Connect with us

রাজশাহী

সরকার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে লুটপাটের জন্য ভিন্ন পথে হাঁটলো: জোনায়েদ সাকি

Published

on

জোনায়েদ সাকি

দেশ প্রেমিক ও বিশেষজ্ঞরা যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেছিলেন সরকার সে পথে না হেঁটে বৃহৎ এই সেক্টরে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে লুটপাটের জন্য ভিন্ন পথে হাঁটলো। তার ফলেই আজ দেশে বিদ্যুৎ সংকট। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অনেক কিন্তু সেইটা চালানোর মতো সামর্থ্য নাই। এখন জ্বালানি কেনার পয়সা নেই, কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই দেয়া হচ্ছে। বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি।

সোমবার (৫ জুন) সকালে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে রংপুরগামী রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ শহরের কুটুমবাড়ি হোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদেশি ডলারেও ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এমন একটা ব্যবস্থা চালু করলেন যে, কয়লা কেনার পয়সা নাই কিন্তু বসিয়ে রেখে অনেককে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। টাকা যেখানে ব্যয় করা দরকার সেখানে ব্যয় না করে অন্য জায়গায় ব্যয় করা হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি এ বিদ্যুৎ সংকটের সকল দায় সরকারের, তার বিদ্যুৎ নীতির ও তাদের লুটপাটের। আজ বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, দেশের মানুষ বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কষ্টে আছে, এ কষ্ট লাঘবের চিন্তা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নাই। তিনি ডলার সংকটের কথা বলেন কিন্তু বড় বড় প্রকল্পের ব্যয় বন্ধ হচ্ছে না। বড় প্রকল্পে ব্যয় করার জন্য ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট এর মধ্যে কিন্তু ২ লাখ ৭১ হাজার টাকাই তারা ঋণ নেবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে বাজারে ঢোকাচ্ছেন, এর ফলাফল হচ্ছে দ্রব্যমূল্য আবারও বেড়ে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে।

সাকি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন চলছে, বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে। আমাদের লক্ষ্য এমন সরকার ব্যবস্থা হবে যে, সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে, মানুষের ন্যায্যতা নিশ্চিত হবে।

Advertisement

পুলিশের কৌশলী ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, তারা আমাদের বুঝাচ্ছে আপনারা সকল কার্যক্রম চালান সমস্যা নেই, কিন্তু এটাও বুঝাচ্ছে চাপ থাকার কারণে তারা কিছু করতে পারছে না। তারা বাধা কিন্তু আমাদের ঠিকই দিচ্ছে। আমরা সমাবেশের জন্য রংপুর টাউন হল চাইলাম কিন্তু টাউন হল ফাঁকা থাকার পরেও তারা আমাদেরকে দিলেন না। পরে বলছেন সেখানে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম আছে। এটাও তাদের একটা কৌশলী ভূমিকা। আমরা টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানীর সমাধিতে প্রোগ্রাম করতে যাব। সেখানেও তাদের পক্ষ থেকে নানান রকম কথা বলা হলো। তারা বাধা না দিলেও বলা হচ্ছিল, ছাত্রলীগ-যুবলীগ মহড়া দিচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আমরা সিরাজগঞ্জ শহরে প্রোগ্রাম করার জন্য অনুমতি চাইলেও পুলিশ আমাদের সেটাও দিলেন না।

গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমরা রোড মার্চে বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। গতকাল টাঙ্গাইলেও হয়েছি, সিরাজগঞ্জেও হলাম। তারা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না, তারা বাধা তৈরি করছে। সরকার এতটাই জনবিচ্ছিন্ন, বেসামাল ও এতটাই অস্থির, এতটাই তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন যে, কোন গণতন্ত্র মঞ্চের মতো সবারই একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ, শান্তিপূর্ণ অবস্থান তারা করতে দিতে চান না।

সরকার এখন শেষ দিনগুলো পার করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট্ট একটা সমাবেশ দেখলেই মনে করেন এই বুঝি বোমা পড়ল। এতটাই তাদের আতঙ্ক। তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ সরকারের পরিবর্তন চায়, শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। পাশাপাশি আইন ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব কিছুর সংস্কার করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, সিরাজগঞ্জ জেলা নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক নুর হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গণতন্ত্র মঞ্চের এই রোড মার্চ গতকাল (৪ জুন) ঢাকা থেকে শুরু হয়ে আগামী ৭ জুন রংপুরে শেষ হবার কথা রয়েছে।

দুর্ঘটনা

পুকুরে মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খননের সময় মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড। এ সময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে স্থানটি ঘিরে রেখে গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে পুলিশ। গেলো বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় একটি চলমান পুকুর খননের স্থানে এই গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমের।

স্থানীয় সূত্র  জানা যায়,  খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী রেলওয়ের জমিতে বেশ কিছুদিন ধরে এমএস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। এ সময় স্বর্ণা নামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া এক শিশু বাড়ির পেছনে গিয়ে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত একটি বস্তু দেখতে পেয়ে খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তার বাবা সুবাস কুমার দাস ধলা গোলাকার বস্তুটি দেখেন। পরে এটি গ্রেনেড বুঝতে পারেন তিনি। তখন বিপদের শঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে আসেন। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

এ বিষয়ে  ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,  এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় গ্রেনেডটি যেকোনো ভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি এখন বের হয়ে এসেছে।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাত থেকেই গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. সবুজ আলী তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

সিরাজগঞ্জে একটি তে নতুন মুখ, দু’টিতে পুরাতনেই আস্থা

Published

on

সিরাজগঞ্জে প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটিতে পরিবর্তন এসেছে। আর দু’টিতে পুরাতনেই আস্থা রেখেছে ভোটাররা।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর ও বেলকুচি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ভোট গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ঘোষিত এ ফলাফল অনুযায়ী, এ তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বেলকুচিতে প্রথমবারের মতো দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ডল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মমিন মন্ডলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মহা-ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফকির (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট।

সিরাজগঞ্জ সদরে তৃতীয় বারের মতো আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জেলা যুবলীগের আহবায়ক রাসেদ ইউসুফ (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট।

অন্যদিকে কাজীপুর উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মতো আনারস প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৫ ভোট।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

Published

on

স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুরে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে  মারা যান তারা।

নিহতরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার নিমগ্রামের হেফজুল (৪০) ও তার স্ত্রী আফরোজা। তারা আড়িয়াবাজার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হেফজুল এই এলাকায় ভাড়া থেকে বগুড়া শহরের আশপাশে গাছ কেনাবেচার ব্যবসা করতেন।

বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলাম জানান, হেফজুল তার স্ত্রীকে নিয়ে দুই বছর আগে তার বাড়ি ভাড়া নেন। তারা স্বামী-স্ত্রী সব সময় মিলেমিশে থাকতেন। হেফজুলের স্ত্রী আফরোজার বাবার বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলায়। আজ সকালে হেফজুল তার ভায়রার সঙ্গে গাছ কাটা নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। স্বামী-স্ত্রী বাজার করেও নিয়ে এসেছেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এরপর আমার অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছে শুনে ওদের ঘরে গিয়ে দেখি দুজনই ছটফট করছে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায়।

হেফজুলের ভায়রা জুয়েল জানান, আফরোজার সঙ্গে হেফজুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। শুরু থেকেই তিনি গাছের ব্যবসা করেন। আজ সকালে তাকে ফোনে জানিয়েছেন শহরের পুলিশ লাইনস এলাকায় গাছ কাটা হবে। এরপর খবর আসে তারা হাসপাতালে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে দুজনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান জুয়েল।

Advertisement

মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা বিষপান করে মারা গেছেন এটা বলা সম্ভব না। কারণ চিকিৎসা দেয়াই সম্ভব হয়নি। তবে মৃত্যুর আগে তারা দুজনই ছটফট করছিলেন। মৃত্যুর লক্ষণে ধারণা করা যায় তারা আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়টি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর পুলিশ স্থানীয়ভাবে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version