Connect with us

বাংলাদেশ

অবশেষে মুক্ত হলেন অবরুদ্ধ শাবিপ্রবির ভিসি

Published

on

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের মূল ফটক খুলে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

গতকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। 

তারা জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হবে। 
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী টানা ১৬৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিট অনশনরত থাকার পর অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের অনুরোধে অনশন থেকে সরে আসেন। তবে আপাতত অনশন থেকে সরে আসা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নাটক, গান, কবিতা আবৃত্তি, র‌্যালিসহ বেশকিছু কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল তাদের ৫টি দাবি উপস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন। দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর, অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার, অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বহন, পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া।

এসব দাবি পূরণে শিক্ষার্থীরা আশ্বাস পেলেও মূল দাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণের দায়িত্ব ড. জাফর ইকবাল এবং ড. ইয়াসমিন হক নিয়েছেন।

Advertisement

এছাড়া ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের দখলে থাকবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে।

এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

তাসনিয়া রহমান

জাতীয়

আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতির তদন্তে লাগবে আরও ২ সপ্তাহ : ইসি সচিব

Published

on

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিটির কাজ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। বললেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।

বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি সচিব বলেন, সেনাপ্রধান আজিজের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় ইসির যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় কারা সম্পৃক্ত, তা খুঁজে পেতে কমিটি কাজ করছে।

ইসি সচিব বলেন, তদন্তে যারাই দোষী প্রমাণিত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা যায়, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন আজিজ আহমেদ। এর আগে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) প্রধান ছিলেন তিনি।

দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

মেয়রের চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

Published

on

রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলির চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল নিহতের অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

নিহত আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলির দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় অভিযুক্তরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাঁ-পাশে আঘাত করেন আক্কাছ আলী। এছাড়াও মেরাজুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুল ইসলামের ঘাড়ে আঘাত করেন।

অভিযুক্তদের ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার তার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, ২৩ জুন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় এ মামলাটি করেন। মামলার পর থেকে মেয়রকে অফিস করতে দেখা যাচ্ছে না। এ মামলায় মেয়র আক্কাছ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু

Published

on

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিজ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বিএনপির এক নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম আবুল কালাম আজাদ (৪৭)। তিনি উপজেলার কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার মুন্সির ছেলে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে মোটরসাইকেলে চেপে ওই নেতা তার বোনের বাড়ি নাগেশ্বরীতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ভূরুঙ্গামারী বাজারের বাকালী ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায় , বুধবার সকালে মোটরসাইকেলে চেপে সে তার বোনের বাড়ি নাগেশ্বরীতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে উপজেলার আন্ধারীঝাড় বাজারে পৌঁছলে মোটরসাইকেল থেকে পরে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। চলন্ত মোটর সাইকেলে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের ধারণা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা শোনার পর পর আমরা মরহুমের বাড়িতে যাচ্ছি। নিজ হোন্ডা থেকে পরে ওই বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

 

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version