Connect with us

বাংলাদেশ

ফোর্বসের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Published

on

মার্কিন অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের ২০২১ সালের বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৩তম স্থানে রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে রাজনীতি, মানবসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং গণমাধ্যম খাতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসা প্রভাবশালী নারীদের মাঝ থেকে ১০০ জনকে বেছে নিয়ে সোমবার এই তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের এই তালিকায় ৪৩তম স্থানে আছেন। এর আগে ২০২০ সালে ফোর্বসের প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ৩৯তম স্থানে ছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস লিখেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন তিনি; যা তার মেয়াদেই টানা তৃতীয়বার। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জিতে তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

ফোর্বস বলছে, এবারের মেয়াদই নিজের জন্য শেষ হিসেবে মনে করেন শেখ হাসিনা। এই মেয়াদে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। 

মার্কিন এই সাময়িকী লিখেছে, ‌‘শেখ হাসিনার চলমান লড়াই বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। বাংলাদেশি নির্বাচনে ভোটারদের দমনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা ও তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

Advertisement

২০০৪ সাল থেকে প্রত্যেক বছর বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস। এবারের ১৮তম সংস্করণে মার্কিন এই সাময়িকী বিশ্বের ৪০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), ১৯ বিশ্ব নেতা, একজন ইমিউনোলজিস্ট রয়েছেন। এক দশকের বেশি সময় পর এবারই প্রথম নতুন প্রভাবশালী নারী বেছে নিয়েছে ফোর্বস।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল টানা দশমবারের মত গত বছরও এই তালিকার শীর্ষস্থানে ছিলেন। তবে এবার প্রথমবারের মত শীর্ষস্থান খুইয়েছেন তিনি।

ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ও সমাজসেবক ও লেখক ম্যাকেঞ্জি স্কট ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী নির্বাচিত হয়েছেন। ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসানের পর ২০১৯ সালে আমাজনের ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন ম্যাকেঞ্জি স্কট। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনী নারী তিনি। কিন্তু সেই সম্পদে তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার—এবং অর্থবহ ও বৈপ্লবিক উপায়ে দান করার দৃঢ় সংকল্প তাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে।

ফোর্বসের শত প্রভাবশালী নারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ-এশীয় নারী হিসেবে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। ফোর্বস বলছে, অনেক প্রথমের জন্ম দেওয়া কমলা হ্যারিস ২০১৬ সালে প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন।

তারও আগে ২০১০ সালে প্রথম আফ্রো-আমেরিকান এবং প্রথম নারী হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

Advertisement

ফোর্বসের এই তালিকায় গত বছর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিন লাগার্দ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এবার ৩ নম্বরে নেমে গেছেন তিনি। গত মে মাসে স্বামী বিল গেটসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী নারীতে পরিণত হওয়া মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৫ম স্থানে আছেন।

মানবাধিকার ও নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছেন তিনি। বিচ্ছেদ হলেও দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মেলিন্ডা গেটসের সম্পদের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারীদের এই তালিকায় ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আছেন ৩৭তম স্থানে। গত বছর এই তালিকায় ৪১তম স্থানে ছিলেন ২০১৯ সালে ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সীতা। তিনিই ভারতের প্রথম পূর্ণ নারী অর্থমন্ত্রী।

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement

জাতীয়

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ, বাড়তে পারে আরও : ইসি সচিব

Published

on

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৭ উপজেলায় ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে, ভোট পড়ার এ হার আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনও ৮৭ কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। বলেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিদায়ী সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সচিব ও নবাগত সচিব শফিউল আজিমের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

বুধবার (২৯ মে) ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ যাবৎ উপস্থিতির যে তথ্য পেয়েছি, সেটি আমাদের পর্যালোচনায় ৩৫ শতাংশের কম-বেশি হতে পারে। বেশিও হতে পারে। নিশ্চিত করে বলত হয়তো আরও ২৫ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার কাছে তথ্য চাইতেন। অনেক সময় তথ্য থাকতো না। আপনারা আমাকে খোঁচা দিতেন। আমি হয়তো আপনাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছি, যা শোভন নয়। তবে, আমাদের স্বচ্ছতার কোনও ঘাটতি ছিল না। আমার আচরণে আপনাদের সহসা কষ্ট দিতে চাইনি। তবুও বিদায় বেলায় আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে ইসির বিদায়ী সচিব বলেন, আপনারাই আমাদের জনগণের কাছে চিনিয়েছেন।

Advertisement

গেলো ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাংগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে বদলির আদেশ হয়। পটুয়াখালীর সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাহাংগীর বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসাবে ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগেই যুগ্ম সচিব এবং অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন এবং ইসিতে দায়িত্বে আসেন। তার মেয়াদের মধ্যেই এই বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জও ছিল ইসির সামনে।

এদিকে, নতুন সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমরা তো রাজনীতির ভেতরেই বসবাস করি। গণতন্ত্র, সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ সবকিছু মিলিয়েই গণতন্ত্র। কাউকে আইনের বাইরে গিয়ে সেবা দেয়া যাবে না। আপনাদের যেটি প্রাপ্য সেটি শতভাগ দেয়া সম্ভব।

২১ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে ইসি সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শফিউল আজিমের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি ১৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রশাসনের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে শফিউল আজিমকেই প্রথম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করা হলো। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন ও বিধি অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন শফিউল আজিম। সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ছিলেন তিনি।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত নিয়ে যা বললেন গণশিক্ষা সচিব

Published

on

সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তেরও নির্দেশ দেয়া হয়। এতে অপেক্ষায় থাকা ৪৬ হাজার ভাইভা পরীক্ষার্থীদের আপাতত কোনো বার্তা দিতে পারছে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় স্থগিত হওয়া ভাইভা আদৌ হবে নাকি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ে কপি এখনো পাইনি। রায়ের কপি পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। কারণ রায়ে নানা ধরনের পর্যবেক্ষণ দিয়ে থাকে। সেটা না দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।

সচিব বলেন, আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের রায়ে যদি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়, তাহলে পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আর যদি অন্য কিছু বলে তাহলে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়েও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আগে রায়ের কপি দেখবো। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো

Advertisement

এর আগে গেলো মঙ্গলবার রায়ের পর গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছিলেন, এ রায়ের পর করণীয় ঠিক করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বুধবার বা বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তার মধ্যে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলা হবে। আপিলে যদি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয় তাহলে ভাইভা নিতে কোনো সমস্যা থাকবে না। এরমধ্যে রায়ের কপি না পাওয়ায় সেই বৈঠকটি হয়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা স্থগিত রাখার আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁস হয়েছে কি না তা তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ২১ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর ২১ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ২৩ হাজারে কিছু বেশি প্রার্থীকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। কিন্তু কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে একদিন পর ২২ এপ্রিল সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সেই প্রার্থীদের ভাইভা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

মেয়াদ বাড়ল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেয়ার হস্তান্তরে স্থিতাবস্থার

Published

on

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে আপাতত স্থিতাবস্থাই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন সেন্টারে প্রথম মিটিং হওয়া পর্যন্ত এই স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইতালিয়ান থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর আগে গেলো ১৬ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।

সেদিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেছিলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজে টাকা দেবেন না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।

Advertisement

গেলো ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।

বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি করবেন।

পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।

এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

Advertisement

হঠাৎ করেই শ্রমিকশূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোনো নির্মাণযজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেসওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুতগতিতে। জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ।

তিন বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধ আছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।

থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version