Connect with us

কৃষি

মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

Published

on

কুড়িগ্রামে বিষমুক্ত মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করে অধিক মুনাফা পাওয়ায় কৃষকের মুখে এখন চওড়া হাসি। প্রাচীন পদ্ধতিতে অতিরিক্ত সার-কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে অধিক উৎপাদন হওয়ায় সাড়া ফেলেছে এই চাষ পদ্ধতি। জেলার রাজারহাটে এই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে করলা। ফলন ও সাইজ দেখে আশপাশের চাষীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরডিআরএস বাংলাদেশ এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। এই পদ্ধতি সম্প্রসারণ করা গেলে জেলায় সবজী চাষে ঘাটতি কমে যাবে এবং সারা বছর সবজির চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরের বাড়ী গ্রামের কৃষক মুকুল মিয়া এই প্রথম ১২শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছেন। গেলো মার্চ মাসের শুরুতে চারা লাগিয়েছেন। এতে খরচ পরেছে মাত্র ১৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে চারায খরচ গেছে সাড়ে ৩হাজার টাকা, পলিথিন কিনে মালচিং করতে গেছে আড়াই হাজার টাকা এবং জাংলি, সেচ ও কীটনাশকসহ অন্যান্য বাবদ খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। দুই মাস পর এপ্রিলের শুরুতে করলা বিক্রি করা শুরু করেছেন। মে মাসের শেষ পযন্ত তিনি ৪১ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আরও ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার করলা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

আরডিআরএস’র কৃষিবিদ সোহেল রানা জানান, আধুনীকরণ হওয়ার সাথে সাথে প্লাস্টিক মালচিং এর ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি আধুনিক চাষাবাদের একটি উন্নত পদ্ধতি। হাজার বছর ধরেই আমাদের পূর্ব পুরুষরা মালচিং এর ব্যবহার করে আসছিল। এর ফলে ফসলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। মাটির রস সংরক্ষণ এবং আগাছার যন্ত্রনা থাকে না। তাই পরিচর্চা ব্যয় কম। এটি সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কৃষকরা সহজে এই চাষে ঝুঁকে পরবেন। পল্লী কর্ম সহায়ক কর্মসূচির অর্থায়নে আরডিআরএস বাংলাদেশ ও উপজেলা কৃষি অফিস যৌথভাবে মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে আগামিতে অধিক চাষী এতে যুক্ত হবেন এবং জেলা জুড়ে এটি সম্প্রসারিত হবে।

করলা চাষী মুকুল মিয়া জানান, এই প্রথম এই পদ্ধতিতে করলা চাষ করলাম। মালচিং প্লাস্টিক ব্যবহার করে সবদিক দিয়ে লাভবান হয়েছি। এখন পর্যন্ত আমার খরচ বাদে ২৮ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। মালচিং-এ একবারেই জমি তৈরী করে বীজ বপন করতে হয়। এতে বারবার সার, কীটনাশক ও পানি দিতে হয় না। পরিচর্চা না থাকায় শ্রমিকও লাগে না। ফলে জমির খরচ অর্ধেক কমে গেছে। এই পদ্ধতিতে দ্বিগুণ ফলন পেয়েছি।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী জানান, বর্তমানে বিশেষভাবে তৈরী পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক দিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে কৃষককে করলা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে অল্প খরচে কৃষক অধিক লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও অফ সিজনেও এর ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করছি এতে জেলায় সবজির ব্যাপক উৎপাদন হবে। এটি জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাতেও বিক্রি করা যাবে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

কৃষি

আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী

Published

on

রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।

এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।

Advertisement

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

সাত হাজার কোটি টাকার ধান-চাল কিনবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

Published

on

চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ধান ও চাল ক্রয় করবে সরকার। এর মধ্যে ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এক লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানালেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা। আর ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলেয়ে ৬৬ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো কৃষক অপমানিত হলে, হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ

Published

on

হাওর ভুক্ত ৭ জেলার ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাট শেষ হয়েছে। এ বছর  হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, পাকা ধান  দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদেরকে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওরভুক্ত ৭টি জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এবছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version