Connect with us

পরামর্শ

কখন চা পান করবেন আর কখন পানি

Published

on

চা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই অত্যন্ত ভালোলাগার একটি গরম পানীয়। বাঙালির কাছে এটি ইমোশন। দিনে অনেকেই ৩ থেকে ৬ কাপের বেশিই পান করে থাকেন। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা চা খাওয়ার আগে কিংবা পরে পানি পান করেন। তবে এটি স্বাস্থ্যকর কিনা! সেই প্রসঙ্গে মতামত নেয়া হয়েছে এক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে।
১. চা পান করার অন্তত ১৫ মিনিট আগে জল খাওয়া উচিৎ। এটি চায়ে উপস্থিত অ্যাসিডের তীব্রতা কমাতে সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি পানি অন্ত্রে একটি স্তর তৈরি করে যা চায়ের অ্যাসিডিক প্রভাব কমায়।
২. চা খাওয়ার আগে হালকা গরম পান খাওয়াই ভালো।
৩. পানি শরীরকে হাইড্রেট করে ফলে পানি খেয়ে চা খেলে তা শরীরের কম ক্ষতি করে।
৪. একেবারে খালি পেটে যদি চা পান করা হয় তাহলে, তা অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। আর সেই কারণেই সকাল ছাড়া যখনই চা পান করবেন, তার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে নিন।
৫. পানি শরীরকে হাইড্রেট করে। আর সেই কারণেই চা পানের আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ। তবে যদি গ্রিন টি খাওয়া হয় তাহলে, তার আগে পানি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ গ্রিন টি নিজেই শরীরকে হাইড্রেট করে রাখে।
৬. চায়ে উপস্থিত রাসায়নিক ট্যানিন দাঁতের ক্ষতি করে থাকে। তবে চা খাওয়ার আগে যদি পানি পান করা হয় তাহলে, দাঁতের উপর স্তর পরে না। পাশাপাশি রক্ষাও করে দাঁতকে। পানি মুখের ব্যাকটেরিয়াও পরিষ্কার করতে সহায়তা করে থাকে।
৭. খালি পেটে চা পান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এটি আলসারের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। আর সেক্ষেত্রে চায়ের আগে যদি পানি পান করা হয় তাহলে, এই আলসারের সম্ভাবনা কমে অনেকটাই।
৮. গরম চা পানের পরেই পানি পান উচিৎ নয়। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণভাবে ক্ষতিকর। কারণ গরম চা খাওয়ার পর যদি ঠান্ডা জলটা খাওয়া হয় তাহলে, শরীরে একাধিক সমস্যা নজরে আসে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের দিনে এই সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
৯. চা পানের পরেই যদি পানি পান করা হয় তাহলে, গ্যাসের সমস্যা ছাড়াও পেট ব্যথা, পেটে ফোলাভাব, পেট ফেঁপে যাওয়া, পেট খারাপ হওয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হয়। আর ঠাণ্ডা গরমে সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরও হতে পারে।
১০. চা পানের পর পানি পানে দেখা দিতে পারে দাঁতের সমস্যাও। ক্ষয়, হলুদভাব, সংবেদনশীলতার সমস্যা দেখা দেয়।
১১. চা পানের পর কিছু খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ, তারপরই পানি পান ভালো। উল্লেখ্য, খাদ্য গ্রহণের অন্তত ২০ মিনিট পরই পানি পান করা উচিৎ।
১২. বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, দিনে অন্তত এক থেকে দু’কাপ চা পান উচিৎ। কিন্তু যদি সর্দি-কাশির সমস্যা হয় তাহলে, দুই থেকে তিন কাপ খেলে অসুবিধা হবে না। তবে এর থেকে বেশি চা পান করলে, তা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়াতে পারে।

পরামর্শ

অপরিণত বয়সে ত্বকের দাগ ছোপ এড়াতে যে ৫টি ভুল করা যাবে না

Published

on

অপরিণত বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে? ঠোঁটের কাছে কিংবা কপালে ভাঁজ চোখে পড়ছে? ত্বককে সুন্দর ও কোমল রাখার চেষ্টা সবার মধ্যেই থাকে। বিশেষ করে, অল্পবয়সীদের মধ্যে নিজেকে সুন্দরভাবে তুলে ধরার একটা প্রবণতা থাকেই। ত্বকের যত্ন নেওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে বয়স যখন কম থাকে, তখন ত্বক এমনিই বেশ ভালো থাকে। অতিরিক্ত যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই ত্বকের বারোটা বাজিয়ে ফেলেন। এ বিষয় মাথায় রেখে রসায়নবিদ, সৌন্দর্যবিদ এবং স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড মেরি ভেরোনিকের প্রতিষ্ঠাতা মেরি ভেরোনিক নাদেউ অল্প বয়সীদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে অল্প বয়সে যে ভুলগুলো একদমই করা যাবে না।

১. অপরিণত বয়সে কোলাজেন বুস্টিং চিকিৎসা না নেওয়া:

কোলাজেন কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে একটি বিশাল ভুল ধারণা রয়েছে। ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব ধরনের কোলাজেন আমাদের ত্বক নিজেই তৈরি করতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তৈরি হলে প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। বয়সের সঙ্গে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা কমতে থাকে, যা মূলত ত্রিশের পর থেকেই শুরু হয়। তাই এর আগে কোনো ধরনের কোলাজেন বুস্টিং চিকিৎসা নেওয়া ঠিক নয়।

২. ঘন ঘন এক্সফোলিয়েট করা যাবে না:
ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করা মোটেও খারাপ কিছু নয়। তবে যাঁদের বয়স বেশি নয়, তাঁদের মাসে একবার ভালোভাবে এক্সফোলিয়েশনের পরামর্শ দেন নাদেউ। বারবার এক্সফোলিয়েশনের ফলে ত্বকের নতুন তৈরি হওয়া কোষের ওপর প্রভাব পড়ে, যাতে করে ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকে পড়তে পারে বয়সের ছাপ। তাই বারবার এক্সফোলিয়েট করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. খাদ্য তালিকায় স্নেহজাতীয় খাবার রাখতে হবে:
আজকাল সবাই ডায়েট নিয়ে সচেতন। কিন্তু খাদ্য তালিকায় স্নেহজাতীয় খাবার একেবারেই না রাখা ত্বকের জন্য ভয়ংকর। খাবারের তালিকায় অবশ্যই স্নেহজাতীয় খাবার রাখতে হবে। শুধু উদ্ভিজ্জ তেল রাখলে চলবে না, প্রাণীজ চর্বিগুলোও খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এসব খাবার আপনার ত্বককে রাখবে লাবণ্যময় ও উজ্জ্বল।

Advertisement

৪. চিনি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে:
অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে কোলাজেন ও ইলাস্টিন জাতীয় ফাইবারগুলো ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে বলিরেখাসহ বয়সের নানা ধরনের ছাপ। তাই অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নাদেউ চিনির বদলে মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় ফলের রস গ্রহণে ত্বক সতেজ থাকে।

৫. যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করা:
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ত্বককে ভালোমতো ময়েশ্চারাইজিং করেই ত্বকের বয়স কমিয়ে ফেলা সম্ভব।  অন্যদিকে, ময়েশ্চারাইজিং না করলে ত্বকে অল্প বয়সেই পড়তে পারে বয়সের ছাপ। তাই চেষ্টা করুন, ত্বকের সঠিক ময়েশ্চারাইজেশন নিশ্চিত করতে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত রাসায়নিক সামগ্রী ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

চুল ঝরার নেপথ্যে যে যে কারণ থাকতে পারে

Published

on

চুলে চিরুনি চালালেই তো গোছা গোছা চুল হাতে উঠে আসছে। অথচ চুলের যত্নে কোনও ত্রুটি রাখছেন না। এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করা থেকে মাঝেমাঝে স্পা— বাদ থাকছে না কিছুই। তাতে লাভ কিছুই হচ্ছে না। দিনে দিনে চুলের গোছা ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে চিরুনিতল্লাশি করা জরুরি। কারণ, শুধু যত্নের অভাব নয়, অনেক সময়ে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেও চুল পড়তে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক চুল ঝরে পড়ার কারণ।

থাইরয়েড

থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে চুল পড়তে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম‍্য বিঘ্ন হলে যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, চুল ঝরা তার মধ‍্যে অন‍্যতম। অত‍্যধিক চুল উঠলে তাই শুধু শ‍্যাম্পুর দোষ না দিয়ে শরীরের প্রতি নজর দিন।

মানসিক উদ্বেগ

চুল পড়ার অন‍্য একটি কারণ হতে পারে মানসিক উদ্বেগ। ব্যস্ততময় জীবনে উদ্বেগ আর চিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কোনও বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন উদ্বেগে থাকলে একটা সময় তা অবসাদে পরিণত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চুল ঝরে শুধুমাত্র মানসিক উদ্বেগের কারণে।

Advertisement

শরীরের স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি

শরীরে ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্কের ঘাটতি নানা অসুখ ডেকে আনে। চুল প়ড়ার নেপথ্যে এটাও একটা কারণ হতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতিও অত্যধিক চুল পড়তে পারে। হঠাৎ চুল প়ড়ার পরিমাণ বে়ড়ে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিন।

জিনগত

পরিবারে কারও এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে মুশকিলে পড়তে হয়। বংশানুক্রমে চুল পড়ার সমস্যা পেলে, সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজসাধ্য নয়। চুল পড়ে যাওয়ার এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া। এমনটা হয়ে থাকলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতে নয়, আরও যা যা উপকার

Published

on

ওজন কমাতে শরীরচর্চার জুড়ি নেই। রোগা হওয়ার তাগিদে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত সকলেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরে ওজন যদি নাও কমে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অবধারিত বা়ড়ে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। ব্যায়াম শুধু শরীর আর মনের খেয়াল রাখে না। মস্তিষ্ক সচল রাখতেও শরীরচর্চা করা জরুরি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে থাকে ওজন। হাঁটুতে ব্যথা, রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবিটিস থাকলেও ব্যায়াম করে সুফল পাওয়া যায়।

এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। স্মৃতিভ্রম যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় দুশো শতাংশ। টাইপ-২ ডায়াবিটিস থাকলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়। ফলে রোজের শারীরিক কসরতের অভ্যাস একসঙ্গে বহু রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কী ভাবে বাড়িতে তোলে শরীরচর্চার অভ্যাস?

স্মৃতিশক্তি

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কের প্রতটি কোষ সচল থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতি ধরে রাখাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে হাঁটলে কিংবা সাইকেল চালালেও উপকার পাওয়া যাবে।

Advertisement

মনোযোগ বৃদ্ধি

শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মনোযোগ। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনোযোগহীন কাজের গুণমান নিয়ে সংশয় থাকেই। কার্ডিয়ো মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। হার্টের খেয়াল রাখতেও কার্ডিয়োর জুড়ি মেলা ভার।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

ব্যায়াম করলে শুধু ওজন কমে না, মনও ভাল থাকে। সার্বিক ভাবে ভাল থাকতে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমালে চলবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সমান নজর দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে শরীরের উপরেও এর প্রভাব পড়ে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version