বড় রহস্য লুকিয়ে সৌদি রাজপুত্রের বিমানে। সত্যিই কী পার্সোনাল এই বিমানটা খাঁটি সোনা দিয়ে মোড়ানো? বিমান তো নয়, যেন উড়ন্ত রাজপ্রাসাদ। কোনও টোটকায় টাটা- আম্বানি-আদানিকেও টেক্কা? ভয়ঙ্কর রকমের বড় এই বিমান কী খতরনাক সব অস্ত্রে ঠাসা? বিমানের ভেতর ‘স্পা-স্টিম বাথ’ এর বিশেষ ঘর? দাম শুনলে মাথা ঘুরে যাবে। সৌদি রাজপরিবারের সদস্যদের লাইফস্টাইল জানেন? এখানে টাকা কথা বলে, ঐশ্বর্য-বিলাসিতা হাঁ হয়ে দেখার মতো। আল ওয়ালিদ বিন তালাল। কর্পোরেট বিশ্ব তাঁকে চেনে ‘সৌদি আরবের ওয়ারেন বাফে’ বলে। তিনিই সৌদির রাজকুমার।
বিশ্বের সবচেয়ে দামী বিমানটা রয়েছে তারই হাতে। কিন্তু কী এমন আছে এই বিমানের মধ্যে? মণি মানিক্য, হীরে-জহরত? নাকি আরও দামী কোনো সম্পদ? জেটটির এই চোখ ধাঁধানো অন্দরসজ্জার ফলেই দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। হাত দিতে পারবেন না। নামেই বিমান, যা রাজপ্রাসাদ এর থেকে কোনো অংশে কম নয়। এটাই ফ্যাক্ট। কী নেই এতে? জেটটিতে রয়েছে ১০ আসনের ডাইনিং হল, বিলাসবহুল বেডরুম, প্রার্থনার ঘর। রয়েছে হোম থিয়েটার, বিনোদনের জন্য বিশেষ ঘর, স্পা। ‘স্টিম বাথ’-এর জন্য রয়েছে আলাদা একটা ঘর। আকাশসফরে বিনোদনের অঢেল ব্যবস্থা রয়েছে এই বিমানে।
বিমানটিতে অন্তত ৮০০ জন একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারেন। এই বিমানটা অন্যান্য কারণেও অন্যান্য সব বিমানের থেকে আলাদা এবং স্পেশাল। সৌদি রাজপুত্রের ব্যক্তিগত বোয়িং ৭৪৭ এর বিমানটার বাজারমূল্য ১২৪৬ থেকে ১৬৬১ কোটি টাকার মতো। কিন্তু সব মিলিয়ে মোট দাম ৪১০০ কোটি টাকাও ছাড়িয়ে গেছে। কেন যানেন?
আসলে বিমানটিকে সৌদি রাজপুত্রের জন্য আরও বিলাসবহুল করে তোলা হয়েছে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ধনকুবের রয়েছেন। এর মধ্যে ইলন মাস্ক, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ, ভারতের মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা, গৌতম আদানি অন্যতম। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ কোটি কোটি টাকার বেশি! লাক্সারি জীবনযাপন তাদের। দামি দামি গাড়ি থেকে ব্যক্তিগত বিমান কী নেই তাদের কাছে? কিন্তু তারপরেও সৌদি রাজপুত্রকে নিয়েই এতো চর্চা কেন?
আসলে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যক্তিগত বিমান এই ধনকুবেরদের কারও হাতে নেই। সৌদি যুবরাজের এই বিমানের চেয়ে দাম অনেক কম অম্বানীর ব্যক্তিগত বিমানের। যার বাজারমূল্য ৬০৩ কোটি টাকা। আরও এক শিল্পপতি গৌতম আদানির রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত বিমান। সেগুলোর দামও সৌদির রাজপুত্রের বিমানের থেকে অনেকটাই কম। হ্যাঁ, তিনিও সৌদির রাজপুত্র কে টেক্কা দিতে পারেন নি। রতন টাটার কাছেও রয়েছে বিলাসবহুল ব্যক্তিগত বিমান। যার দাম ২০০ কোটি টাকারও বেশি।
আল ওয়ালিদ এবং তার পরিবারকে চেনে সারা বিশ্ব। সৌদির এই পরিবারের সম্পদের বহর জানলে মাথায় হাত পড়বে। ওই পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ওয়ালিদ নিজে! পরিবারের সব সদস্যরা বিশ্বের সবচেয়ে নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাক এবং অলঙ্কার ব্যবহার করেন। সৌদি রাজকুমারের সোনায় মোড়া ব্যক্তিগত বিমান, আকাশছোঁয়া অফিস, বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এ সব বরাবরই চর্চার কেন্দ্রে। সৌদি আরবের রাজপরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত, সেটা কিন্তু টপ সিক্রেট। তবে পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত সম্পদ দিয়ে এই পরিবার ঠিক কতটা ধনী, তার একটা আঁচ পাওয়া যায় ফোর্বস বলছে, সৌদির রাজপুত্রের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা সেই তুলনায় মুকেশ অম্বানীর সম্পত্তির পরিমাণ কিন্তু অনেক বেশি। রিলায়্যান্স কর্ণধারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৯ লক্ষ ৫৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে সৌদির রাজপুত্রের থেকে রতন টাটার সম্পত্তির পরিমাণ অনেক কম। টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮০০ কোটি টাকা।