চট্টগ্রাম
ট্রলারে অর্ধগলিত ১০ মরদেহ: বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার ৩ আসামির জবানবন্দির পাশাপাশি স্বজনদের মাধ্যমে বের হয়ে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, জলদস্যু সন্দেহে ১০ জনকে বরফ ভাঙার মুগুর, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে প্রথমে পেটানো হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ১০ জনকেই কোল্ড স্টোরেজে আটকে রেখে সাগরে বোট ডুবিয়ে দেয়া হয়। আর এ মিশনে অংশ নিয়েছিল ৪টি ট্রলারের অন্তত ৫০ মাঝি-মাল্লা। অবশ্য তার আগে সাগরে ট্রলার লক্ষ্য করে ৩ ঘণ্টা গুলিবর্ষণও হয়েছিল।
সোমবার (১ মে) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রায় ৩ ঘণ্টা জবানবন্দি দেন বাইট্টা কামাল।
ট্রলারে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার মামলায় আসামি ‘বাইট্টা’ কামাল ও করিম সিকদারকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়া হয়। করিম সিকদার জবানবন্দি না দিলেও রাজি হন বাইট্টা কামাল।
আদালত প্রাঙ্গণে বাইট্টা কামালকে দেখার জন্য ছুটে আসে তার পরিবারের সদস্যরা। আর ঘটনার দিন সাগরে কী ঘটেছিল এবং বাইট্টা কামালের সঙ্গে সাগরে ট্রলারে থাকা জেলের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল গণমাধ্যমের কাছে তার বর্ণনা দেন আসামি বাইট্টা কামালের মেয়ে।
বাইট্টা কামালের মেয়ে সুমাইয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার চাচা নবী হোসেন ফোন করে বলেছে, আমার আরেক চাচা আনোয়ারের ট্রলার ডাকাতে ধরেছে। তখন বিষয়টি মা জানালে দ্রুত বাবাকে জানানোর জন্য ফোন করি। চাচা আনোয়ারের ট্রলারের জেলেদের ১৫ মিনিট পরপর সাগরে ফেলে দিয়েছে বলে বাবা জানায়। এরপর বাবা অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছে।’
সুমাইয়া আরও বলেন, ‘‘ডাকাতরা চাচাদের মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়ার পর ট্রলারটি নিয়ে যাচ্ছিল। তখন আরেকটা ট্রলার দেখতে পেয়ে বলেছে, ‘আনোয়ারের ট্রলার নিয়ে যাচ্ছে সবাই আসো’। তারপর ট্রলারে একটা পতাকা টাঙিয়ে দেয়ার পর অনেকগুলো ট্রলার ডাকাতের ট্রলারকে পিছু নেয়। এ সময় ডাকাতরা ৩ ঘণ্টা গুলি চালিয়েছে। গুলিতে একজন জেলে মারা গেছে এবং আরেকজন হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এসব শুনেছি। এরপর রাগ করে জেলেরা ডাকাতের ট্রলারে উঠে তাদের মারধর করছিল; তখন আমার চাচা অন্য ট্রলার থেকে বলছিল ‘তোমরা ওদেরকে মারধর করিও না, প্রশাসনের কাছে দিয়ে দেব’। কিন্তু চাচা বলেছে, ‘ তুমি কথা বলিও না, তোমাকে একদম কেটে ফেলব’। তখন আমার চাচা আনোয়ার ভয়ে দূরে সরে গেছে। তারপর ওদের মেরে নাকি কোথায় ফেলে দিছে জানে না। এসব বিষয় আমি বাসায় এসে শুনেছি।’’
ট্রলারে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে গত রোববার (৩০ এপ্রিল) মামলার দুই আসামি ফজল কাদের ও আবু তৈয়ব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই ২ আসামি স্বীকার করেছেন, ৯ এপ্রিল সাগরে একটির ট্রলারকে ঘিরে কয়েকটি ট্রলারের লোকজন ‘ডাকাত-ডাকাত’ বলে মারতে দেখেছেন। যারা মারধর করছিলেন তারা সবাই মহেশখালীর মানুষ। এরা বাঁশখালীর বাসিন্দা। ফলে এই ২ জন ঘটনাস্থল থেকে বাঁশখালী চলে গিয়েছিলেন। আরেক আসামি গিয়াসউদ্দিনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১ মে) ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার ১নম্বর আসামি বাইট্টা কামাল। রিমান্ডে বা জবানবন্দিতে কী বলেছে এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস।
তবে তিনি বলেছেন, জবানবন্দিতে ঘটনায় জড়িত অন্তত ২০ জনের নাম প্রকাশ করেছেন মামলার ১ নম্বর আসামি কামাল।
দূর্জয় বিশ্বাস আরও বলেন, প্রাথমিক বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না। আরও তদন্তের বিষয় আছে, তদন্তের স্বার্থে সবকিছু তো বলা যায় না। নানা বিষয় নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
আর কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। এ ঘটনায় যারা ভিকটিম তাদের সংখ্যাও কিন্তু অনেক। সব বিষয়ে পুলিশের যে প্রথাগত পদ্ধতি রয়েছে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। একটি হত্যাকাণ্ডে যত বিষয় জড়িত থাকতে পারে, তার প্রতিটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
ট্রলারে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গেল ২৫ এপ্রিল এজাহারভুক্ত ৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত ট্রলার মালিক শামশুল আলমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
গেলো ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা মরদেহসহ ট্রলারটি উপকূলে নিয়ে আসা হয়। এরইমধ্যে উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়েছে ৪ জনের মরদেহ ও একটি কঙ্কাল। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের পরিচয়।
চট্টগ্রাম
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে হাতমুখ ধুতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রামেশ্বপুর গ্রামের সরআলী মাঝি বাড়ির পুকুর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো- উপজেলার রামেশ্বপুর গ্রামের সরআলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের ছেলে আবিদ হোসেন (৪) ও মেয়ে বিবি ফাতেমা (৭) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পরিবারের লোকজনের অজান্তে দাঁতের ব্রাশ নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় আবদুল হাইয়ের মেজ মেয়ে ফাতেমা ও ছোট ছেলে আবিদ। ব্রাশের পর হাত মুখ ধুতে বাড়ির পুকুর ঘাটে যায় তারা দুজন। এর কোনো একসময় বাড়ির লোকজনের অজান্তে পুকুরে পড়ে যায় দুজন। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। এর একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরে তাদের দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হাতমুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হবে।
এএম/
চট্টগ্রাম
প্রবাসী স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসী আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহজাহান নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী জানান, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল জলিল। পরদিন বাহের খোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম। পরে আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আজ সকালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
চট্টগ্রাম
রামুতে কোটি টাকার আইসসহ মাদক কারবারি আটক
কক্সবাজারের রামুতে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ আইস নিয়ে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক মাদক কারবারি হেলাল উদ্দিন (২০) উখিয়ার ঠাইপালং এলাকার মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গোয়ালীয়া এলাকায় একটি অটোরিকশায় তল্লাশি করে ওই মাদক জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির রামু ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ।
লে. কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ে তৎপর আছে বিজিবি। এরই অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল মরিচ্যা যৌথ তল্লাশি চেকপোস্ট দিয়ে অতিক্রমকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে গোয়ালীয়া এলাকায় থামিয়ে এক যাত্রীকে তল্লাশি করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের ১ কেজি ৫০৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করা হয়। আটক আসামির বিরুদ্ধে মামলার পর মাদকসহ তাঁকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি’র এই কর্মকর্তা।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন