টুকিটাকি
বিয়ের গাউনে ৫০ হাজার ক্রিস্টাল, পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে
বিয়ের গাউনে গাঁথা ৫০ হাজার ক্রিস্টাল বা স্ফটিক! অতীতের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই ব্রাইডাল গাউন৷ চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ইতালির মিলানে সি স্পোসাইতালিয়া কোল্লেজিওনি ফ্যাশন শো-এ আত্মপ্রকাশ করে এই পোশাক৷ চার মাস ধরে তৈরি করার পর অবশেষে প্রকাশ্যে আনা হয় পোশাকটিকে৷ ৫০ হাজার ৮৯০ টি সোয়ারোভস্কি ক্রিস্টাল গাঁথা এই ওয়েডিং গাউন ইতালির বিখ্যাত মিশেলা ফেরিয়েরো দোকানের৷ শৌখিন বিয়ের পোশাকের জন্য এই দোকানের নাম জগৎজোড়া৷
বিশ্বরেকর্ড তৈরি করা এই গাউন তৈরি স্বচ্ছ কাপড়ে৷ সুইটহার্ট নেকলাইনের পাশাপাশি আছে শরীরচাপা সিল্যুয়েট৷ গাউনের সঙ্গে গ্লাভস বা দস্তানাও ছিল রত্নখচিত৷
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর তথ্য অনুযায়ী তিল তিল করে কয়েক মাস ধরে এই পোশাক তৈরি করা হয়েছে৷ ডিজাইনার প্রথমে প্যাটার্ন মেকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ তার পর সেলাইয়ে দক্ষ বা সূচিশিল্পীরা পেশাদারদের হাতের সুনিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হয় গাউন৷ পোশাকের কাপড়ের মেটিরিয়াল ৫০ হাজার ক্রিস্টালকে ধরে রাখতে পারে, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে৷
প্রথমে মূল গাউন, তার পর কুঁচি এবং সবার পরে দস্তানায় বসানো হয় ক্রিস্টাল৷ এক একটি ক্রিস্টাল বসাতে সময় লেগেছে ২০০ ঘণ্টা৷
এর আগে তুরস্কের ডেন গেলিনলিঙ্ক মোডা তাসারিম সংস্থার তৈরি ওয়েডিং গাউনে বসানো হয়েছিল ৪৫ হাজার ২৪ টি ক্রিস্টাল৷ ইস্তাম্বুলের একটি নামী দোকানে ২০১১ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই পোশাক৷
New record: Most crystals on a wedding dress – 50,890 achieved by Michela Ferriero (Italy) 💎
It took over 200 hours to individually sew each Swarovsky diamond onto this amazing dress 😱 pic.twitter.com/LXys3lfp5l
— Guinness World Records (@GWR) May 10, 2023
টুকিটাকি
টাকার বিছানায় ঘুমান এই নেতা!
এমন ছবি সিনেমায় দেখা যায়। হালফিলের ওয়েব সিরিজ়েও। কিন্তু বাস্তবেই টাকার বিছানায় ঘুমোলেন এক নেতা। সেই অবস্থায় তার ছবি ভাইরাল। ঘটনাটি ভারতের আসামে। মুখে-মাথায়-বুকের উপরে, দুই পাশে গোছা গোছা পাঁচশো টাকার নোট রেখে বিছানায় শুয়ে থাকা ছবিটি বড়ো নেতা বেঞ্জামিন বসুমাতারির। এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে তড়িঘড়ি বড়ো স্বশাসিত পরিষদের শাসক দল ইউপিপিএল দাবি করল, বেঞ্জামিনকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এক সময়ে ওদালগুড়ি উন্নয়ন অঞ্চলের ভিলেজ কাউন্সিল ডেভেলপমেন্ট কমিটি (ভিসিডিসি)-র চেয়ারম্যান পদে ছিলেন বেঞ্জামিন। অভিযোগ উঠেছে, ঘুষ নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকাও সরিয়েছিলেন তিনি। শুয়ে ছিলেন সেই টাকার বিছানাতেই। কিন্তু স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য প্রমোদ বড়ো দাবি করেন, বেঞ্জামিন মোটেই তাদের দলের সদস্য বা ভিসিডিসির চেয়ারম্যান নন। তাকে জানুয়ারিতেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ভিসিডিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই তার কৃতকর্মের কোনও দায় দলের উপরে বর্তাবে না।
বেঞ্জামিন দাবি করেছেন, ওই ছবি ৫ বছর আগেকার। তিনি ব্যবসা করার জন্য মা ও অন্যদের থেকে মোট ৩ লাখ টাকা জোগাড় করেছিলেন। রাতে পার্টি করার পরে মজা করেই সেই টাকার বিছানায় শুয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গী ওই ছবি তুলে রেখেছিল। ওই ছবি অতীতেও ছড়িয়েছিল। তাঁকে সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছিল। বেঞ্জামিনের মতে, ভোটের আগে বড়োভূমির বিরোধী দল ইচ্ছাকৃত ভাবেই পুরনো ছবি ছড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে।
টুকিটাকি
‘কালো’ টাকা ধুয়ে ‘সাদা’ করতে রাখা হয় ওয়াশিং মেশিনে!
লোকসভা ভোটের মুখে ‘টাকার খেলা’ রুখতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জায়গায় ইডির হানায় উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকা ‘দাবিহীন’ নগদ। অর্থাৎ, যে টাকা নিজের বলে দাবি করেননি কেউ। এমন কি ওয়াশিং মেশিনে ঠাসা নোটের বান্ডিলও উদ্ধার করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, মোট দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওয়াশিং মেশিনে।
মঙ্গলবার ইডির পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ‘ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং তার ডিরেক্টর বিজয়কুমার শুক্ল এবং সঞ্জয় গোস্বামীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুাম্বই, কুরুক্ষেত্র এবং কলকাতায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এ ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা এবং ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
সূত্রের খবর, ইডি জানতে পেরেছে, ওই সংস্থাগুলির বিদেশি কোনও সংস্থার সঙ্গে ১৮০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। অথচ, আদতে তা ছিল পুরোটাই ভুয়ো। এই তদন্তে নেমে মঙ্গলবার ইডি দিনভর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই ২ কোটি ৫৪ লাল টাকা দাবিহীন নগদও বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া টাকার একটি বড় অংশ গচ্ছিত ছিল ওয়াশিং মেশিনে। তবে, ওয়াশিং মেশিনটি ঠিক কোথায় ছিল তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি ইডি।
টুকিটাকি
‘পিএইচডি সবজি ওয়ালা’
এই সবজি বিক্রেতা উচ্চ শিক্ষিত, ঝুলিতে চার চারটি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি, পিএইচডিও করেছেন। উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্বেও ভ্যান টানছেন তিনি। তার ডিগ্রি কি তাহলে কোন কাজেই লাগল না? শেষে কিনা সবজি বিক্রি!
এই ব্যক্তি ১১ বছর অধ্যাপনা করেছেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সে চাকরিতে সংসার চলতো না। অবশেষে চাকরি ছেড়ে ভ্যান নিয়ে এখন রাস্তায় রাস্তায় সবজি বিক্রি করছেন। ভ্যানের গায়ে সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা ‘পিএইচডি সবজি ওয়ালা’। তিনি গোটা দেশের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন,তাহলে কি অধ্যাপনার থেকেও সবজি বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করা যায়?
ওই সবজিওয়ালার নাম ডক্টর সন্দীপ সিং। সাংবাদিকতা, পাঞ্জাবি ভাষা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো চারটি ভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। আইন বিষয়ে করেছেন পিএইচডি। পড়াশোনা এখনো চলছে। আমি আপনি ছোট থেকেই জেনে এসেছি, আমাদের সমাজ আমাদের শিখিয়েছে, ভালো পড়াশোনা করলে ভাল চাকরি করা যায়, কোট টাই পড়ে বড় অফিসে যাওয়া যায়। কিন্তু সন্দীপ সিং তা করছেন না, বিক্রি করছেন সবজি। যদিও এই কাজে তার কোন আক্ষেপ নেই। ১১ বছর পাতিয়ালা পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। আসলে তার চাকরিটা ছিল চুক্তিভিত্তিক, তার উপর বেতনও বারবার কমিয়ে দেওয়া হতো। কোন কোন মাসে আবার টাকা পেতেনই না। এই বাজারে এসংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে ৩৯ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাধ্য হন সবজি বিক্রি করতে। প্রথমটা তার কাছে খুব চ্যালেঞ্জের ছিল। এখন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। এক সময় অধ্যাপনা করে যে টাকা আয় করতেন, এখন শাকসবজি বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করছেন।
এই পৃথিবীতে কোন কাজই কিন্তু ছোট নয়। সব কাজই অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু ফারাকটা কি বলুন তো, স্বপ্ন আর প্রত্যাশার। যে স্বপ্নের জন্য আপনি দীর্ঘ দিন লড়াই করলেন, সময় ইনভেস্টমেন্ট করলেন কিন্তু শেষমেষ স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। যার স্বপ্ন ভাঙে, সেই জানে তার যন্ত্রণা। আরো আশ্চর্য এর বিষয় কি জানেন? এই পৃথিবীতে আপনার স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রণার খোঁজ কেউ নেবে না। শুধু শুধু আপনার ব্যর্থতা টাই দেখবে।
তা বলে সন্দীপ বাবু কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। দিনভর সবজি বিক্রি, আর রাতে চলে পড়াশোনা। আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও থেমে নেই। এনার স্বপ্ন, একটা ভালো টিউশন সেন্টার তৈরি করা। আর তার জন্যই একটু একটু করে টাকা জমাচ্ছেন। বিশ্বাস করেন, মানুষের ক্ষমতায়নের আসল চাবিকাঠি শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই জীবনটা বদলে ফেলা যায়। তার জন্য সবজি বিক্রি করলে খুব একটা অসুবিধা নেই। সন্দীপবাবুর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, হার না মানা জেদ আমাদের অনুপ্রেরণা।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন