কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এর গুলি ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩১ মে) সকাল পৌনে ৬ টায় কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের সীমান্তবর্তি নকরজান এলাকার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নং ৯৪০ এর সাব পিলার ৬ এসের নিকট এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই সীমান্তে বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্তবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল পনে ৬ টার দিকে উপজেলার কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের নকরজান সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নং ৯৪০ এর সাব পিলার নং ৬ এসের নিকট দিয়ে একই এলাকার পাঁচারকারী মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন (৪০), গোলাম রহমানের ছেলে সাহেব আলী (৩১), ফজি ব্যাপারীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৯) ও মনসুর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান হাফি (৪২)সহ একটি পাঁচার চক্র একত্রিত হয়ে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার সেউটি-২ বালাতারী গ্রামের আতাউর রহমানের নেতৃর্ত্বে ১০/১২ জনের একটি পাঁচারকারী সদস্য কাঁটাতারের উপর দিয়ে পোটলা করে গরু মাংস পাঁচার করার সময় তাদেরকে লক্ষ্য করে ১৩৮ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহীনি’র (বিএসএফ) ছাবরি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা প্রথমে গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং পরে গুলি চালান। এ সময় হাফিজুর রহমান হাফি মাথায় গুলির স্পীন্টারের আঘাতে গুরুতর জখমসহ মুখ মন্ডল মারাক্তক ভাবে থেতলিয়ে যায়। পরে তাকে সহযোগীরা মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং তার স্বজনরা তাকে রংপুর শহরে একটি অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আহত বাংলাদেশি হাফিজুর রহমান হাফি সীমান্তঘেষা চন্দ্রখানা নকরজার এলাকার মনসুর আলীর ছেলে। বর্তমানে ওই সীমান্তে বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে। দুই দেশের পাঁচারকারী চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে গরুর মাংস ও গাঁজ-ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাঁচার থাকেন বলে সীমান্তে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
আহত বাংলাদেশি হাফিজুর রহমানের স্বজন ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন যে ভাবে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং পরে গুলি চালিছেন তাতে হাফিজুর রহমান হাফির মাথার ডান দিকে কানের ওপরে গুলির স্প্লীন্টারের আঘাত লাগে। এতে তার মুখ মন্ডল মারাক্তক ভাবে থেতলিয়ে যায়। তবে তিনি সুস্থ হলেও তার দুই চোখ অন্ধ হওয়ার আশংকা করছেন পরিবার।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আশরাফ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে বিজিবি’র টহলদল জোরদার করা হয়েছে।