ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেটের সবথেকে জনপ্রিয় আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল। টুর্নামেন্টির ১৬তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলেছে হলুদ জার্সি ধারীরা।
বুধবার (৩১ মে) ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম 'ইএসপিএন ক্রিকইনফো' আইপিএলের ১৬তম আসরের মৌসুম সেরা একাদশ নির্বাচন করেছে। ওই একাদশে সর্বোচ্চ ৪ জন রয়েছেন রানার্সআপ দল গুজরাট টাইটান্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ জন আছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।
চলুন দেখে নেই আইপিএলে ক্রিকইনফোর মৌসুম সেরা একাদশ:
শুভমান গিল (গুজরাট টাইটান্স): আইপিএলে এবারের মৌসুমে তিন সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ৮৯০ রান করেছেন শুভমান গিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই মৌসুম সেরা একাদশে ২৪ বছর বয়সী ভারতীয় ওপেনারকে রাখতেই হবে।
ফ্যাফ ডু প্লেসি (রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেছেন বেঙ্গালুরু ওপেনার ফ্যাফ ডু প্লেসি। ১৪ ইনিংসে আট ফিফটি প্লাস ইনিংসে ৭৩০ রান করেছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। কোন ম্যাচেই ২০ রানের নিচে করেননি তিনি।
ক্যামেরুন গ্রিন (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স): অস্ট্রেলিয়ার পেস অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ভালো খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে ১০ ম্যাচে ৪১৯ রান ও বল হাতে ৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল মুম্বাই।
সূর্যকুমার যাদব (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স): জাতীয় দলে বাজে সময়ের মতো আইপিএলের শুরুও বাজে হয়েছিল সূর্যকুমারের। এরপর ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এই ব্যাটার ঝলক দেখাতে শুরু করেন। ১৬ ম্যাচে ১৮১ স্ট্রাইক রেটে তিনি ৬০৫ রান করেছেন।
তিলক ভার্মা (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স): মুম্বাইয়ের মিডল অর্ডারে নিয়মিত ভালো ব্যাটিং করেছেন তিলক ভার্মা। আসরে ১১ ইনিংসে ৩৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। স্ট্রাইক রেট ১৬৪.১১। ৮৪ রানের ইনিংসে আসর শুরু করা তিলক ১৪ বলে ৪৩ রান করে আসর শেষ করেন।
হেনরিক ক্লাসেন (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ): জাতীয় দলে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করলেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে হেনরিক ক্লাসেনকে পাঁচে খেলিয়েছে। হায়দরাবাদের হয়ে তিনি ১১ ম্যাচে ১৭৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৪৮ রান করেছেন।
রিংকু সিং (কলকাতা নাইট রাইডার্স): পাঁচ বলে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে কেকেআরকে ম্যাচ জেতানো রিংকু সিং দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন। দলের প্রয়োজন বুঝে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে দেড়শ’ ছোঁয়া স্ট্রাইক রেটে ৪৭৪ রান করেছেন তিনি।
রবীন্দ্র জাদেজা (চেন্নাই সুপার কিংস): ব্যাট হাতে ১৬ ম্যাচে মাত্র ১৯০ রান করেন জাদেজা। তবে বল হাতে ২০ উইকেট নিয়ে পারফেক্ট অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। স্পিনার হিসেবে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে তিনজনের।
রশিদ খান (গুজরাট টাইটান্স): আইপিএলে এবারই সবচেয়ে বেশি গড়ে রান দিয়েছেন রশিদ খান। তবে ২৭ উইকেট নিয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন। ব্যাট হাতে ১৩০ রান করে ও দুই-তিনটা ম্যাচে দুর্দান্ত ঝড় দেখিয়ে বড় কিছুর আশা দিয়ে রেখেছেন তিনি।
মোহাম্মদ শামি (গুজরাট টাইটান্স): আসরের সর্বোচ্চ ২৮ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। এর মধ্যে পাওয়ার প্লেতে তিনি ছিলেন প্রতিপক্ষের ত্রাস। শামির মোট উইকেটের ১৬জন প্রতিপক্ষের টপ থ্রি ব্যাটার। তার গড় ইকোনমি ৮.০৮।
মোহাম্মদ সিরাজ (রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সিরাজ খুব বেশি উইকেট নেননি। ১৪ ম্যাচে ১৯ উইকেট তার। তবে ইমপ্যাক্ট উইকেট নিয়েছেন। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছেন। পাওয়ার প্লেতে তাকে খেলা ছিল প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন।
মোহিত শর্মা (গুজরাট টাইটান্স): গত আসরে নেট বোলার ছিলেন মুহিত শর্মা। তিনিই এবার ১৭ ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়েছেন। লেন্থ ও পেসে তিনি ছিলেন অসাধারণ। নাকল বলে মাস্টার ক্লাস দেখিয়েছেন।
এছাড়া জশস্বী জয়সাওয়াল, শিভাম দুবে, ডেভন কনওয়ে, মাথিশা পাথিরানা, পিয়ূষ চাওয়া, অক্ষর প্যাটেলরা মৌসুম সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার যোগ্য। তবে স্ট্যান্ড বাই দলে রাখা হয়েছে তাদের।