ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হামলার অজুহাত সৃষ্টির জন্যই রাশিয়া সেনা প্রত্যাহারের মতো ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর প্রতিনিধিনিদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাইডেন বলেন,পুতিন হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এটা বিশ্বাস করার মতো যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ইউক্রেনে হামলা হলে সমন্বিতভাবে রাশিয়ার ওপর বহুমুখী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা।এছাড়াও বৈঠকে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোকে শক্তিশালী করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এখনও কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেন সংকটের সমাধান সম্ভব; কিন্তু মস্কো হামলা করলে আন্তর্জাতিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির একটি কূটনৈতিক সমাধানে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৈঠক করবেন। এ বৈঠকের আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হলে কূটনৈতিকভাবে এই সংকট সমাধনের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। আর রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক আরো তলানিতে গিয়ে পৌছবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরেই ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংকট তৈরি হয়েছে। ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদনের পরই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট শুরু হয়। ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও সহযোগী দেশ হিসেবে মনোনীত করে। এরপর উত্তেজনা আরও বাড়ে।
গেলো দুই মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি কিছু সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর সত্যতা নিয়ে ইতোমধ্যে সংশয় প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রসমূহ।
সূত্র: বিবিসি।
অনন্যা চৈতী