আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে যেসব দেশ
Published
10 months agoon
By
আন্তর্জাতিক ডেস্কবাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৪ মে) এক টুইট বার্তায় প্রথমে এমন হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা’র (রয়টার্স, সিএনএন, সোমালি গার্ডিয়ান) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনে ‘অনিয়ম’ করার দায়ে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল যেসব দেশ—
নাইজেরিয়া
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বোলা আহমেদ তিনিবু। তবে এ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে গত ১৬ মে কয়েকজন নাইজেরিয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন।
ওইদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। ভোটের ফলাফলে কারচুপি করেছেন এবং নাইজেরিয়ার গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যাপারে হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে কাদের ওপর নিষেধাজ্ঞ আরোপ করা হয়েছে। তাদের নাম বা পরিচয় কিছুই প্রকাশ করা হয়নি।
উগান্ডা
২০২১ সালে আফ্রিকারই আরেক দেশ উগান্ডায় নির্বাচনের কারচুপির দায়ে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ওই বছরের জানুয়ারিতে উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে জয় পান ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইউয়েরি মুসেভেনি।
উগান্ডায়ও কাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটি প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। তবে ওই সময় নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি অস্বীকার করেছিল উগান্ডার সরকার।
বেলারুশ
২০২০ সালে ইউরোপের দেশ বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জয় পান।
ওই নির্বাচনে কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে দমন-নিপীড়নের অভিযোগে ৮ বেলারুশিয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এছাড়া ওই সময় বেলারুশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
নিকারুগুয়া
২০২১ সালে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারুগুয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ড্যানিয়েল ওরতেগা।
নির্বাচনে কারচুপি এবং এতে সহায়তা করার অভিযোগে বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
গেরিলা যোদ্ধা থেকে রাজনীতিতে আসা ড্যানিয়েল ওরতেগা ওই বছর চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক অসংগতি ধরা পড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ফলাফলকে ‘অবৈধ’ হিসেবে আখ্যা করে।
সোমালিয়া
২০২২ সালে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছিলেন, যাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারা সোমালিয়ার গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করছেন, বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করছেন।
অন্যান্য কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা
নির্বাচনে কারচুপি করা ছাড়াও অন্যান্য কারণেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে নারীদের কাজ করার অধিকার খর্ব করার কারণে, মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর জান্তা সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণে এবং অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাকিস্তানের কয়েকজনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।
এছাড়া প্রতিবছর মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগেও ব্যক্তি পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও এর আওতায় পড়েন। এ নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভিসা পান না। এমনকি ভিসা দেওয়া থাকলেও সেটি বাতিল করে দেয়া হয়।
অন্যরা যা পড়ছেন
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
মেঘনায় ট্রলার ডুবি : আরও তিন মরদেহ উদ্ধার
অন্যান্য
টাইটানিক ছবির রোজকে ভাসিয়ে রাখা সেই কাঠ পৌনে ৮ কোটি টাকায় বিক্রি
Published
16 mins agoon
মার্চ ২৮, ২০২৪বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র টাইটানিক।বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার গল্পে ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় ‘টাইটানিক’ সিনেমা। ছবিটির শেষ দৃশ্যে অভিনেত্রী রোজ যে কাঠের ওপরে ভেসে বেঁচে ছিলেন, সেটিই এবার নিলামে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭ কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার বেশি।
পর্দায় এই দুই তারকার রসায়ন ছুঁয়ে যায় লাখো কোটি দর্শকের হৃদয়। এখনও ভক্তদের মনে ঝড় তোলে রোজ-জ্যাকের ভালোবাসার সম্পর্ক ও বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। বিশেষ করে সিনেমার শেষের দিকে নায়িকা রোজকে জাহাজের একটি ভাঙা দরজার ওপর রেখে নিজে বরফ শীতল পানিতে ভেসে থাকার সেই মুহূর্ত কাঁদিয়েছে সকলকে।
১৯১২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক প্রথম যাত্রাতেই ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ই ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্র টাইটানিকের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন হলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন।
টাইটানিক ছবিতে রোজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ক্যাট উইন্সলেট আর জ্যাকের চরিত্রে অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। সেই ছবির জ্যাক আর রোজ এখনও মানুষের স্মৃতিতে অম্লান। সিনেমায় দেখা গেছে, জাহাজডুবির পর টাইটানিকের যাত্রীদের বেঁচে থাকার মরিয়া চেষ্টা। অপর্যাপ্ত লাইফ বোটে ঠাঁই হয়নি বেশিরভাগ যাত্রীর।
এর মধ্যেই দেখানো হয়, ঠান্ডা বরফ জমা পানিতে একটি কাঠের টুকরোর ওপর ভেসে আছেন রোজ। সিনেমাটি সারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কাঠের টুকরোটিকে অনেকে দরজা বলে ভুল করলেও এটি আসলে ছিল জাহাজের লাউঞ্জের প্রবেশপথের দরজার ফ্রেমের অংশ।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাঠের এই টুকরোটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলে এসেছে যে, জ্যাক এবং রোজ দুইজনই এই কঠের খণ্ডের ওপরে ভেসে থাকতে পারতেন কিনা। কাঠ খণ্ডটি ছিল ৮ ফুট লম্বা এবং প্রায় সাড়ে তিন ফুট চওড়া।
ওই নিলামে আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিনেমার ব্যবহৃত পণ্য, সরঞ্জামও তোলা হয়। তবে এসব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে টাইটানিকের সেই দরজাটি। কারণ এই দরজা নিয়ে সিনেমার পরে অনেক প্রশ্ন ছিল।
জ্যাক ভক্তরা নির্মাতা জেমস ক্যামেরনকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন সেই দরজায় জ্যাককে তোলা হয়নি? কেন তাকে বাঁচানো হলো না? এ সকল প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন পরিচালক।
কাঠটি নিলামে তোলার সময় বলা হয়েছিল, “বিশাল জিনিস। সত্যিই সবচেয়ে বড় দৃশ্য। চূড়ান্ত দৃশ্য। এটিই সেই বিদায়।” ৯০ হাজার ডলার থেকে দাম হাকা শুরু হয়। ৫ মিনিট পরই দাম ৫ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায় ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ ডলারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে, কাঠের টুকরোটি দুই দশক ধরে পড়ে ছিল স্টোরেজে। তার আগে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় প্ল্যানেট হলিউডে এটি ডিসপ্লেতে রাখা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ছুরি হামলার ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইলিনয়ের রকফোর্ড শহরে এ ঘটনা ঘটে।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার বিকেলে একটি বাড়িতে হামলার পর এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। রকফোর্ড পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতরা হলেন-১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ ও ২২ বছর বয়সী দুজন পুরুষ।
এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ হামলাগুলোর উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, ফ্লোরেন্স স্ট্রিটে একটি বাড়িতে হামলা চালানো হলেও একাধিক স্থানে এই ছুরিকাঘাতের হামলা চালানো হয়েছে।
উইনেবাগো কান্ট্রি শেরিফ গ্যারি কারুয়ানা বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর কাছ থেকে দৌড়ে পালানোর সময় এক তরুণীর হাত ও মুখে ছুরিকাঘাতের ক্ষত দেখা যায়। ওই তরুণী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তরুণীকে সাহায্য করতে গিয়ে আরেক ব্যক্তিও ছুরিকাঘাতে আহত হন।
রকফোর্ড পুলিশপ্রধান কারলা রেড বলেন, রকফোর্ড পুলিশ দুপুর ১টা ১৪ মিনিটের দিকে ফোন কল পায়। ওইসময় এক ব্যক্তি চিকিৎসা সহায়তার জন্য অনুরোধ করছিলেন। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীর জন্য কল দেন।
কারলা বলেন, আমরা মনে করছি, এই ঘটনার সঙ্গে একমাত্র ২২ বছর বয়সী ওই যুবকই জড়িত। তার কোনো সহায়তাকারী ছিল না। যেসব এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, আমরা সেই জায়গাগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখছি। পাশাপাশি এলাকাগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
রকফোর্ড পুলিশপ্রধান কারলা রেড আরও বলেন, নিহতদের সবাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়নি, তবে কারও শরীরে গুলির ক্ষত পাওয়া যায়নি।
রকফোর্ডের বাসিন্দা রুথ গ্যালাঘের সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে জানান, নিহতদের মধ্যে তাঁর পোস্টম্যান রয়েছে। মার্কিন ডাক বিভাগও একজন পোস্টম্যানের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে রকফোর্ড শহরের মেয়র টম ম্যাকনামারা বলেন, ‘যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবার ও আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ। তবে এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) প্রকাশিত জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক–পঞ্চমাংশ।
আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয়। জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।
খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে, যার পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।
এধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।
ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।’
খাবার অপচয়ের আরেকটি কারণ হিসেবে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে সোয়ানেল বলেন, উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।
উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয়
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...
শিশু ক্রয়ের অর্ডার নিয়ে অপহরণ করতো তারা
রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা...
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও নির্দেশনা...
জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদের রিলিজ করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন...
বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে মার্কিন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: মিলার
আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।...
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
টাইটানিক ছবির রোজকে ভাসিয়ে রাখা সেই কাঠ পৌনে ৮ কোটি টাকায় বিক্রি
‘দুঃসময় চলছে, সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন’
তরমুজ দিয়ে যেভাবে রূপচর্চা করবেন
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একাধিক ছুরি হামলা, নিহত ৪
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন যারা
আবারও স্বর্ণের দামে রেকর্ড
আবারও গুলি ও মর্টার গোলার শব্দে কাঁপছে টেকনাফ
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
পরীক্ষায় উত্তরপত্র দেখায়নি, হল থেকে বেরতেই কোপালো সহপাঠীরা!
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে আম্পায়ার সৈকত
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন