Connect with us

বাংলাদেশ

ফরাসি কাপের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে নিস

Published

on

প্যারিসে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে শেষ ষোলোয় নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে হেরেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। নির্ধারিত সময়ে রক্ষণ জমাট রেখে পিএসজিকে আটকে রাখে নিসের গোলরক্ষক। টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় দুটি শট ঠেকিয়ে ব্যবধান গড়ে দেন তিনি। মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে হারিয়ে ফরাসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো নিস। প্রতিযোগিতাটির গতবারের ও রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।

বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর ৩০ নম্বর জার্সি পেলেও নিসের বিপক্ষে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সিতে মাঠে নামেন লিওনেল মেসি। ফরাসি কাপের নিয়ম অনুযায়ী, শেষ ষোলোয় শুরুর একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের পরতে হয় ১ থেকে ১১ নম্বর জার্সি। পিএসজিতে নিয়মিত ১০ নম্বর জার্সি পরা নেইমার চোটের কারণে বাইরে আছেন। শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা পিএসজি প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগটা পায় ২২ মিনিটে। ডি-বক্সে মেসির পাস খুঁজে পায় আন্দের এররেরাকে। এই মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল বাইরে মারেন মার্কো ভেরাত্তি।

৬৪ মিনিটে মাউরো ইকার্দিকে তুলে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ। চার মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভেরাত্তির শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৮৪ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় নিস। ডি-বক্সে জাস্টিন ক্লুইভার্টের শট ঠেকান ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে। যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে লেয়ান্দ্রো পারেদেসের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান সফরকারী গোলরক্ষক।

টাইব্রেকারে নিজেদের প্রথম তিন শটে বল জালে পাঠায় নিস। পিএসজির প্রথম দুটি শটে জাল খুঁজে নেন মেসি ও এমবাপে। পারেদেসের নেওয়া তাদের তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্চিন বুকা। নিসের পরের শট ঠেকান দোন্নারুম্মা। পরের তিনটি করে শটে দুই দলই আবার জাল খুঁজে নেয়। এরপর পিএসজির চাভি সিমোন্সের শট ফিরিয়ে নিসকে উল্লাসে ভাসান বুকা।

প্রথমার্ধে কেবল একটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা। সেটিও বিরতির বাঁশি বাজার একটু আগে। সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর শট মারেন মেসি। এর আগে প্রতিপক্ষের একটি শট সহজেই ঠেকান জানলুইজি দোন্নারুম্মা।

Advertisement

হাসিব মোহাম্মদ

বাংলাদেশ

মধ্যরাত থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ

Published

on

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সোমবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

রোববার (১৯ মে) নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এসময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোয় মনিটরিং জোরদার করা হবে।

আরও জানানো হয়, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার এই সময়ে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবার আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৮৬ কেজি করে ভিজিএফ বরাদ্দ পাবেন।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস কাল

Published

on

রক্তে ভেজা ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস বা মুল্লুকে চলো দিবস আগামীকাল (মঙ্গলবার)।

১৯২১ সালের ২০ মে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় চাঁদপুরের মেঘনাঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় চা শ্রমিকদের। এরপর থেকে চা-শ্রমিকেরা ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন এই দিবসটি।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চানপুর চা বাগানর শ্রমিক নিপেন পাল জানান- দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুর চা বাগানে সমাবেশ করবে লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকরা।

চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। সে সময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িষ্যা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়।

‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ গাছ নাড়ালেই টাকা মিলবে এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শ্রমিকের জীবন গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এছাড়া ব্রিটিশদের অত্যাচারতো ছিলই। তাদের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পন্ডিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পন্ডিত দেওসরন ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন।

এরপর ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে, ব্রিটিশ সৈনিকরা গুলি চালিয়ে শত-শত চা শ্রমিককে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যারা পালিয়ে এসেছিলেন তাদেরকেও আন্দোলন করার অপরাধে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চা শ্রমিকদেরকে পরানো হয় একটি বিশেষ ট্যাগ। তারা ভূমির অধিকারও পায়নি। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২০ মে চা শ্রমিক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version