Connect with us

বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪

Published

on

নারায়ণগঞ্জের বিলাসনগর এলাকার ছয়তলা ভবনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটি এলাকার কাসেম মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন বুলবুলের বাড়ি। 

এ ঘটনায় ওই বাড়ির চারজন দগ্ধ হয়েছে। 

শনিবার (০৪ নভেম্বর) রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হয় মিলন হোসেন (২৬)। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে পাশের ফ্ল্যাটের একই পরিবারের আরও তিনজন আগুনে পুড়ে। 

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত ঘটেছে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

দগ্ধরা হলেন- মিলন হোসেন (২৬), ওসমান গণি (২৫), সাহেদ মিয়া (৩০) ও চায়না বেগম (৩৭)। এর মধ্যে মিলন হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

Advertisement

দগ্ধদের সবাই রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখারায় চাকরি করেন বলে জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান জানান, আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

মুক্তা মাহমুদ

জাতীয়

ঈদযাত্রার ১৩ জুনের রেলের টিকিট বিক্রি শুরু

Published

on

ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যাত্রীদের অনলাইনে এ টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে।

সোমবার (৩ জুন) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাত্রী সাধারণের টিকিট ক্রয় সহজলভ্য করার জন্য পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮ টায় বিক্রি শুরু হয়েছে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা হতে বিক্রি শুরু হবে।

যারা আজ টিকিট ক্রয় করছেন তারা আগামী ১৩ জুন ভ্রমণ করতে পারবেন। একজন যাত্রী ঈদে অগ্রিম ও ফিরতির সর্বোচ্চ একবার টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং সর্বাধিক ৪টি আসনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যাত্রীর সর্বোচ্চ এই ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম সংযুক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রার এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে প্রতিবার টিকিট ক্রয়ের সময় নিবন্ধনকৃত মোবাইল নম্বরে ওটিপি প্রেরণের ব্যবস্থা করা হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হঠাৎ বদলি

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় ঢাকায় হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এডিসি শাহিদুর রহমানকে হঠাৎ বদলি করা হয়েছে। যখন ঘটনার তদন্তে এই কর্মকর্তা নেপাল অবস্থান করছেন, তখনই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তার বদলির প্রজ্ঞাপন হলো। শনিবার (১ জুন) একই প্রজ্ঞাপনে আরও ২২ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

রোববার (২ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে তাকে বদলি করে বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারি বিভাগের এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ বিষয় ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহিদুর রহমানের বিচক্ষণতা ও কর্মদক্ষতায় আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তদন্তের কাজে তিনি ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে কলকাতাতেও গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারসহ তদন্তে সফলতা নিয়ে ফিরে আসেন এই ডিবি কর্মকর্তা। একদিনের ব্যবধানে এ ঘটনার তদন্তে শনিবার (১ জুন) হারুনের সঙ্গে তিনিও গিয়েছেন নেপাল।

এর আগে, মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার তদন্তেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন ডিবি কর্মকর্তা শাহিদুর। বিদেশ থেকে আসামি ধরে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও দিয়েছিলেন দক্ষতার পরিচয়।

Advertisement

আনার হত্যার তদন্ত চলাকালে শাহিদুরের এই বদলিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে ঠিক কী কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এটা নিয়মিত বদলি।

তবে ডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, বদলির এই তালিকা অনেক আগেই করা হয়েছিল। হয়ত সেটিই রোববার পুলিশ প্রধান সই করেছেন। শাহিদুর যে এমপি হত্যার ঘটনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তদন্তে রয়েছেন, তা হয়ত চোখ এড়িয়ে গেছে।

আরেকটি সূত্র বলছে, এমপি আনারের নির্বাচনী এলাকাতেই এডিসি শাহিদুর রহমানের বাড়ি। তার বদলিতে এটি ইস্যু হয়েছে কি না, তাও রয়েছে আলোচনায়।

 

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

যে কারণে সাপ হয়ে ইরানকে ছোবল মারছে সিরিয়া

Published

on

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। সংগৃহীত ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ক্রমেই উত্তপ্ত ও জটিল আকার ধারণ করছে। গাজা ইস্যুতে আরব দেশগুলোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি-অবিনতি কিংবা বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

এক সময় পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনে সৃষ্টি হওয়া আরব বসন্তের ঢেউয়ে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে মিশর, তিউনিশিয়া, ইয়েমেনসহ বেশ কয়েকটি দেশের। তবে  ‘আরব বসন্ত’ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশকে টলাতে পারেনি তারাই আজ শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র। নিজ স্বার্থরক্ষায় বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্রের অকৃত্রিম সহায়তাও ভুলে যাচ্ছে অনেক দেশ। হাত মেলাতে দ্বিধা করছে না এক সময়ের শত্রু  রাষ্ট্রের সঙ্গেও।

‘বন্ধু থেকে শত্রু ’ আর ‘শত্রু থেকে বন্ধু’  দাবার ছকের  এই খেলায় এবার নতুন চাল দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। প্রায় একযুগ ব্যাকফুটে থাকার পর বাশার আল আসাদ সরকারের এমন প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের সব সমীকরণ বদলে দেবে।

২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরু হলে পুরো পশ্চিম বিশ্ব যখন সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছিলো তখনও রাশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো অকৃত্রিম ও বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র ইরান। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই বিশ্বস্ত বন্ধুর বুকেই যেনো ছুরি চালাতে চাইছে সিরিয়া।  কয়েক দশকের পুরনো আর বিশ্বস্ত বন্ধু  ইরানকে ধরাশায়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাশার আল আসাদ সরকার।

দামেস্ক-তেহরানের কৌশলগত সম্পর্ক বেশ কয়েক দশকের পুরনো। ১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরু হলে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়েছিলো দামেস্ক। টানা আট বছর ইরানকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছিলো সিরিয়া। এর প্রতিদানে ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ‘প্রক্সিযোদ্ধা’ সরবরাহের পাশাপাশি কাড়ি কাড়ি ডলার দিয়ে বাশার আল আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখছে ইরান।

Advertisement

তবে সম্প্রতি দেশ দুটির কয়েক দশকের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বেশ ফাটল ধরেছে। চলতি বছরের মে মাসে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আরব লিগ সামিটে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই সামিটে ১৩ বছর বহিষ্কার থাকার পর সিরিয়াকে আবারও আরব লিগে ফিরিয়ে আনা হয়।  এর প্রতিদানে আবু মুসা, লেসার তুনব ও গ্রেটার তুনব-এই তিনটি দ্বীপের ওপর আরব আমিরাতের সার্বভৌমত্বের ঘোষণায় সমর্থন জানায় সিরিয়া।

ইরান কখনও ভাবতে পারেনি আরব আমিরাতের দাবিকে সমর্থন জানাবে সিরিয়া।  আরব আমিরাত দীর্ঘিদিন ধরে এই তিনটি দ্বীপের মালিকানা দাবি করে আসলেও ১৯৭১ সাল থেকে দ্বীপগুলোর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইরানের হাতে। তাই বন্ধুর পক্ষে কথা না বলে শত্রু  শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়া সিরিয়ার এই প্রবণতা ভাল চোখে দেখছে না ইরান।  এনিয়ে দেশটিতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অসন্তোষ।

বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ইরানের সমর্থন ও রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ না থাকলে ক্ষমতায়ই টিকে থাকতে পারতেন না প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। অথচ সেই বাশার আল আসাদের সরকারই এখন সাপ হয়ে ছোবল দিচ্ছে ইরানকে।

তবে এতকিছুর পরও তেহরানের সঙ্গে দামেস্কোর সম্পর্কে ভাটা পড়বে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। তারা বলছেন, সম্পর্কে ভাটা পড়ার কোনো কারণ নেই।  আরব লিগে সিরিয়ার প্রভাব খুব একটা নেই, তাই আমিরাতের হাত ধরলেও তা দামেস্ক-তেহরান সম্পর্কে ক্ষতির কারণ হবে না। আর সেটা ভাল করেই জানেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version