Connect with us

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র

আবারও দুই জেব্রার মৃত্যু

Published

on

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে ৯টি জেব্রার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হতে না হতেই আরও দুটি জেব্রার মৃত্যু হলো। এ নিয়ে চলতি মাসে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা মারা গেল। গেল শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে একটি ও সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় অপরটি মারা যায়। 

আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবীর জানান, শনিবার সকালে পালের দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়। এরপরই দুটি জেব্রার চিকিৎসা শুরু হয়। মুখ দিয়ে লালা পড়া, পেট ফুলে যাওয়া ও হাঁটতে পারছিল না প্রাণী দুটি। এরপর সকালে একটি জেব্রা মারা যায় আর সন্ধ্যার পর মারা যায় অপরটি।

এর আগে, অতিরিক্ত কাঁচা ঘাস ছাড়াও স্ট্রেপ্টোক্কাস, ইড়কোলাই, কস্নস্টোডিয়াম, সালমোনিলা ও পাস্টুরেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ২ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচটি এবং নিজেদের মধ্যে মারামারি করে আরও চারটি জেব্রা মারা গেছে।

২৫ জানুয়ারি গঠিত ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড পার্কে উপস্থিত হয়ে মৃত্যুরোধে করণীয় ও কারণ উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করেন। বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্য শহীদুল্লাহ মৃত্যুর কারণ ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।
পরামর্শগুলো হলো ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জেব্রার বসবাসের জায়গার মাটি ওলটপালট করে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে, পার্কের জলাধারের পানি পরিবর্তন করতে হবে, জেব্রাগুলোকে টিকার আওতায় আনতে হবে, খাবার হিসেবে পরিপক্ক ঘাসের ব্যবস্থা করতে হবে, শুকনো খাবার ফাঙ্গাসমুক্ত করে পরিবেশন করতে হবে, ঘাস পানিতে ভালো করে ধৌত করে কেটে পাত্রে পরিবেশন করতে হবে, এসব প্রাণী বেষ্টনিতে বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মীর ব্যবস্থা রাখতে হবে, পার্কের অভ্যন্তরে পতিত জমিতে ঘাস উৎপাদন করে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে, নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ পুরো বেস্টনিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডে ছিলেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক ড. আবু হাদী নুর আলী খান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকার কেন্দ্রীয় পশু হাপসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার ও ঢাকা চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এ বি এম শহীদ উল্লাহ, গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম উকিল উদ্দিন এবং সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।

তাসনিয়া রহমান

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র

‘জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে’

Published

on

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে কপ২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড : ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ২০টি ভালনারেবল দেশের জোট- সিভিএফ-ভি ২০ এর বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর  সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ। ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরমে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’র অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। একইসাথে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।

Advertisement

পরে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ কপ ২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকেও অংশ নেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র

ঢাকার বায়ু আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

Published

on

রাজধানী ঢাকায় বায়ু দূষণ কমছেই না। আজ (শুক্রবার) সকালের ঢাকায় ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু নিয়ে বায়ু দূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে এর অবস্থান দ্বিতীয়।

আজ সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২২৩। বাতাসের এই মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গেলো প্রায় এক মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর, অর্থাই প্রায় এক মাসের মধ্যে আজই ঢাকার বাতাসের মান সবচেয়ে খারাপ।

আজ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। ভারতীয় শহরটির স্কোর ৩০৩, যা বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হয়।

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

Advertisement

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র

ওজন বাড়লেই পুরুষ থেকে নারীতে পরিণত হয় কোরাল মাছ

Published

on

হাজারো বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের প্রাণিজগৎ। বৈচিত্র্যের শেষ নেই এই জগতে। প্রাণীদের জীবনযাপন আরও বেশি চমকপ্রদ।প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে এই প্রাণিজগতের নানা অজানা তথ্য।বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিত্যনতুন ফলাফল রীতিমতো চমকে দেয় আমাদের। জনপ্রিয় ও সুস্বাদু কোরাল মাছের একটি বৈশিষ্ট্যও সম্প্রতি মৎস্যবিজ্ঞানীদের কৌতূহলী করে তুলেছে।


গবেষণায় জানা গেছে, কোরাল মাছ জন্মায় উভলিঙ্গ পরিচয় নিয়ে। এরপর পুরুষ হিসেবে বাড়ে।আর বয়সকালে পরিণত হয় নারীতে। তবে এই রূপান্তরের প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো অজানা রয়ে গেছে।

গবেষণায় জানা গেছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা জন্মের সময় যে লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে পৃথিবীতে আসে,সেটাই তার আজীবন লৈঙ্গিক পরিচয় হয়।তবে মাছের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।উষ্ণ পানির অধিকাংশ মাছই জন্মায় পুরুষ হয়ে। লিঙ্গ নির্ধারণে তাপমাত্রাও ভূমিকা রাখে।

যুক্তরাজ্যের স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক স্টিফানো মারিয়ানির মতে,লিঙ্গ পরিবর্তনে মাছের পারদর্শিতা প্রাণিজগতে সবাইকে ছাপিয়ে যায়। গবেষণায় তিনি দেখেছেন, মাছেরা নিজেদের অ্যান্ড্রোজেন হরমোনকে দ্রুতই অ্যাসট্রোজেনিক হরমোনে রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে তারা নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।

কোরাল মাছ নিয়ে গবেষণা করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক। ২০১৮ সালে পরিচালিত গবেষণায় তিনি দেখতে পান কোরাল মাছ প্রথমে উভলিঙ্গ হয়ে জন্মায়। এরপর পুরুষ হয়। আর চার কেজির বেশি ওজন হলে অধিকাংশ কোরাল স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়।

Advertisement

একই কথা বলেছেন,কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান।বায়ান্ন টিভিকে তিনি বলেন,কোরাল মাছ জন্ম নেয় পুরুষ হিসেবে। ওজন যখন চার কেজির বেশি হয়, তখন পুরুষ কোরাল আপনা-আপনি স্ত্রী জাতে রূপান্তর ঘটে।

কিন্তু কোরাল পুরুষ হয়ে জন্মায় কেন এবং পুরুষ থেকে স্ত্রী জাতে রূপান্তর কেন ঘটে, এ নিয়ে বিশদ গবেষণা হয়নি বলেও জানান্ তিনি।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version