প্রতিদিনের মতো গেলো রোববার (৩০ জুলাই) রাতেও ব্যবসায়িক কাজ সেরে বাসায় ফেরেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপর সাইফুলের বাড়িতে এসে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে পরিবারকে জানায় দুর্বৃত্তরা।
রোববার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর একটি দল। তাদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী রাজনও আছেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজন ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যদের নামপরিচয় জানা যায়নি। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে এলিট ফোর্সটির পক্ষ থেকে।
নিহতের বড় বোন লাকি আক্তার জানান, কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাতপাখি রোডে সাইফুলের একটি বোরকার দোকান আছে। এলাকার মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন তার ভাই সাইফুল। এ কারণে এলাকার মাদক কারবারিদের টার্গেটে পরিণত হন তিনি।
লাকি আক্তার আরও বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববার (৩১ জুলাই) রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরেন সাইফুল। পরে সাতপাখি এলাকার কয়েকজন মাদক কারবারি কথা বলার জন্য তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা তাদের বাসার দরজায় লাথি মেরে বলে যায়, সাইফুলের মরদেহ সাতপাখি সড়কে পড়ে আছে। এরপর বাসার সবাই সাতপাখি সড়কে গিয়ে রাস্তায় রক্ত দেখতে পায়। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে স্বজনরা দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পান তারা।