদের সমকালীন ঘোষিত কমিটিগুলোর মধ্য আমরাই প্রথম এমন উদ্যোগ নিয়েছি। এতে একটা ভালো লাগা কাজ করছে। দীর্ঘদিন পরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হতে যাচ্ছে এটাও একটা আনন্দের বিষয়। আমরা জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান ও কর্মী সভার আয়োজন করেছি। জীবন বৃত্তান্ত নেওয়ার পর যাছাই-বাছাই করে অতি দ্রুত কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার মাধ্যমে ইবি ছাত্রলীগ আরো গতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা রাখছি।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ক্যাম্পাস

অবন্তিকার বাড়িতে জবির তদন্ত কমিটি

Avatar of author

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায়  অবন্তিকার বাড়ি কুমিল্লায় গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। সেখানে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা।

কথা বলেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও। এসময় তারা আত্মহত্যার স্থানও পরিদর্শন করেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ে অবন্তিকার বাসায় যান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

কমিটির প্রধান জানান, অবন্তিকার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা পুলিশ ও অভিযুক্তদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করবেন। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু তথ্য চাইবেন।

অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে তারা অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ঘটনা সম্পর্কে অবন্তিকার মা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা জানেন সবই তাঁরা শুনেছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, তদন্তে যেসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে সে বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এ মুহুর্তে তাঁরা কিছু বলবেন না। তদন্তের কাজ চলছে।  যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।

অবন্তিকার মা জানান, তদন্ত কমিটি সকল তথ্য নিয়েছে।  ওনারা যা যা জানতে চেয়েছেন সকল তথ্য তিনি দিয়েছেন। তাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জবি তদন্ত কমিটি।

উল্লখ্যে, তদন্ত কমিটির দলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক ও একজন সহকারী প্রক্টর ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

যা লেখা ছিলো আত্মহত্যা করা সেই জবি শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে

Avatar of author

Published

on

অবন্তিকা,-জবি-শিক্ষার্থীর-আত্মহত্যা

ফাইরুজ অবন্তিকা নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে লম্বা এক পোস্টে আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেই শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো, “আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ” খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? ”

Advertisement

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না
আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।
আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।”

অবন্তিকার স্ট্যাটাস-1

অবন্তিকার স্ট্যাটাস-2

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায় দিয়ে ফাঁস নিলেন জবি শিক্ষার্থী

Avatar of author

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফাইরুজ অবন্তিকা নামের সেই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা চেষ্টার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেসবুক পোস্টে সেই শিক্ষার্থী লেখেন, “আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ” খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? ”
আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না
আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।
আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।”

এ ব্যাপারে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করিনি৷ এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোন জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।‘

ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরেরনাম আসায় তাকে সাথে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অতি শীঘ্রই এবিষয়ে তদন্ত কমিটি করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অপরাধ2 mins ago

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানে গোপন ডিভাইস, ভাই-বোন আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানের গোপন ডিভাইসসহ ভাই-বোনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে শহরের মেড্ডায় পৌর...

জাতীয়11 mins ago

জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ : প্রতিমন্ত্রী রুমানা

আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ...

জাতীয়46 mins ago

জুমার নামাজে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

রমজানের তৃতীয় জুমার নামাজে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়...

বাংলাদেশ2 hours ago

মুক্তিপণের বিষয়ে জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষ সর্বশেষ যা জানালো

গেলো ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হয়। এর পরে নাবিকদের মুক্তির...

বাংলাদেশ4 hours ago

ইউনেস্কোর পুরস্কারের প্রসঙ্গে যা বললো ইউনূস সেন্টার

চলমান বিতর্কের মধ্যে আজারবাইজানে একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ট্রি অব পিস পুরস্কার’ নিয়ে একটি বক্তব্য...

রেলের টিকিট রেলের টিকিট
বাংলাদেশ6 hours ago

৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে আজ

ঈদযাত্রায় ষষ্ঠ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ যারা অগ্রিম টিকিট কিনছেন তারা আগামী ৮ এপ্রিল...

জাতীয়11 hours ago

১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস

জালিয়াতি যেনো পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ।  প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯...

বাংলাদেশ17 hours ago

বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...

অপরাধ18 hours ago

হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...

জাতীয়18 hours ago

চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...

Advertisement
অপরাধ2 mins ago

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানে গোপন ডিভাইস, ভাই-বোন আটক

জাতীয়11 mins ago

জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ : প্রতিমন্ত্রী রুমানা

এশিয়া20 mins ago

রাফাহতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

চট্টগ্রাম21 mins ago

অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক

ক্রিকেট25 mins ago

আবারও অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন বাবর

বিএনপি36 mins ago

ভিসা ফি বাবদ দৈনিক ৮০ কোটি টাকা নেয় ভারত : গয়েশ্বর

বলিউড41 mins ago

নির্বাচনে লড়বেন কারিশ্মা-কারিনা!

জাতীয়46 mins ago

জুমার নামাজে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

আওয়ামী লীগ49 mins ago

জিয়াউর রহমানও বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে লজ্জা পাচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এশিয়া1 hour ago

কাশ্মীরে যাত্রিবাহী ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০

বাংলাদেশ6 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে

আন্তর্জাতিক6 days ago

বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়

ডিবি-হারুন
বাংলাদেশ5 days ago

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা

বাংলাদেশ5 days ago

৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

জাতীয়4 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ

আন্তর্জাতিক7 days ago

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া

এশিয়া4 days ago

যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক7 days ago

গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে

বাংলাদেশ2 days ago

দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতা‌লি দূতাবাসের

ঢালিউড3 days ago

মোশাররফ করিমের সাত জেলায় সাত বউ!

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়2 days ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল5 days ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 week ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 weeks ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 weeks ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড3 weeks ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল3 weeks ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি4 weeks ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি4 weeks ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ1 month ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত