Connect with us

বাংলাদেশ

কোয়ার্টার থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের বিদায়

Published

on

একাই লড়লেন রিপন মন্ডল। কিন্তু সহজে ছাড় দিলেন না ভারতীয় ব্যাটারদের। বাংলাদেশের স্বল্প পুঁজি ১১১ রান টপকাতে ভারতকে হারাতে হয়েছে পাঁচ উইকেট। যার চারটি একাই তুলে নিয়েছেন যুবা পেসার রিপন মন্ডল।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগাতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

বাংলাদেশের দেয়া লো স্কোরিং ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই ভারতের ওপেনার হারনর সিংকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর দলের হাল ধরেন শেখ রশিদ ও আঙ্কিস রাঘুবংশী। দুজন মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি।

৫৯ বলে ২৬ রান করা শেখ রশিদকে রিপন মণ্ডল সাজঘরে ফেরালে এই জুটি ভেঙে যায়। এরপর রাঘুবংশীর সঙ্গী হন অধিনায়ক ইয়াশ ঢুল। কিছুক্ষণ পর ৬৫ বলে ৪৪ রান করা রাজবংশীও শিকার হন রিপনের। 

আরও দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে নেন তিনি। ম্যাচে ফেরার বার্তাই যেন দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু লক্ষ্যটা এতই কম, বেশি কিছু করার ছিল না বোলারদের। ২৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ভারতীয় অধিনায়ক ঢুল।

Advertisement

৩১ রানে ৪টি উইকেট নেন পেসার রিপন মন্ডল। বাকি এক উইকেট আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ রানে মাহফিজুলকে বোল্ড করেন রবি কুমার। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই আরেক ওপেনার ইফতেখারকে ব্যক্তিগত এক রানে ফেরান রবি কুমার। দলীয় স্কোর তখন মাত্র ১২ রান। দুই রান পরেই তৃতীয়বারের মতো টাইগার যুবাদের মনোবলে চিড় ধরান পেসার রবি কুমার। মাত্র ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাবি কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ৪ বলে ২ রান করে আউট হন মাহফিজুল ইসলাম।

১৭ বলে ১ রান করেন আরেক ওপেনার ইফতেখার আহমেদ। ১৯ বলে ৭ রান করে আউট হন প্রান্তিক নওরোজ নাবিলও। মাঝে কিছুক্ষণ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন আইচ মোল্লা। কিন্তু ৪৮ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন তিনি। ৫৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা। 

এরপর টাইগার যুবাদের পথ দেখাচ্ছিলেন মেহরব ও আশিকুর। দুজন মিলে গড়ে তুলেন ৫১ রানের জুটি। কিন্তু ৪৮ বলে ৩০ রান করেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে যান মেহরব। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেননি উইকেটরক্ষক বানা।

২৯ বলে ১৬ রান করে রান আউট হন আশিকুরও। বাংলাদেশের ইনিংসটাও আর লম্বা হয়নি, থামতে হয় ১১১ রানে। ভারতের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রাবি কুমার। ৭ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন তিনি।

Advertisement

কোয়ার্টার ফাইনালে হারলেও বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে না এখানেই। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে ৩১ জানুয়ারি সুপার লিগ প্লে অফ সেমিতে লড়বে বাংলাদেশের যুবারা।

এস

জাতীয়

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান

Published

on

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সবস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আজ সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হায়দার আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

বেলা দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনো ৮২ বছর বয়সে শনিবার রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান।

রনো একমাত্র মেয়ে রানা সুলতানাসহ বিপুল সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন,গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।

Advertisement

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন, তখনই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সরাসরি শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।

হায়দার আকবর খান রনো রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকী সাহিত্য ও বিজ্ঞানের ওপরও অনেকগুলো বই লিখেছেন। তিনি ২০২২ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

অভিনেত্রী হিমুর বয়ফ্রেন্ড রাফির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১ জুলাই

Published

on

ছোটপর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৩ মে) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরি আদালতে প্রতিবেদন দাখিলে ১ জুলাই ধার্য করেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় হিমুর ‘বয়ফ্রেন্ড’ জিয়াউদ্দিন রাফিকে আসামি করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৪ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২২ নভেম্বর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, হিমুর বয়ফ্রেন্ড রাফি। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে-মধ্যে রাতযাপন করতেন। ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়।

Advertisement

এছাড়া ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিংবেল দেন। ওই বাসায় থাকা মেকআপম্যান মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনিতো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান।

মিহির সঙ্গে সঙ্গে রুমে গিয়ে হিমুকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন রাফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল দুটি কৌশলে নিয়ে চলে যান। মামলার পর জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে রায় আজ

Published

on

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখার বিষয়ে আজ সোমবার (১৩ মে) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো.বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।

এরপর গেলো বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত বিধান নেই। এ জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০ থেকে ১২ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version