Connect with us

বাংলাদেশ

ড্র করে মান বাঁচালো পিএসজি

Published

on

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমজমাট লড়াই ছিলো পুরো ম্যাচ জুড়ে। উভয় পক্ষই সুযোগ পেলো অনেক। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলো খুবই কম। ম্যাচের শুরুতে পাওয়া গোলে দারুণ জয়ের সম্ভাবনা জাগালো অলিম্পিক লিওঁ। কিন্তু ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না তারা। শেষ দিকে এসে হার এড়ালো পিএসজি।

করোনা জয় করে এখনো মাঠে ফেরেননি লিওনেল মেসি। ইনজুরিতে থাকায় খেলতে পারেননি নেইমার জুনিয়রও। আর এই দুই তারকাকে ছাড়া ফের পয়েন্ট খোয়াল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। রোববার (০৯ জানুয়ারি) রাতের ম্যাচে পিছিয়ে পড়া পিএসজি কোনোরকমে মাঠ ছেড়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে।

ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। লিগ টপারদের টপকে ম্যাচে এগিয়ে যায় লিওঁ। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি নাভাস।

এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুই দলই বেশকিছু গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিংয়ের দূর্বলতা ম্যাচে ফেরাচ্ছিল না পিএসজিকে। অনেক চেষ্টার পর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সমতায় ফেরে পিএসজি। 

ডি-বক্সে ডান দিকে ফাঁকায় বল পেয়ে টিলো কেরারের নিচু শট পা বাড়িয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন গোলরক্ষক, তার পায়ে লেগেই বল চলে যায় জালে। তিন মিনিট পর ফের এগিয়ে যেতে পারতো লিওঁ। তবে ডান দিক থেকে রায়ান চের্কির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিবাদে আবারো এমবাপের পথে দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে। বাঁ দিক থেকে তার বাঁকানো ফ্রি কিক দূরের পোস্টে লাগে। নির্ধারিত সময়ে গোলের উদ্দেশ্যে ১৫টি শট নেয় পিএসজি। লক্ষ্যে ছিল অবশ্য মাত্র তিনটি। লিওঁর নেওয়া ১১ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিলো।

Advertisement

লিগে এই নিয়ে শেষ পাঁচ রাউন্ডে চারটিতে পয়েন্ট হারাল মারিও পচেত্তিনোর দল। পয়েন্ট খোয়ানোর এমন ধারাবাহিকতার পরেও অবশ্য লিগ ওয়ানের শীর্ষে পিএসজি। ২০ ম্যাচে ১৪ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪৭। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিস। ১৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে লিওঁ।

হাসিব মোহাম্মদ 

জাতীয়

কাস্টিং ভোটের তথ্য ২ ঘণ্টা পরপর পাঠাতে হবে

Published

on

স্থানীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের কাস্টিং ভোটের তথ্য ২ ঘণ্টা পরপর প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। সেইসঙ্গে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (স্থানীয়) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ বিষয়টি জানানো হয়।

পত্রে বলা হয়, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) প্রশিক্ষণ ব্যাচ ও কক্ষ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল অ্যাপ/এসএমএসের মাধ্যমে দুই ঘণ্টা পরপর ভোট কেন্দ্রের কাস্টিং ভোটের তথ্য প্রেরণ সংক্রান্ত বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ব্রিফিং দিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘হাওয়া ভবন’-এর মতো কোনও ‘খাওয়া ভবন’ করিনি : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

অন্তত এইটুকু বলতে পারি যে, আমি ‘হাওয়া ভবন’-এর মতো কোনও ‘খাওয়া ভবন’ করিনি যা ব্যবসার জন্য অসুবিধা তৈরি করবে। সরকার ব্যবসায়ীদের সব সময় সহযোগিতা করবে। আমরা চাই, ব্যবসায়ীরা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে এগিয়ে আসুক।

আজ শুক্রবার (১৭ মে) বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে  ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবি। আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে আরও টেনে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমি অর্থনীবিদদের বলবো আপনারা চিন্তা করেন, গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে আমাদের শিল্প কল-কারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার সৃষ্টি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে রপ্তানিও আমাদের বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির গতিকে যেভাবে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম মাঝখানের কয়েকটি আন্তর্জাতিক ঘটনা আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাড়ালো। যদিও আমাদের দেশের অভ্যন্তরেও কিছু বাধা দেয়া হয়েছিল। আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো, অগ্নিসন্ত্রাস ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর। নতুন বাস কিনি, ট্রেন কিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। রেলগাড়ি পুড়িয়ে দেয়, মানুষ পুড়িয়ে মারে- এইগুলোও তো আমাদের সামাল দিতে হয়। একদিকে এই দুর্যোগ আবার আন্তর্জাতিক চাপ, সবকিছু মিলিয়েই আমি এগিয়ে যাচ্ছি।

Advertisement

তিনি বলেন, আগামী ৬ তারিখে আমরা বাজেট দেব। ইনশাল্লাহ বাজেট আমরা ঠিকমতো দিতে পারবো এবং বাজেট আমরা বাস্তবায়নও করবো। তবে, আমরা যেহেতু যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য কিছুটা কৃচ্ছতা সাধন করতে গিয়েছি, এই কৃচ্ছতা সাধনের কারণে হয়তো জিডিপি গতবার যা ছিল তার থেকে কিছুটা কম হতে পারে। কিন্তু সেটাও আমরা পরবর্তীতে উত্তোরণ ঘটাতে পারবো, সে বিশ্বাস আমার আছে। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। কারো কাছে হাত পেতে নয়। বিশ্বব্যাংকের ভূয়া দুর্নীতির অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একে মিথ্যা প্রমাণ করে পদ্মার সেতুর মত মেগাপ্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করেছি। পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এই রেলপথ চলে যাবে একেবারে মোংলা বন্দর পর্যন্ত।

শেখ হাসিনা বলেন, এভাবেই সারাদেশে তার সরকার নৌপথ, রেলপথ, বিমান, ও সড়কপথ ইত্যাদির উন্নয়ন ঘটিয়েছে সীমিত সম্পদ দিয়ে। পাশাপাশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, উৎপাদন বাড়ানো, সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে। যেখানে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। বছরের শুরুতেই বিনামূল্যে মাধ্যমিকস্তর পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, সাধারণ এবং উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, সেটা দিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করাই আমার লক্ষ্য। সেখানে আপনাদের (অর্থনীতিবিদ) সহযোগিতা চাই।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

টেকনাফে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করলো বিজিবি

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে ধাওয়া খেয়ে পালানো মাদক পাচারকারীর ফেলে যাওয়া দুই কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বিজিবি।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১১টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের লম্বরী ঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, পলাতক পাচারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও তা বের করতে বিজিবি খোঁজ খবর নিচ্ছে।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী ঘাট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় বিজিবি। এতে বিজিবির সদস্যরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে।

একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সমুদ্র সৈকতের দিক থেকে আসা সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের ওপর দেখতে পায় বিজিবির সদস্যরা। এতে ওই লোককে থামার জন্য নির্দেশ দিলে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।

Advertisement

বিজিবির সদস্যরা ধাওয়া দিলে লোকটির সঙ্গে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পোটলাটি উদ্ধার করা হয়। পোটলাটি খুলে পাওয়া যায় ২ কেজি ৪৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস।

লে. কর্নেল মহিউদ্দীন বলেন, পলাতক পাচারকারীকে চিহ্নিত করতে বিজিবি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধার করা মাদকের চালান বিজিবির ব্যাটালিয়ন দফতরে মজুদ রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version