অপরাধ
১ থেকে ৩ লাখ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট!
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে সার্টিফিকেট পেতে ন্যূনতম খরচ আট থেকে ১০ লাখ টাকা।কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরো বেশি। অথচ ভর্তি না হয়ে এবং পড়ালেখা ছাড়ায় এমন সার্টিফিকেট মিলছে মাত্র ১ থেকে ৩ লাখ টাকায়। যা দেখতে একেবারে আসল সনদের মতো। এ চক্রটি এ কাজ করে আসছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতু। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ মে) রাজধানীর লালবাগে একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি লালাবাগ। ওই বাসা থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী এবং দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি জানায়, লালবাগের দুই কক্ষবিশিষ্ট ওই বাসাটিতে চলত জাল সার্টিফিকেট তৈরির কাজ। বাসাটিতে দামি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার ও এমব্রস মেশিন স্থাপন করে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে সংগ্রহ করা ব্ল্যাংক মার্ক শিট সার্টিফিকেট এখানে ভুঁইফোড় ব্যক্তিদের নামে সার্টিফিকেট, মার্ক শিট, টেস্টিমুনিয়াল ইত্যাদি ছাপানো হত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের একাডেমিক অনেক সার্টিফিকেট, মার্ক শিট ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে লালবাগ থানার অন্তর্গত বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মিরি গলির একটি বাসায় আজ সকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী এবং দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী বিভিন্ন ছাপাখানা থেকে সব রকমের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত অতি সূক্ষ্ম জাল সনদসমূহের কাগজ ছাপিয়ে এনে নিজেও বিভিন্ন গ্রাহকদের জাল সার্টিফিকেট, মার্ক শিট, টেস্টিমুনিয়াল ও ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদি সরবরাহ করতেন।
প্রসঙ্গত, এই জালিয়াত চক্রের সদস্যরা দুই ধরনের জালিয়াতি করতেন। কোন রকমের ভেরিফিকেশন হবে না এ রকম সার্টিফিকেট, মার্ক শিট, টেস্টিমনিয়াল সরবরাহ করা। এছাড়া দেশে বিদেশে অনলাইনে ভেরিফিকেশন হবে এরকম মার্ক শিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি সরবরাহ করা। কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের বেশ কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া গেছে যারা অনলাইন ভেরিফিকেশন করে সার্টিফিকেট বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়া গ্রেপ্তার নুরুন্নাহার মিতু ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
অপরাধ
ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।
রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।
সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম/
অপরাধ
মিরপুরে অটোরিকশাচালক-পুলিশ সংর্ঘষ, পুলিশ বক্সে আগুন
অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।
এএম/
অপরাধ
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
কুমিল্লার তিতাসে ক্লাস চলার সময় আতিকুর রহমান আতিক নামে এক শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল ও ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার (১৯ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সোলাইমান। সে উপজেলার মজিদপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক গণমাধ্যমকে জানান, স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির অভিভাবক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সোলাইমানের চাচা জসিম মিয়া সদস্য পদে চতুর্থ স্থান অর্জন করে নির্বাচিত হন। চাচা নির্বাচনে ভোট কম পেয়েছে কেন এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয় অভিযুক্ত ওই ছাত্র। এতে গণিত ক্লাস চলার সময় সহপাঠীদের সঙ্গে যারা ভোট দেয়নি তাদের মারধর করবে এমন বেফাঁস মন্তব্য করছিল। এ সময় কথা বলার কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হওয়ায় শিক্ষক আতিকুর রহমান তাকে কথা না বলার জন্য বলেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সোলাইমান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় শিক্ষক তার চাচাকে ফোন দিতে গেলে সোলাইমান ওঠে এসে শিক্ষককে ঘাড় ধরে টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে কিল ঘুষি মারে।
এ ঘটনায় মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজন কুমার সূত্রধর গণমাধ্যমে জানান, এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে গেছে। আমরাও থানায় আছি।
এএম/
-
আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট4 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড2 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার3 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন