আদালতে সু চি

বিচারের জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে। তবে সশরীরে নয় ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এক ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনা হেফাজতে বন্দি আছেন ৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আজ সোমবার রাজধানী নেইপিডোর একটি আদালতে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সু চিকে হাজির করতে দেখা গেছে। সু চির আইনজীবী খিন মং জঁ জানিয়েছেন, এ সময় নেত্রীকে মোটামুটি সুস্থ বলেই মনে হয়েছে।

গেল এক ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে ক্ষমতাচ্যূত করে জান্তা সরকার। তিন ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ করেছেন সু চি। তাঁর বাড়ি থেকে ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে। যা তিনি বেআইনিভাবে আমদানি করে ব্যবহার করছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকি-টকি রেডিও আমদানি ও নিজের কাছে রাখার অভিযোগ গঠন করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সু চি ছাড়াও মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উই মিন্তের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে অভিযোগ করা হয়েছে।

সু চির বিরুদ্ধে সবশেষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। সেনাবাহিনীর এই মামলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ক্ষমতাচ্যূত নেত্রী।

গেল এক ফেব্রুয়ারির সু চিকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অভ্যুত্থানের পরই তাঁকে আটক করে নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৫ সালের নির্বাচনে শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে ক্ষমতায় যায়। ২০২০ সালের আট নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি করে জেতার অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী।

 

এসএন

Recommended For You

Exit mobile version