পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করেছে ইরান

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনায় বসবে না ইরান। একপক্ষীয় সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয় বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তেহরান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত আলোচনায় বসার উপযুক্ত সময় নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন ক্ষমতাধর দেশ (ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স)-এর কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা বিবেচনায় ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের প্রস্তাবিত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার সময় হয়েছে বলে মনে করছে না ইরান।

ইরানের এমন অবস্থানে হতাশা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অসন্তুষ্ট হলেও সমস্যা সমাধানে অর্থবহ কূটনৈতিক উপায়ে তৎপরতা অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি পরমাণু চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী বাকি দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে বলেও জানায় হোয়াইট হাউজ।

২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু বিষয়ক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে স্থবিরতা দেখা দেয়। সে সময় ইরানের ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।

তবে ২০১৫ সালে করা ওই চুক্তিতে ফিরতে চাইছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর জন্য তেহরানকে অবশ্যই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ মেনে চলা শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

উল্টোদিকে তেহরান জানিয়েছে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর জারি করা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই এ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার নিয়ে ২০১৫ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ইরান। দেশটির সঙ্গে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ছয়টি দেশ আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় চুক্তির বাস্তবায়ন। ২০১৮ সালে জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জিসিপিওএ) নামের ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিবাদ নিরসনে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দুই দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রস্তাব দেয় ইইউ।

 

এসএন

Recommended For You

Exit mobile version