Connect with us

বাংলাদেশ

ডিএনএ নমুনা দিয়ে নদীর তীরে স্বজনদের খোঁজ

Published

on

বরগুনার খাজুরা গ্রামের হেলাল (৪০) তাঁর মা তহমিনা বেগম (৫৫) গতকাল সকাল থেকেই জেনারেল হাসপাতালে এসে অপেক্ষায়। দুজনের হাতে তিনজনের ছবি। কে নিখোঁজ—প্রশ্ন করতেই ঢুকরে কেঁদে ওঠেন তাঁরা। হেলাল বলেন, তাঁর ছোট ভাই মহিন (৩৪), ভাতিজা মুতাচ্ছিম (১০) ও ভাগ্নি হনুফা আক্তার রিমু (২১) তিনজনই অভিযান-১০ লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডে হারিয়ে গেছেন। ‘অনেক খুঁজে তাঁদের পাই নাই। পুইড়া কয়লা হইহ্যা গেলেও যদি জানতাম তবুও মনে সান্ত্বনাডা পাইতাম। তাই আমরা রক্ত দেতে আইছি।’

হেলাল জানান, যাচাই করে তাঁর ভাইয়ের জন্য বাবা আব্দুল হকের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছে। ভাজিতা মুতাচ্ছিমকে শনাক্তে রক্ত দিয়েছে ছোট ভাই সেন্টু। আর ভাগ্নি রিমুর জন্য রক্ত দিয়েছেন ভগ্নিপতি হারুনুর রশিদ।

গতকাল রাত পর্যন্ত এভাবেই ২৩ নিখোঁজের ২৭ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক শাখার সদস্যরা এ নমুনা সংগ্রহ করেন। 

২৭ ডিসেম্বর একইভাবে ঝালকাঠিতে চারজন নিখোঁজের শনাক্তে নমুনা দিয়েছেন দুই সহোদর। এই হিসাবে গতকাল ২৭ নিখোঁজের ২৯ স্বজন ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন।

মৃত হলেও নিখোঁজদের খোঁজ পাওয়ার আশায় গতকাল সকাল থেকেই দুই জায়গায় ভিড় করেন স্বজনরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ডিএনএ নমুনা দিতে যান। কেউ খোঁজ নিতে থাকেন সন্ধ্যা নদীর পারে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই শেষে মা-বাবা, সন্তান ও ভাই-বোনদের কাছ থেকে নমুনা রাখা হয়। সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষাগারে যাচাই করতে অন্তত এক মাস সময় লাগবে। এরপর কবরে দেওয়া নম্বরে শনাক্ত হবে পরিচয়।

এদিকে গতকাল পর্যন্ত বরগুনা জেলা প্রশাসন নিখোঁজ হিসেবে ৩৩ জনের তালিকা করেছে। ঝালকাঠি পুলিশ করেছে নিখোঁজ ৪০ জনের তালিকা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যাচাই করে তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

বরগুনার তালতলী এলাকার রাহিমা (৪২) হাতে ছবি নিয়ে দিনভর বসে ছিলেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। শেষে রক্ত দিয়ে কেঁদে ফিরেছেন। তাঁর বোন রেখা (৩৮) নিখোঁজ। জানতে চাইলে কেঁদে বলেন, রেখা ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করত। বৃহস্পতিবার নাতি জুনায়েদকে (৫) নিয়ে বাড়ি আসছিল। লঞ্চের আগুনে তারা দুজনই নিখোঁজ হয়েছে। রাহিমা বলেন, ‘বোনডার কবরও যদি পাই, মনের সান্ত্বনা পামু। এই আশায় এহানে আইছি।’ জুনায়েদের বাবা জাহাঙ্গীরও এসেছিলেন রক্তের নমুনা দিতে।

বরগুনার দক্ষিণ বড় লবণগোলা গ্রামের হাকিম শরীফকে (৪৫) খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী পাখি (৩২) ও দেড় বছরের শিশু সন্তান নসরুল্লাহও নিখোঁজ। তাঁদের খুঁজে ফিরছে হাকিম শরীফের বড় তিন মেয়ে। তাঁদের মধ্যে হাফিজা (১৮) গতকাল বরগুনা হাসপাতালে নমুনা দেন। তিনি কেঁদে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টায় বাবা ফোন দিয়ে কইছিল আমাগো লইগ্যা নতুন কাপড়-চোপড় নিয়াবনে। এরপর সকালে ফোন দেলে দেখি ফোন বন্ধ। এরপর হুনি লঞ্চে আগুন। এরপর আর তাগো পাই না।’ হাফিজা জানান, ঝালকাঠিতে তাঁদের কিছু আত্মীয়-স্বজন গতকালও খুঁজতে গেছে।

হাসপাতালে এসে বাবার ছবি হাতে অপেক্ষা করছিল ছয় বছরের সাদিয়া। সঙ্গে ছিল তার মা রোকেয়া আক্তার প্রিয়া। ছোট্ট সাদিয়া বলে, ‘আমার আব্বুরে পাই না। আব্বু আইতাছে বলছে। আব্বুরে খুঁজতে আসছি।’ সাদিয়ার মা রোকেয়া আক্তার কেঁদে বলেন, তাঁর স্বামীর নাম আব্দুল হক। তাঁর শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। বরগুনার আমতলায় তাঁর বাবার বাড়ি। কিছুদিন আগে সাদিয়াকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রোকেয়া। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর স্বামী আব্দুল হক লঞ্চে শ্বশুরবাড়িতে আসছিলেন। এরপর তাঁর আর হদিস পাওয়া যায়নি। গতকাল শিশু সাদিয়ার রক্ত নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে।

Advertisement

বামনার গোলাঘাটা গ্রামের হেলাল (৩২) জানান, তাঁর বাবা আব্দুল হামিদ হাওলাদারকে (৬৮) খুঁজে পাচ্ছেন না। মা, বোন ও বাবা ওই লঞ্চে ঢাকা থেকে ফিরছিলেন। আগুন থেকে মা ও বোন বেঁচে ফিরলেও বাবার খোঁজ মেলেনি। সবখানে খুঁজে ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছেন তিনি।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মা আর বোনের সন্ধান পাওয়ার আশায় বরগুনায় এসেছেন রিসান শিকদার রনি (২০)। আগুনে তাঁর দুই পা পুড়ে গেছে। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দেউলি গ্রামে। বরগুনার বেতাগীতে নানাবাড়ি। বৃহস্পতিবার মা রিনা বেগম (৪০) ও ছোট বোন লিমা আক্তারকে (১৪) নিয়ে ঢাকা থেকে নানাবাড়িতে যাচ্ছিলেন রনি। গতকাল নমুনা দিতে এসে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দুজনের ছবি আঁকড়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। রনি বলেন, ‘আমার পায়ের পোড়া কিছুই না। মনটা কেমন করতাছে কইতে পারমু না। তাগো যদি একটু খোঁজ পাইতাম। একটু জানার জন্য আইসা পড়ছি এইখানে।’

আলামত সংগ্রহ শেষে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করব। নমুনা নেওয়ার ক্ষেত্রে সন্তান ও মা-বাবাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ছেলেকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। আরো যদি কোনো স্বজন আসে তাহলে কাল (আজ) নমুনা নিয়ে আমরা ঢাকায় ফিরব।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, নিখোঁজদের তালিকা হালনাগাদ করে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। দাবিদার স্বজনদের তথ্য যাচাই করে নমুনা সংগ্রহ শেষে বলা যাবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন।

গতকাল বিকেলে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতীরে মিনি পার্কে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডির আরেকটি দল। সন্ধ্যা পর্যন্ত মনির হোসেন ও জনি নামের দুই ভাই রক্তের নমুনা দিয়েছেন। ঢাকার ডেমরার তাসলিমা আক্তার (৩২), সুমাইয়া আক্তার (১৫), সুমনা আক্তার তানিসা (১৩) ও জুনায়েদ ইসলামকে (৭) খুঁজতে আসেন তাঁরা। জুনায়েদ জনির ছেলে। তাসলিমা বোন ও অপর দুজন ভাগ্নি। বরগুনায় তাসলিমার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল তারা।

Advertisement

ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে। আগামীকাল (আজ) কোনো স্বজন এলে তারও নমুনা নেওয়া হবে।’

বিষখালী নদীতে উদ্ধার হওয়া লাশের দাবিদার দুই পক্ষ

গতকাল সন্ধ্যায় চতুর্থ দিনে উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় বিষখালী নদী থেকে যুবক বয়সের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত রাতে ওই যুবককে নিজেদের স্বজন বলে দাবি করেছে দুই পক্ষ। এক পক্ষের দাবি, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. শাকিল মোল্লা। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন মোল্লার ছেলে। আগুন লাগা লঞ্চের সহকারী বাবুর্চি ছিলেন তিনি। ফেসবুকে ছবি দেখে বোন সাহিদা আক্তার নিশা ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। 

আরেক পক্ষ বলছে, ওই ব্যক্তি বরগুনা সদরের বড় লবণগোলা গ্রামের হাকিম শরীফ। তিনি ঢাকার একটি কম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। হাতের আংটি ও পোশাক দেখে হাকিম শরীফের বড় ভাই আবদুল মোতালেব শরীফের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু দুই পক্ষ উদ্ধার হওয়া যুবককে তাদের স্বজন দাবি করছে, তাই উভয় পক্ষের লোকজন আসার পরে লাশ দেখানো হবে। উপযুক্ত প্রমাণের পরে প্রশাসনের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Advertisement

এই মৃতদেহটি লঞ্চঘাট এলাকায় নিয়ে আসার পর ছুটে আসেন বরগুনার পাথারঘাটার শাহিনুর বেগম। তিনি বাবা মুজাফ্ফর, মা আমেনা বেগম, দুই মেয়ে কুলসুম বেগম, আয়শা ও ছেলে ওবায়েদুল কাদেরকে হারিয়েছেন। পরিবারের সবাইকে হারানো শাহিনুর মৃতদেহটি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজের ছেলে ভেবে ছুঁয়ে দেখেন। শাহিনুর বলেন, ‘আমার মা-বাবা সৌদি আরব থেকে এসে বলেন, তোর ছেলেমেয়েদের (নাতি-নাতনি) পাঠিয়ে দে। একসঙ্গে ঢাকা থেকে আসব। মা-বাবার সঙ্গে আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলেও লঞ্চে আসছিল। লঞ্চে আগুনের খবর পেয়ে আমি রবিবার ঝালকাঠি এসেছি।’

 

এসআই/

অপরাধ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচির পর সংঘর্ষ, শিক্ষার্থী নিহত

Published

on

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচির পর সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মেহেদী হাসান বাড্ডার নুরের চালা এলাকার বাসিন্দা। তিনি এ বছর ভাটারার সোলমাইত হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তার মা লিপি সিকদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

নিহতের মামা মো. চয়ন গণমাধ্যমে বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করি। র‍্যালিটি রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত ছিল। র‍্যালি শেষে হেঁটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হচ্ছিলাম। এ সময় পিকআপ ভ্যানে চড়ে র‍্যালিতে যোগ দেয়া আরেক দল নেতাকর্মীর সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এর মধ্যে কেউ একজন মেহেদির বুকে ছুরিকাঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে গণমাধ্যমে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি শেষে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় মারামারি হয়েছে। সেখানে মেহেদী হাসান নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর কিরগিজস্তানের স্থানীয়দের হামলা, নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশিরা

Published

on

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন দেশটিতে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সাথে শিক্ষার্থীদের  +998930009780 নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে চলমান সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিজস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে ঘোষিত নাম্বারে যোগাযোগ করবার পরামর্শ দেয়া হল।

জানা যায়, গেলো ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

Advertisement

রয়েল মেট্রোপলিটন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই সহিংসতা শুরু হয়েছে। ফলে সবাই যে নিজ নিজ রুমে ফেরত আসতে পেরেছে বিষয়টি এমন নয়। যে যেখানে পেরেছে, আত্মগোপন করেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তিনি দেশে ফেরত যেতে চান। এসময়ে তাকে উদ্ধারেরও আকুতি জানান এ শিক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত, দেশটিতে বাংলাদেশের কোন মিশন নেই। সেখানে একজন অ্যাম্বাসেডর অ্যাক্রিডিটেড আছেন। তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীতে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

রাজধানীতে ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাফরুল থানা পুলিশ। গেলো বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে কাফরুলের তালতলা ও মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (১৮ মে) কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, রাজু হোসেন ও মো.রাসেল ওরফে হৃদয়।

ওসি মো. ফারুকুল আলম বলেন, একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গত ১৫ মে ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চুরি মামলা রুজু হয়। এরপর আশপাশের সিসিটিভি পর্যালোচনা ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজু হোসেনকে কাফরুলের তালতলা এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রাজুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হৃদয়ের কাছ থেকে আরও দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version