রান্নাঘরের হাঁড়ি-পাতিল কিনতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুল যাচ্ছেন সোনারগাঁও হোটেলের (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এমডিসহ চার সরকারি কর্মকর্তা।
হোটেল সোনারগাঁওয়ের মূল রান্নাঘর সংস্কারে ৩০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ছিল। কাজটি করার জন্য হোটেল পরিচালনাকারী সরকারি সংস্থা হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (হিল) কার্যাদেশ দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইন্টেরিয়রস-অ্যাকম জেবিকে।
ঠিকাদারের সঙ্গে হিলের সম্পাদিত চুক্তির কন্ডিশন অব কন্ট্রাক্টে গুণগত মান পরীক্ষার জন্য দুই দেশ ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। তাই ভ্রমণের অনুমোদনের জন্য গেলো ৩ ফেব্রুয়ারি হিল থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে।
মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ ভ্রমণের অনুমোদন দিয়েছে এবং সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে। যে চার কর্মকর্তাকে ভ্রমণের অনুমোদন দেয়া হয় তারা হলেন হিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএস এএইচএম জামেরি হাসান, হিলের ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মো. এরশাদুল হক এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকার টেকনিক্যাল সার্ভিস ডিরেক্টর মো. আবুল বাশার খান।
অভিযোগ উঠেছে, রান্নাঘরের আধুনিক মানের চুলা, হাঁড়ি-পাতিল, খুন্তি বা অন্যান্য যেসব জিনিসপত্র দেখার জন্য প্রতিনিধিদল দুই দেশ যাচ্ছে তারা ওই দেশে যাওয়ার আগেই কার্যাদেশের ৭০ ভাগ মালামাল জাহাজে তুলে দেয়া হয়েছে। শিগগিরই তা হোটেল কর্তৃপক্ষের বুঝে নেয়ার কথা।
হিলের বা সোনারগাঁও হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা যাব কিচেনের যন্ত্রপাতির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য। এ কাজে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হবে না।’
যেসব জিনিস দেখতে যাওয়ার কথা তা ইতিমধ্যেই দেশে এসে গেছে। বিষয়টি জানতে চাইলে বিব্রত বোধ করেন হিলের এমডি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকার একজন কর্মকর্তা জানান, চার কর্মকর্তাকে দুই দেশ ভ্রমণ করিয়ে আনতে ঠিকাদারদের কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা খরচ হবে। ভ্রমণে না নিলে সরকারের মোট ব্যয় ৩০ লাখ টাকা কম হতো।