Connect with us

রাজশাহী

পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে কবর থেকে আরো ১৪টি কঙ্কাল চুরি

Published

on

পঞ্চগড়ের বোদায় একদিনের ব্যবধানে  কবর থেকে আরো ১৪ টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। 

বুধবার (২৫ জানুয়ারী) রাতে  কৈইকিল্লাহ দিঘী কবরস্থান থেকে এই কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। 

কৈইকিল্লাহ দিঘী কবরস্থানে বোদা উপজেলার সাকোয়া ও চন্দনবাড়ি দুইটি ইউনিয়নের মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা হয়। 

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রার্ট, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সোলেমান আলী. বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চেীধুরী ও চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধান গতকাল বুধবার দুপুরে ওই কবরস্থান পরিদর্শন করেছেন। 

কবরস্থান পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক রাতে প্রতিটি কবরস্থানে পাহাড়ার ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন। 

Advertisement

এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কঙ্কাল চোর চক্রটি ধরতে স্থানীয়দের সহায়তা চেয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। ওই কঙ্কাল চুরির সাথে জড়িত চক্রটির সন্ধান দিতে পারলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার একই ইউনিয়নের দোলুয়ার দিঘী কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হওয়ায় ওই ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন সকালে কবরস্থানে এসে স্বজনদের কবর গুলো ঠিক আছে কি না তা দেখচ্ছেন। বুধবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কবর স্থান এলাকায় গেলে কয়েকটি কবর খনন করা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা স্থানীয় আরো কিছু লোকজনকে খবর দেন। পরে সকলে মিলে কবর স্থান ঘুরে ১৪টি কবর খনন করা দেখতে পান। স্থানীয়দের ধারণা দূর্বৃত্তরা কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করতেই এসব কবর খনন করেছে। গেল ৮ মাস থেকে ২ বছরে যাদের মৃত্যু হয়েছে এমন ব্যক্তিদের কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ওই কবরস্থানের এক পাশে নাম পরিচয়হীন এক মানুষ পাগলবেশে ছিল। গতকাল সকালে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সে তার পড়নের দুইটি কম্বল ফেলে পালিয়েছে। 

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। 

এস

Advertisement

দুর্ঘটনা

পুকুরে মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খননের সময় মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড। এ সময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে স্থানটি ঘিরে রেখে গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে পুলিশ। গেলো বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় একটি চলমান পুকুর খননের স্থানে এই গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমের।

স্থানীয় সূত্র  জানা যায়,  খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী রেলওয়ের জমিতে বেশ কিছুদিন ধরে এমএস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। এ সময় স্বর্ণা নামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া এক শিশু বাড়ির পেছনে গিয়ে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত একটি বস্তু দেখতে পেয়ে খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তার বাবা সুবাস কুমার দাস ধলা গোলাকার বস্তুটি দেখেন। পরে এটি গ্রেনেড বুঝতে পারেন তিনি। তখন বিপদের শঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে আসেন। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

এ বিষয়ে  ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,  এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় গ্রেনেডটি যেকোনো ভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি এখন বের হয়ে এসেছে।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাত থেকেই গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. সবুজ আলী তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

সিরাজগঞ্জে একটি তে নতুন মুখ, দু’টিতে পুরাতনেই আস্থা

Published

on

সিরাজগঞ্জে প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটিতে পরিবর্তন এসেছে। আর দু’টিতে পুরাতনেই আস্থা রেখেছে ভোটাররা।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর ও বেলকুচি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ভোট গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ঘোষিত এ ফলাফল অনুযায়ী, এ তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বেলকুচিতে প্রথমবারের মতো দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ডল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মমিন মন্ডলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মহা-ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফকির (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট।

সিরাজগঞ্জ সদরে তৃতীয় বারের মতো আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জেলা যুবলীগের আহবায়ক রাসেদ ইউসুফ (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট।

অন্যদিকে কাজীপুর উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মতো আনারস প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৫ ভোট।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

Published

on

স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুরে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে  মারা যান তারা।

নিহতরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার নিমগ্রামের হেফজুল (৪০) ও তার স্ত্রী আফরোজা। তারা আড়িয়াবাজার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হেফজুল এই এলাকায় ভাড়া থেকে বগুড়া শহরের আশপাশে গাছ কেনাবেচার ব্যবসা করতেন।

বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলাম জানান, হেফজুল তার স্ত্রীকে নিয়ে দুই বছর আগে তার বাড়ি ভাড়া নেন। তারা স্বামী-স্ত্রী সব সময় মিলেমিশে থাকতেন। হেফজুলের স্ত্রী আফরোজার বাবার বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলায়। আজ সকালে হেফজুল তার ভায়রার সঙ্গে গাছ কাটা নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। স্বামী-স্ত্রী বাজার করেও নিয়ে এসেছেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এরপর আমার অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছে শুনে ওদের ঘরে গিয়ে দেখি দুজনই ছটফট করছে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায়।

হেফজুলের ভায়রা জুয়েল জানান, আফরোজার সঙ্গে হেফজুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। শুরু থেকেই তিনি গাছের ব্যবসা করেন। আজ সকালে তাকে ফোনে জানিয়েছেন শহরের পুলিশ লাইনস এলাকায় গাছ কাটা হবে। এরপর খবর আসে তারা হাসপাতালে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে দুজনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান জুয়েল।

Advertisement

মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা বিষপান করে মারা গেছেন এটা বলা সম্ভব না। কারণ চিকিৎসা দেয়াই সম্ভব হয়নি। তবে মৃত্যুর আগে তারা দুজনই ছটফট করছিলেন। মৃত্যুর লক্ষণে ধারণা করা যায় তারা আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়টি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর পুলিশ স্থানীয়ভাবে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version