Connect with us

রাজশাহী

পঞ্চগড়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

Published

on

পঞ্চগড়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। 

শুক্রবার (২১ জানুয়ারী) রাতে সদর উপজেলার ব্যারিষ্টার বাজারের তহিমা ফার্মেসী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

ইব্রাহিম খলিলের বাড়ি সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোফা পাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি তহিমা ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী। পরে শনিবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল আলম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারায় ‘ইচ্ছাকৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে বর্তমান সরকার ও বিজ্ঞ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যেমে তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনে ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম সৃষ্টির অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যেমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারী) ২০১৩ সালের একটি মামলায় ৬ বিএনপি নেতাকর্মীর পৃথক দুইটি ধারায় ৩ মাস করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই রায়কে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন তার ফেসবুক একাউন্টে রায়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে একটি স্টাটাস লিখেন। 

স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো, “পঞ্চগড় জেলার সেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের নামে ২০১৩ সালের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় মো এটিএম হাসানুজ্জামান পলাশ, মো. হারুনর রশীদ হারুন, মো. হায়াতুন আলম, মো সাবুল হোসেন, মো. আবু সালেক ডাবলু ও মো. বাবু (তুর্কী) ভাইয়ের ৬ মাসের বিনাশ্রম  কারাদন্ড দিয়েছে বিনা ভোটে নির্বাচিত অবৈধ সরকারের অবৈধ আদালত। 

Advertisement

পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়া হোক।” 

পরে ইচ্ছাকৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে বর্তমান সরকার ও বিজ্ঞ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যেমে তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনে ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম সৃষ্টি অপরাধে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ব্যারিষ্টার বাজারের তহিমা ফার্মেসী থেকে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। 

এসময় তার সাথে থাকা মুঠোফোনটি জব্দ করে পুলিশ। পরে তাকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।  

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে বর্তমান সরকার ও বিজ্ঞ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যেমে তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনে ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম সৃষ্টির অপরাধে সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিলকে শুক্রবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এস

Advertisement

রাজশাহী

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, সংকটাপন্ন নারী

Published

on

নওগাঁ শহরের একতা ক্লিনিকে সুমি খাতুন নামে এক প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পুনরায় অপারেশনের মাধ্যমে পেট থেকে গজ কাপড় বের করা হয়। ওই নারী বর্তমানে রামেকের আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন।

গেলো বুধবার (১৫ মে) একতা ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘতে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন  নজরুল ইসলাম।

সুমির স্বামী উজ্জ্বল জানান, গেলো ১৫ মে তাঁর স্ত্রীর  সিজারিয়ান অপারেশন করেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তানিয়া রহমান তনি। অপারেশনের জন্য জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া  প্রয়োগ করেন ডাঃ তানিয়ার স্বামী ও নওগাঁ সদর হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট আদনান ফারুক।

অপারেশনের পরপরই পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন সুমি এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ডা. তানিয়া ক্লিনিকের মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রউফকে দিয়ে দ্রুত রোগীর পেটে সেলাই করিয়ে নেন। এর পর রাত ১০টার দিকে সুমিকে কৌশলে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তাঁর পেটে বাড়তি একটি জিনিসের উপস্থিতি দেখা যায়। পরে গেলো ১৬ মে সকালে ফের অপারেশন করে পেট থেকে গজ বের করা হয়।

নওগাঁর সিভিল সার্জন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। রোগীর অভিভাবক অভিযোগ করলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ দুইজন আটক

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর গলা কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ র মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার (১৮ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান। শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু’জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলায় সামান্য কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের মরদেহ হেফাজতে নেয় এবং আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শিকতা দেখে মনে হয়েছে যে আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহ আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে তার গলা সামান্য কেটে দেয়া হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গলায় যে পরিমাণ কাটা দাগ রয়েছে তাতে গলা কাটার কারণে মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version