হিরো আলম ও তার কথিত গার্লফ্রেন্ড রিয়া মনির নামেই আদালতে মামলা করবেন। বলেছেন হিরো আলমের বিরুদ্ধে জিডি করা তরুণী রিয়া চৌধুরী।
রোববার (১১ জুন) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম ও ‘হিরো আলম বগুড়া’ পেজের বিরুদ্ধে জিডি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রিয়া চৌধুরী। পরে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রিয়া চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্যের ভিডিওটি বন্ধ করা হয়েছে। আমি এখানে থাকতেই হিরো আলমকে ফোন দেয়া হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭ জুন ভিডিওটি পোস্ট করেছে, আমি কিন্তু কিছুই করিনি। আমি ৯ জুন জানতে পারি। ওরা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে, আমি কিন্তু না। এসময়ে তারা কেন কাজটি করল। ওদের মাথায় থাকা উচিত ছিল। একটা মানুষের জন্য আমাকে এত নিচে নামতে হবে না।
রিয়া চৌধুরী বলেন, মামলা ছাড়া এটা শেষ করার চেষ্টাও করেছি। এখন হিরো আলম যেসব স্টেটমেন্ট দিচ্ছে যে, তার নাম তো উল্লেখ করা হয়নি। এগুলো সমাধানের কথাবার্তা না। আমার মনে হয় না ওরাও রেডি আছে। ওরা যদি ফাইট চায়, আমাকেও ফাইটে নামতে হবে।
এর আগে শুক্রবার (৯ জুন) গালিগালাজ করার অভিযোগে ‘হিরো আলম বগুড়া’ পেজের বিরুদ্ধে ডিএমপির বাড্ডা থানায় রিয়া চৌধুরী জিডি করেন। জিডি নম্বর ৬৪৪।
জিডিতে রিয়া চৌধুরী অভিযোগ, গত ৭ জুন বিকেলে হিরো আলমের ফেসবুক পেজ ‘হিরো আলম বগুড়া’ থেকে হিরো আলমের সহযোগী রিয়া মনি (২৭) নামের এক মেয়ে তাকে অশ্লীল গালিগালাজ করেন। এতে হিরো আলমের ইন্ধন রয়েছে। যার কারণে সামাজিকভাবে তার মানহানি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকার কারণে আপাতত সাধারণ ডায়েরি করা হলো। ভবিষ্যতে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রয়োজন সাপেক্ষে মামলার জন্য আবেদন করা হবে।
থানায় সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার পেজ থেকে একটি ভিডিও আপলোড হয়েছে। এতে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে রিয়া চৌধুরীর নাম বলা হয়নি। কিন্তু সে অভিযোগ করছে তাকে নাকি গালিগালাজ করা হয়েছে। আর পেজ তো আমি চালাই না, পেজের অ্যাডমিনরা চালায়। সে (রিয়া চৌধুরী) প্রমাণ দিক যে আমি তাকে গালিগালাজ করেছি। এছাড়া জিডি কোনো ফ্যাক্টর নাকি!
এ বিষয়ে বাড্ডা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ বলেন, জিডিটি গতকাল (শুক্রবার) হয়েছে। জিডির একটি কপি ডিএমপির সাইবার ক্রাইমে পাঠানো হয়েছে। সাইবার ক্রাইম বিষয়টি এখন তদন্ত করবে। সাইবার ক্রাইমের তদন্তের পর এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।