কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে নাতির দায়ের কোপে সত্তরোদ্ধ দাদী গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত কেতাব আলীর দুই ছেলে আব্দুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম। কেতাব আলীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রহিমা বেওয়া (৭৫) ছেলেদের সংসারেই থাকেন। বড় ছেলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০) ছেলে হারুন অর রশিদ (২০) শ্বশুর পাশ্ববর্তী ছিট রাবাইতারী গ্রামের মৃত মনসের আলীর ছেলে হাসেম আলী (৬০) প্রায়ই আব্দুর রহমানের সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া বিবাদ করে। রোববার সকালে আব্দুর রহমানের শ্বশুর হাসেম আলী বাড়ীতে আসলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী ও ছেলে আব্দুর রহমানকে অহেতুক গালিগালাজ মারপিট করার জন্য তর্জন গর্জন শুরু করে। বৃদ্ধা রহিমা বেগম ছেলেকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে হাসেম আলী রহিমা বেগমের কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এক পর্যায়ে নাতি হারুন অর রশিদ হাতে থাকা দা দিয়ে বৃদ্ধা রহিমা বেগমের মাথায় সজোরে কোপ দেয়। দায়ের কোপে রক্তাক্ত রহিমা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ছোট ছেলে হাফেজ শফিকুল ইসলাম মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তখন হারুন হাসিনা ও হাসেম আলী মিলে শফিকুলকে বেদম মারধোর করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রহিমা বেগম ও শফিকুলকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ছোট ছেলে হাফেজ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
আহত রহিমা বেগম ও শফিকুল ইসলাম বর্তমানে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।