দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ আত্মীয়দের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোটিশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও কন্যার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক যেসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলো কেন জব্দ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
এরই প্রেক্ষিতে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেলের পরিবার প্রতিষ্ঠনটির শেয়ার শ্বশুর এবং শাশুরির নামে হস্তান্তর করতে চেয়ে আবেদন করেন।
আদালত ইভ্যালির ৫০ শতাংশ শেয়ার রাসেলের পরিবারের তিন সদস্যের নামে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছেন। তারা হলেন রাসেলের শ্বশুর রফিকুল আলম তালুকদার, শাশুড়ি ফরিদা তালুকদার ও বায়রা ভাই মামুনুর রশিদ।
একই সাথে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডকে সব ধরনের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতে সশরীরে হাজির হন। তারা আদালতকে জানান, ইভ্যালি পুনর্গঠনের জন্য তারা কাজ করছেন। যারা ইভ্যালির কাছে টাকা-পয়সা ও পণ্য পাবেন সেগুলো ফেরত দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তার আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এই বিষয় শুনানি হয়।
রাসেলের আইনজীবী জানান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (ইভ্যালির চেয়ারম্যান) শেয়ার কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যরা। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে হাজির হয়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তারা মৌখিকভাবে এই ইচ্ছার কথা বলেন। আদালত তাদের পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় হলফনামা আকারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন এবং তারা মঙ্গলবার দাখিল করলে আদালত এই অনুমতি দিয়েছেন।
এই আদেশের ফলে ইভ্যালি পুণরায় চালু হওয়ার পথ সুগম হচ্ছে। ইভ্যালির গ্রাহকরা সুখবর পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুক্তা মাহমুদ