কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি'র (কুবিসাস) অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৪ জুন) সকাল ১০টায় কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর দেখতে পায় সাংবাদিকরা। তবে কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলার ১৪নং কক্ষের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের পূর্ব পাশের দুইটি জানালার কাচ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পরে সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবগত করলে প্রক্টরিয়াল টিম পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহা. মহিউদ্দিন মাহি বলেন, 'আমরা গতকাল রাতে অফিস থেকে যাওয়ার পরে সকালে অফিসে এসে দেখি অফিসে হামলা করা হয়েছে। এতে পূর্ব পাশের দুইটি জানালা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে গেলো কয়েকদিন থেকেই সংবাদ প্রকাশের জেরে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার অনুসারীরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। আমি ধারণা করছি বিষয়টি তারই বহিঃপ্রকাশ। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরে ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং মৌখিক অভিযোগ শুনেছি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের আলামতও দেখেছি। যেহেতু এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ভাঙচুর করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উপাচার্যের সাথে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি পদক্ষেপ নিতে পারে সেটাও আমরা আলোচনা করবো।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৯মে সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবাল সংবাদ সংগ্রহকালে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর (২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটি) অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়। এসময় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য রেজা এলাহী বলেন, 'সাংবাদিকরা এখনও আমাকে চিনে না, আমি কে? ’এই ক্যাম্পাস কারো বাপের না’। সাংবাদিকরা আমাদের কী করবে, দেখে নেব। ‘গুন্ডামির কী দেখছে।’ এছাড়াও চলতি পথে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।