Connect with us

জাতীয়

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে ব্যবস্থা নেবো: অর্থমন্ত্রী

Published

on

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন প্রস্তাব দিলে বিবেচনা করতে পারেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটিই আমাদের সবার বক্তব্য। এখনো এটি ফেক্সিবল স্টেজে আছে। কখনো বাড়ছে, আবার কমছে। যখন স্ট্যাবল কন্ডিশনে আসবে, আমার বিশ্বাস প্রতিমন্ত্রী যা বলেছেন আশা করি সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশে টাকা পাচারকারীদের খোঁজ পেতে আপনার হাতে কি কোনো ম্যাকানিজম নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদে কথা বলার আগ থেকে আমি বলেছিলাম, আমাকে সুস্পষ্টভাবে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য জানাতে। সেভাবে না পেলেও পত্রপত্রিকায় কিছু নাম পেয়েছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট যারা আছে তারা কাজ করছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনগত প্রক্রিয়ায় যাকে যা শাস্তি দেওয়ার সে শাস্তি সে পাচ্ছে।

‘গত দু-তিন বছরে কে কত শাস্তি পেয়েছে এগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। একদিন আমি আপনাদের মন্ত্রণালয়ে নিমন্ত্রণ করবো এবং আপনাদের কাছে এগুলো তুলে ধরবো, আমরা কী ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে। আমি কিন্তু কিছু ব্যবস্থা নিতে পারবো না। ব্যবস্থা নেবে আমাদের আইন বিভাগ থেকে শুরু যারা আছে তারা।’

Advertisement

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার তো কোনো নিজস্ব মেকানিজম নেই। মেকানিজম হলো সরকারের টাকা মেকানিজম। দেশের সকল মানুষের টাকা মেকানিজম। আমার আছে আইন। আমাদের আইনের জন্য আমাদের যে ব্যবস্থা সে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। কেউ যদি দুর্নীতি করে, কেউ যদি পাচার করে, মামলা করা হয় এবং তাদের জেলে নেওয়া হয়, সাজা দেওয়া হয়। কোর্ট যা মনে করবে সেভাবে বিচার ব্যবস্থা চলছে।

ওমিক্রন বিশ্ব অর্থনীতিকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে, এটা মোকাবিলায় আপনি কোনো চিন্তা করছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনো সংক্রমিত হইনি। আগে যেভাবে করোনা দেখা দিয়েছিল সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করেছি। অর্থনীতির জন্য যা যা করণীয় সাধ্যানুযায়ী দেশের সকল মানুষকে অনেক সাপোর্ট দিয়ে গেছি। আমার মনে হয় এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটবে না। সংক্রমণটা অতটা কঠোর নয়। আমরা এখনো জানি না কতে কঠোর হেবে। আমরা বিশ্বাস করবো আল্লার রহমতে আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। এ ধরনের কোনো বিপর্যয় আসে সরকার সব সময় প্রস্তুত এটাকে মোকাবিলা করার জন্য, দেশের জনগণকে সাহায্য করার জন্য।

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় কত কর্মী যেতে পারেননি জানালেন প্রতিমন্ত্রী, কারণ খুঁজতে কমিটি গঠন

Published

on

মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ে দেশটিতে ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী যেতে পারেনি। যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের না যেতে পারার কারণ খুঁজতে আমরা ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটা তদন্ত কমিটি করেছি। সেই কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন এবং তাদের সুপারিশ জমা দেবে। যারা এটার জন্য দায়ী হবে তাতের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। বললেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো (৩১ মে) পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ কর্মীকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। আর ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন গেছেন মালয়েশিয়ায়। সে হিসেবে কমবেশি ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। সংখ্যাটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

শফিকুর রহমান রহমান বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজন হলে কর্মীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে। মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার বারবার সিন্ডিকেট বা চক্রের কারণে বন্ধ হচ্ছে। সিন্ডিকেটে সরকারের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের নামও এসেছে গণমাধ্যমে। যে বা যারা এই তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই, আমাদের আড়াই হাজার এজেন্ট আছে, তাদের মাধ্যমে কর্মীরা বিদেশ যাক।

Advertisement

শেষ সময়ে কর্মীদের ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছাড়পত্র তারা যখন চেয়েছে, রিক্রুটিং এজেন্সি যখন চেয়েছে আমরা প্রয়োজনীয়তা দেখে দ্রুতই তা দিয়েছি। না হলে সবাই বলবে মন্ত্রণালয় দেয়নি। সে কারণে যে সময় যেটার প্রয়োজন হয় সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কর্মীদের না যেতে পারার কোনো গাফিলতি ছিল না দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ে গাফিলতি হয়নি। এখনও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা এক সপ্তাহ আগে চিঠি দিয়েছিলাম মালয়েশিয়া সরকারকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য। মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপ করছি। তিনি ৫ তারিখে মন্ত্রণালয়ে আসবেন। তখন তার সঙ্গে আবারও এ বিষয়ে কথা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,বন্ধ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকার মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের খুলবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলেই জরিমানা

Published

on

নতুন কাস্টমস আইন-২০২৩ অনুসারে বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। আর তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া, নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে এলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে ওই আইন।

গেলো বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন এবং কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন-২০২৩ পাস হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, যেমন- অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) ইত্যাদি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুসারে, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হলে বা কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল। নতুন কাস্টমস আইনে কনটেইনার জট এড়াতে শুল্কায়নের ১০ দিনের মধ্যে শুল্ক-কর পরিশোধ করে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাসে ব্যর্থ হলে ১০ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করলে আরও গ্রহণযোগ্য হবে’

Published

on

জাতীয় নির্বাচন যদি ধাপে ধাপে আয়োজন করা যায় তাহলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে নির্বাচনের আয়োজন করতেও সহজ হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনও নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এটি করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২ জুন) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা টিআইবিকে বলেছি- জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে আরও বেশি সুষ্ঠু করা যাবে। কারণ, তখন আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আরও বেশি পোলিং এজেন্ট মোতায়েন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও তার কয়েকজন সহকর্মী এসেছিলেন। আমরা পুরো কমিশন তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরাই মূলত তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার কারণটা হচ্ছে— প্রায়ই আমাদের মধ্যে এসএমএস (শর্ট ম্যাসেজ) এর মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছিল। তাই আমরা আরও বড় পরিসরে আলোচনা করতেই আজ বসেছিলাম।

বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তাদের মূল দাবিটা ছিল আমরা যেন দ্রুত তথ্য দেই। উনারা (টিআইবি) তথ্যের অবাধ প্রবাহ চাচ্ছেন। যেকোনো তথ্য যেন আমরা ওয়েবসাইটে সাথে সাথে তুলে দেই সেকথা তারা বলেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উনারা বলেছেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছি না।

Advertisement

সিইসি আরও বলেন, টোটাল নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। এবারের নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে ফেয়ার হয়েছে। ইভিএম প্রযুক্তি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এটি নিয়ে অনাস্থা ছিল, এখনও আছে। তবে ইভিএমে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে, এখানের ভোট ওখানে চলে গেছে। ইভিএমকে আরও সহজ করা যেতে পারে।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে বৈঠকে বসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version