Connect with us

এশিয়া

উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রী বাসভবনেও হামলা

Published

on

ইমরানের খানের গ্রেপ্তারির ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। সেই অশান্তির আঁচ গিয়ে পৌঁছল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাসভবনেও। ইমরানের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাজের লাহোরের বাড়িতে হামলা চালালেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকেরা। যদিও সেই সময় শহবাজ এবং তার পরিবারের সদস্যেরা ঘরে ছিলেন না।
লাহোর পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে পিটিআই-এর ৫ শতাধিক কর্মী-সমর্থক প্রধানমন্ত্রীর মডেল টাউনের বাসভবনের সামনে পৌঁছে ইমরানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়া শুরু করেন। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ইমরানপন্থীরা প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির ভেতরে একাধিক পেট্রোল বোমা ছোঁড়েন।


এক পুলিশ অফিসার জানান, হামলার সময় শাহবাজের বাড়িতে শুধু নিরাপত্তারক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন। উত্তেজিত পিটিআই কর্মী-সমর্থকেরা লাহোরের একটি পুলিশ পোস্টে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর আগে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন সচিবালয়েও হামলা চালান বিক্ষুব্ধরা। সেখানেও তাঁরা আগুন লাগিয়ে দেন। তবে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত দু’দিনে মোট ১৪টি সরকারি ভবন এবং ২১ টি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বুধবার ইমরানকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এতেই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়েছে। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে।

দেশটি জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর সহিংসতায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছেন। পিটিআই দাবি করেছে, দুদিনের বিক্ষোভে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত প্রায় তিনশত। আটক করা হয়েছে ১৯শতাধিক বিক্ষোভকারীকে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

এশিয়া

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ৫ম দফার ভোটগ্রহণ চলছে

Published

on

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ছয়টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরই রয়েছে সাতটি আসন। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশার ৩৫টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সাত দফায় লোকসভা ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। এদিন মোট ৬ রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

এর মধ্যে বিহারের ৫টি আসন, ঝাড়খণ্ডের ৩টি আসন, মহারাষ্ট্রের ১৩টি আসন, ওড়িশার ৫টি আসন, উত্তর প্রদেশের ১৪টি আসন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসন রয়েছে। এছাড়া ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখের আসনেও ভোট হবে।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশার ৩৫টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

এদিকে আজ ভাগ্যপরীক্ষা হবে রাহুল গান্ধী, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, পীযূষ গয়াল, চিরাগ পাসওয়ান, ওমর আবদুল্লাহ সহ একাধিক নেতার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই দফায় ৬৯৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

এছাড়া পঞ্চম দফায় মোট ৮২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

রাইসির হেলিকপ্টার সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, বেঁচে নেই আর কেউই

Published

on

দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার উদ্ধারকারীরা খুঁজে পেয়েছেন। তবে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সেখানে কারও ‘বেঁচে থাকার বা জীবিত থাকার কোনও চিহ্ন’ নেই বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএন। প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর সেখানে কারও জীবিত থাকার ‘কোনও চিহ্ন’ নেই বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে। অন্যদিকে ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানি এই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা বেঁচে আছেন কি না সেটি তখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি।

Advertisement

এর আগে রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।

ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে যা বললো হামাস

Published

on

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হয়। এখন ওই হেলিকপ্টার ও তাঁকে খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

এতে তারা বলেছে, “এমন কষ্টদায়ক ঘটনায় আমরা আমাদের ইরানি ভাই, তাদের নেতা, সরকার এবং জনগণের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আমাদের ইরানি ভাইদের সব ধরনের বিপদ থেকে মুক্ত রাখার দোয়া করছি। ”

রোববার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন ইব্রাহিম রাইসি। এরপর সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে আসছিলেন তিনি।

তার সঙ্গে ওই একই হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। এছাড়া আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একই হেলিকপ্টারে রাইসির সফর সঙ্গী হয়েছিলেন।

Advertisement

ইরানের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে সিগন্যাল শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডার। এছাড়া হেলিকপ্টারের এক ক্রুয়ের মোবাইল ফোন থেকেও সিগন্যাল পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহ এ ব্যাপারে আধা সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে বলেছেন, “আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমি আশা করি সাধারণ মানুষকে ভালো খবর দিতে পারব।”

ওই এলাকায় এত সংখ্যক সেনাকে জড়ো করা হয়েছে যে আর কোনো সেনার সেখানে জায়গা হবে না বলে জানিয়েছেন এই কমান্ডার। তিনি বলেছেন, “আর সেনার জায়গা এখানে নেই।”

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version