ঢাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে ৫ কোটি টাকা, এখনো চলছে গণনা
Published
12 months agoon
By
অনলাইন ডেস্ককিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিটির নাম পাগলা মসজিদ। এ মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া ১৯ বস্তা টাকা গণনায় এরইমধ্যে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার (৫ মে) সকাল ৮টায় মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে টাকাগুলো মসজিদে দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য। টাকা গণনাকালে বিকেল ৫টার আগেই রেকর্ড পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ছয় কোটির মতো টাকা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রাসহ স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। পরে ১৯টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
এর আগে গেলো ৭ জানুয়ারি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।
কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকী দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকী বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।
এরইমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
অন্যরা যা পড়ছেন
মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান নবম
‘প্রেমিকার দেয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চিরবিদায় নিলেন প্রেমিক’
হাজারো প্রবাসী শ্রমিক-ওমরাহ যাত্রী আটকা পড়েছে শাহজালাল বিমানবন্দরে
পৃথিবীর কাছে আসছে শিংওয়ালা ধূমকেতু- বিরল ঘটনার স্বাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ
গরমে গর্ভবতীদের পেট ফেঁপে যেতে পারে, যা করনীয়
সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি
বৈশাখে পুড়ছে দেশ, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়ালো
ঢাকা
জাতীয় পতাকার ডিজাইনার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
Published
1 hour agoon
এপ্রিল ১৯, ২০২৪By
Anik Mahmudবাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম ডিজাইনার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস আর নেই।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।
১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
আই/এ
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ফরিদপুরের মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকলে ফরিদপুরে ঢুকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভায়’এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক।সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ফিটনেস ছাড়া গাড়ি ও লাইসেন্স ছাড়া কোনো চালক মহাসড়কে উঠতে পারবেন না। অন্যথায় ওই গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদের আগে সড়কে যে স্বস্তিদায়ক অবস্থা ছিল, ঈদের পরে বড় দুটি সড়ক দুর্ঘটনা পুরো মন্ত্রণালয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছে। যার কারণে তারা খুবই অস্বস্তিতে আছেন এবং আমাদের উপরই চাপ এসে পড়েছে। প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার পেছনেই স্বল্পগতির গাড়ির একটা ভূমিকা থাকেই। আমরা দ্রুত এই গাড়িগুলো বন্ধ করব।
চালক সুস্থ শরীর ছাড়া গাড়িতে উঠা যাবে না উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানেই মোবাইল কোর্ট নিয়ে যাবো সেখানে একজন চিকিৎসক থাকবে। সঙ্গে ডোপ টেস্ট, ডায়াবেটিস মাপার কীট এবং পেশার মাপার যন্ত্র নিয়ে যাবো। গাড়ি থামিয়ে চালকের প্রেসার, ডায়াবেটিস ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। সুস্থ শরীর ছাড়া গাড়িতে উঠা যাবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। প্রেসার নিয়ে চালককে গাড়ি চালাতে দেয়া যাবে না।
কাগজপত্র ও ফিটনেস বিহীন কোনো গাড়ি ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সারাদেশে বার্তা দিতে চাই, ফরিদপুর পার হতে হলে চালকের ও গাড়ির ফিটনেস থাকতে হবে। সেই সঙ্গে প্রেসার ও ডোপ টেস্ট অবতীর্ণ হতে হবে। এগুলো করে ফরিদপুর হয়ে যেতে হবে। অন্যথায় প্রবেশ করতে পারবে না। আর না হয় আমরা গাড়ি ডাম্পিং করে ফেলবো।
জেলা প্রশাসক বলেন, সোহাগ, হানিফ ও ইউনিক পরিবহনের অধিকাংশ বাসের কাগজপত্র নেই। মাত্র ২৫% গাড়ির কাগজপত্র আছে। সোজা কথা কাগজপত্র বিহীন গাড়িগুলো ফরিদপুর দিয়ে চলবে না। এজন্য যাত্রীরা ভুগতে পারে। জীবিকার জন্য আমরা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবো না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছুটা অমানবিক ও কঠোর হতে হবে, আইন প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, গেলো ১৬ এপ্রিল ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা দিকনগর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হন। এই দুর্ঘটনার পর সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এএম/
সাভারের আশুলিয়ায় উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুতের খুটিতে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। পরে নিথর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার সিটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বিদ্যুৎ কর্মীর নাম মো. মোবারক হোসেন (৩১)। তিনি ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে আশুলিয়া সাব জোনাল অফিসের বিরুলিয়া এরিয়া অফিসের লাইনম্যান (গ্রেড-১) হিসেবে কাজ করতেন। তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার কুরুয়া গ্রামের মো.আসাদুজ্জামানের ছেলে। আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন মোবারক হোসেন। প্রায় ৮ বছর ধরে পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত ছিলেন তিনি।
দূর্ঘটনার সময় ভুক্তভোগী মোবারকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন পল্লী বিদ্যুতের অপর কর্মী সুবল কুমার দে। তিনি খুটির নিচে ছিলেন। এবং মোবারক খুটি বেয়ে উপরে উঠে কাজ করছিলেন।
সহকর্মী সুবল কুমার দে বলেন, আমরা যেই লাইনে কাজ করছিলাম সেখানে ৩ টি ৩৩ কেভির গ্রাহক ও আমাদের একটি সাবস্টেশন সংযুক্ত ছিল। কাজ করার আগে সবার লোড ০ করার কথা ছিল। আমাদের জানানো হয়েছিল সবাই লোড ০ করেছে। কিন্তু আমার ধারণা কেউ না কেউ লাইন চালু রেখেছিল, তাই ফ্ল্যাশিং হয়ে মোবারকের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি।
পল্লী বিদ্যুৎ জানিয়েছে ৩৩ কেভি লাইনের সাথে সংযুক্ত ছিল, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি, মেট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মুরাদ এ্যাপারেলস ও পল্লীবিদ্যুতের ১টি সাব-স্টেশন।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌঃ মো. মাশফিকুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় কারও গাফিলতি আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করবে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জাতীয়
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংসের দাম নিয়ে চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই...
শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সহকারী অধ্যাপক রিমান্ডে
যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রশিদ কামালের (৪০) চারদিনের রিমান্ড...
ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, হচ্ছে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আসছে সোমবার( ২২ এপ্রিল) তিনি ঢাকায় পৌঁছবেন...
আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান
‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা করা প্রয়োজন, তা অবশ্যই করা হবে। তবে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য ঝুঁকিপূর্ণ।...
মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের
বাংলাদেশে আবারও আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বারের মতো বাইডেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের...
সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে...
আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, যেকারণে স্থগিত হলো ঢাকা সফর
আসছে শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা সফরে আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। এক দিনের সফরে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী...
‘চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন পাস করা হবে’
আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবো তেমনি রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, রোগীদেরও মন্ত্রী। দুজনের সুরক্ষা...
৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: রেহমান সোবহান
‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো।এই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ঘটেছে।’ বললেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা...
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
নিজ বাহিনী বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এখনো মঈনের স্থলাভিষিক্ত...
মন্দিরে আগুন ও গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তা
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন
জাতীয় পতাকার ডিজাইনার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
৩ দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই : আবহাওয়ার অফিস
মোদির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা
ক্ষেপনাস্ত্র হামলার দাবি নাকচ করলো ইরান, পরমাণু স্থাপনা নিরাপদ
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু
পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে: ইরান
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি
নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা
ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো
নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাড্ডার আগুন
সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি
ইসরাইলে ইরানের হামলা: ভূমধ্যসাগরে ঢুকলো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
যুবকের পায়ুপথ থেকে বের করা হলো ৬ ইঞ্চি ডাব
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- আন্তর্জাতিক2 days ago
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি
- আইন-বিচার4 days ago
নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- আন্তর্জাতিক2 days ago
ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইসলাম3 days ago
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- টুকিটাকি4 days ago
অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা
- বাংলাদেশ6 days ago
ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো
- জাতীয়7 days ago
নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাড্ডার আগুন
- বাংলাদেশ4 days ago
সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন