টুকিটাকি
যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনিতে সমস্যা
কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে অথচ আপনি বুঝতেও পারছেন না রোজকার জীবনযাপনে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে কিডনির সেই সমস্যার ধরা পড়ে।
ঘনঘন প্রস্রাব: ঘনঘন প্রস্রাব কিডনি সমস্যার একটি বড় লক্ষণ। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে প্রস্রাবের হার বেড়ে যায়। ফলে ঠিকমতো একবারে প্রস্রাব নির্গত হয় না। তাই ঘনঘন প্রস্রাবের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বমি বমি ভাব: কিডনি বিকল হয়ে গেলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ মূত্রের সঙ্গে বেরোয় না। কিডনির সমস্যার ফলে শরীরেই সেই ক্ষতিকর পদার্থগুলি জমতে থাকে। তা থেকে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
আচমকা ওজন কমে যাওয়া: আচমকা ওজন কমে যাওয়া কিডনি বিকল হওয়ার আরেকটি বড় লক্ষণ। কিডনি যখন ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে, তখন শরীরের ওজনও একই হারে কমতে শুরু থাকে। এমন লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়ের ফোলা ভাব: কিডনির সমস্যা থেকে আরেকটি সমস্যা তৈরি হয়। তা হল পা ফুলে যাওয়া, এতে শরীরে সোডিয়াম জমতে শুরু করে। ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই পা ফুলে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টুকিটাকি
‘কালো’ টাকা ধুয়ে ‘সাদা’ করতে রাখা হয় ওয়াশিং মেশিনে!
লোকসভা ভোটের মুখে ‘টাকার খেলা’ রুখতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জায়গায় ইডির হানায় উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকা ‘দাবিহীন’ নগদ। অর্থাৎ, যে টাকা নিজের বলে দাবি করেননি কেউ। এমন কি ওয়াশিং মেশিনে ঠাসা নোটের বান্ডিলও উদ্ধার করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, মোট দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওয়াশিং মেশিনে।
মঙ্গলবার ইডির পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ‘ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং তার ডিরেক্টর বিজয়কুমার শুক্ল এবং সঞ্জয় গোস্বামীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুাম্বই, কুরুক্ষেত্র এবং কলকাতায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এ ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা এবং ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
সূত্রের খবর, ইডি জানতে পেরেছে, ওই সংস্থাগুলির বিদেশি কোনও সংস্থার সঙ্গে ১৮০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। অথচ, আদতে তা ছিল পুরোটাই ভুয়ো। এই তদন্তে নেমে মঙ্গলবার ইডি দিনভর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই ২ কোটি ৫৪ লাল টাকা দাবিহীন নগদও বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া টাকার একটি বড় অংশ গচ্ছিত ছিল ওয়াশিং মেশিনে। তবে, ওয়াশিং মেশিনটি ঠিক কোথায় ছিল তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি ইডি।
টুকিটাকি
‘পিএইচডি সবজি ওয়ালা’
এই সবজি বিক্রেতা উচ্চ শিক্ষিত, ঝুলিতে চার চারটি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি, পিএইচডিও করেছেন। উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্বেও ভ্যান টানছেন তিনি। তার ডিগ্রি কি তাহলে কোন কাজেই লাগল না? শেষে কিনা সবজি বিক্রি!
এই ব্যক্তি ১১ বছর অধ্যাপনা করেছেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সে চাকরিতে সংসার চলতো না। অবশেষে চাকরি ছেড়ে ভ্যান নিয়ে এখন রাস্তায় রাস্তায় সবজি বিক্রি করছেন। ভ্যানের গায়ে সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা ‘পিএইচডি সবজি ওয়ালা’। তিনি গোটা দেশের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন,তাহলে কি অধ্যাপনার থেকেও সবজি বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করা যায়?
ওই সবজিওয়ালার নাম ডক্টর সন্দীপ সিং। সাংবাদিকতা, পাঞ্জাবি ভাষা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো চারটি ভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। আইন বিষয়ে করেছেন পিএইচডি। পড়াশোনা এখনো চলছে। আমি আপনি ছোট থেকেই জেনে এসেছি, আমাদের সমাজ আমাদের শিখিয়েছে, ভালো পড়াশোনা করলে ভাল চাকরি করা যায়, কোট টাই পড়ে বড় অফিসে যাওয়া যায়। কিন্তু সন্দীপ সিং তা করছেন না, বিক্রি করছেন সবজি। যদিও এই কাজে তার কোন আক্ষেপ নেই। ১১ বছর পাতিয়ালা পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। আসলে তার চাকরিটা ছিল চুক্তিভিত্তিক, তার উপর বেতনও বারবার কমিয়ে দেওয়া হতো। কোন কোন মাসে আবার টাকা পেতেনই না। এই বাজারে এসংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে ৩৯ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাধ্য হন সবজি বিক্রি করতে। প্রথমটা তার কাছে খুব চ্যালেঞ্জের ছিল। এখন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। এক সময় অধ্যাপনা করে যে টাকা আয় করতেন, এখন শাকসবজি বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করছেন।
এই পৃথিবীতে কোন কাজই কিন্তু ছোট নয়। সব কাজই অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু ফারাকটা কি বলুন তো, স্বপ্ন আর প্রত্যাশার। যে স্বপ্নের জন্য আপনি দীর্ঘ দিন লড়াই করলেন, সময় ইনভেস্টমেন্ট করলেন কিন্তু শেষমেষ স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। যার স্বপ্ন ভাঙে, সেই জানে তার যন্ত্রণা। আরো আশ্চর্য এর বিষয় কি জানেন? এই পৃথিবীতে আপনার স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রণার খোঁজ কেউ নেবে না। শুধু শুধু আপনার ব্যর্থতা টাই দেখবে।
তা বলে সন্দীপ বাবু কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। দিনভর সবজি বিক্রি, আর রাতে চলে পড়াশোনা। আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও থেমে নেই। এনার স্বপ্ন, একটা ভালো টিউশন সেন্টার তৈরি করা। আর তার জন্যই একটু একটু করে টাকা জমাচ্ছেন। বিশ্বাস করেন, মানুষের ক্ষমতায়নের আসল চাবিকাঠি শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই জীবনটা বদলে ফেলা যায়। তার জন্য সবজি বিক্রি করলে খুব একটা অসুবিধা নেই। সন্দীপবাবুর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, হার না মানা জেদ আমাদের অনুপ্রেরণা।
টুকিটাকি
স্ত্রী চালাচ্ছেন বাস, স্বামী সেই বাসের কন্ডাক্টর
স্ত্রী বাস চালাচ্ছেন, আর স্বামী করছেন কন্ডাক্টারি। না এটা কোন প্রেমের কথা বলছি না। কাজটা তাদের করতে হয় সংসার চালানোর জন্য। তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতের গোটা কলকাতা শহরে। অভাবের সংসারের হাল ধরতে শক্ত হাতে ধরেছেন স্টিয়ারিং। কে বলেছে বাস শুধু পুরুষ চালায়? শত শত যাত্রীর ভরসার জায়গা প্রতিমা পোদ্দার। একদিন তার স্বামী, তার পিঠে হাত দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাবাস। তুমি পারবে। খেয়াল রেখো, একটা পিঁপড়ের গায়েও যেন আঘাত না লাগে’। প্রতিমা পোদ্দারের মূল অনুপ্রেরণা, তার স্বামী শিবেশ্বর পোদ্দার।
বাস চালানো পেশাটা শুধু পুরুষের না, এটি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন এই স্বামী-স্ত্রী। হাওড়া-নিমতা রুটে বাস ছুটিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিমা দেবী। একটা সময় সংসারে চরম অভাব ছিল। সংসার সামলাতে গাড়ি চালানোটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। যদিও বাস চালানোর আগে তিনি অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং প্রাইভেট কারও চালিয়েছেন। গাড়ি চালানোর এই শিক্ষা পেয়েছেন স্বামীর কাছ থেকে। অনুপ্রেরণার কথা বলতে গেলেই, তার মুখে বারংবার শোনা যায় স্বামীর কথা, শাশুড়ির কথা, বড় ননদের কথা। তবে বাধা যে ছিল না একেবারেই নয়। প্রচুর কানাঘুষো, জল্পনা, সমালোচনা, টিটকিরি সহ্য করতে হয়েছে। যদিও সে সব দিকে তিনি ফিরেও তাকাননি। বিগত ১৮ বছর ধরে এখনো শক্ত হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে রেখেছেন নিখুঁত ব্যালেন্সের সাথে। তার কাজকে স্বীকৃতি জানিয়েছে রাজ্য সরকারও।
থাকেন উত্তর চব্বিশ পরগনার নিমতাতে। রোজ সকাল হলেই রেডি হয়ে বাস নিয়ে বেরিয়ে পড়েন স্বামী স্ত্রী। লড়াইটা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৯৪ সালে। তখন বিয়ে হয় শিবেশ্বর পোদ্দারের সঙ্গে। স্বামী তখন অটো চালান। পরবর্তীকালে ট্যাক্সি চালাতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে পরিবারের সদস্য সংখ্যাও বাড়ে। দুই মেয়ে সহ গোটা পরিবারের দারিদ্রতা কম ছিল না। একা শিবেশ্বর পোদ্দারের পক্ষে পুরো সংসারটা চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। প্রতিমা পোদ্দার ঠিক করে নেন, গাড়ি চালাবেন। কাজ থেকে ফিরে এসে তার স্বামী তাকে ট্যাক্সি চালানো শেখাতে নিয়ে যেতেন। যখন মিনিবাস চালানোর লাইসেন্স পেলেন তখনই তাকে আটকে দেয়া হয়। প্রায় কুড়ি দিন বাস চালাতে দেয়া হয়নি। জোর করে বহুবার প্রতিমা দেবীর গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে। সাথে ছিল ছিল প্রচুর ভোগান্তি। একবার ভাড়া না দিয়ে এক যাত্রী নেমে যাচ্ছিলেন, তাকে ধরতে গেলে উল্টে প্রতিমা দেবীর হাতে ধরে টেনে নামাতে চেয়েছে মানুষ। প্রথম দিকে তো নিমতা বাসস্ট্যান্ডেরর বাস চালকরাই তার বিরুদ্ধে বেঁকে বসে। কিন্তু প্রতিমা দেবী হার মানেননি। দমে যাননি। শুধুমাত্র তিনি মহিলাচালক বলে, তার গাড়িতে অনেকেই উঠতে চাইতেন না। কিন্তু যখন প্রতিমা দেবী যাত্রীদের একদম ঠিকঠাক নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন, সেই মানুষগুলোই দুহাত ভোরে আশীর্বাদ করেছেন তাকে। বাস চালিয়ে তিনি দুই মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। মেয়েদের নিজের হাতে শিখিয়েছেন যাত্রীবাহী বাস চালানো।
বাস চালানোটাকে তিনি আর পাঁচটা সাধারণ পেশার মতোই ভাবেন। যেখানে নারী পুরুষের আবার কিসের ভেদাভেদ? শিবেশ্বর পোদ্দার মনে করেন, তার স্ত্রী বাস না চালালে ১৫ বছর ধরে এই গাড়িটা তিনি চালাতে পারতেন না। তিনি চান, তার স্ত্রী ভারতবর্ষের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত গাড়ি নিয়ে দৌড়ে বেড়াক। গোটা দেশ দেখুক, নারীরা চাইলে কি না করতে পারে।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন