Connect with us

বাংলাদেশ

বিএসএমএমইউর ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

Published

on

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ-সাবেক পিজি হাসপাতাল) ভিসি, রেজিস্ট্রার ও কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহানারা আরজুর কারা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ (ফয়েজ)।

আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের নারী চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে মানসম্মত অ্যাটাচবাথ অফিস রুমের দাবি করে এলেও কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রুম দখল করে রাখায় ওই চিকিৎসকরা বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। তাই বিভাগের একমাত্র নারী অধ্যাপক ড. জাহানারা আরজু হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন এবং আবেদনকারীকে ১৫ দিনের মধ্যে অধ্যাপকদের জন্য মানসম্মত অফিস রুম বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই আদেশের কপি পেয়ে গত ৪ জানুয়ারি চিঠির মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করবেন বলে আশ্বাস দিলেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে রিট আবেদনকারী আদালত অবমাননার আবেদন করেন ।

Advertisement

 

এসআই/

জাতীয়

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

Published

on

অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে যাত্রী বান্ধব বাহনে পরিণত হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ তৈরি করেছে। ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ নির্মাণের পরে শুধু রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার দুটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ জমিজমা, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নদী-নালা, খাল-বিল বিলীন করে রেলপথের জায়গার জন্য ছেড়ে দিলেও এই ট্রেন সার্ভিস চালুর পর থেকে তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির মুখে গত ঈদুল ফিতরের সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে কক্সবাজার স্পেশাল নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়। সড়ক পথে নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে যাত্রী সাধারণ সীমিত সুবিধায় এই ট্রেনটির প্রতি ঝুঁকছিলেন।

ট্রেন সার্ভিসটি ঈদের পর নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় রেল প্রশাসনের মাঠ জরিপ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটি চলাচলের সময়সীমা দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীরা যখন এই ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন, তখন বাস মালিকেরা একে একে সব পরিবহনে যাত্রী সংকট দেখা দিলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। তারপরেও বাসে যাত্রী না পাওয়ায় বাস মালিকেরা রেল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছে বলে এই রুটে যাত্রীদের অনেকেই মনে করেন। তাই বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের জনপ্রিয় ট্রেন সার্ভিস কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।

Advertisement

দেশের ট্রেন সার্ভিসগুলোর মধ্য অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনের তুলনায় ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীর চাহিদা বেশি এবং আয়ও বেশি। এছাড়া ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথে কয়েক জোড়া রেল চালানো না গেলে বিনিয়োগের কিস্তি ওঠানো সক্ষম হবে না। এতে রেল কর্তৃপক্ষের লোকসানের বোঝা দিনদিন ভারী হয়ে উঠবে। কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে দুটি করে ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সার্ভিস বন্ধ করা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রেলওয়ে একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের আকাঙ্ক্ষার বাইরে গিয়ে কেবল বাস মালিকদের লাভবান করার মানুষ এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার যাত্রী সাধারণকে সরকারের অনন্য অবদান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

অবৈধ সম্পদের মামলায় ছেলেসহ সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

Published

on

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন এবং তার ছেলে মো. ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞার আদালতে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আজ আসামি পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম দুলাল সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি রাখার আবেদন করেন। কারণ হিসেবে জানান, মামলা বাতিল চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন। পরে আদালত আগামী ৩০ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেন।

এদিন বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। এ মামলায় তার ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক রয়েছেন।

এর আগে গেলো ৩১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত। ওইদিন বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারপক্ষে আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। তবে তার ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গোলাম মাওলা গেলো বছর দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

Advertisement

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের মোট সম্পদ ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ টাকা। তার ১৯৮২-১৯৮৩ কর বর্ষ থেকে ২০১০-১১ কর বর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া বিচারপতি জয়নুল আবেদীন তার ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন। যা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

কিন্তু বিচারপতির আয়কর রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। বিচারপতির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর ) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই। ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে তার দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া পাওয়া যায়নি। যা থেকে দুদক প্রমাণ পেয়েছে সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন তার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন।

এছাড়া, মো. জয়নুল আবেদীন তার স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলে ফয়সাল আবেদীনকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেওয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মো. ফয়সাল আবেদীন পিতার ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা জেনেশুনে বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

‘সুন্দরবনের মতো শিগগির বঙ্গোপসাগরকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হবে’

Published

on

বঙ্গোপসাগরকে যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু যারা আত্মসমর্পণ করেন নি তাদের কি হবে শুধু আল্লাহই জানেন। শিগগির বঙ্গোপসাগরকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‍্যাব-৭ এর এলিট হলে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের মতো শিগগির বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে। চিন্তার বিষয় হলো একজন পঞ্চাশোর্ধ নারীও জলদস্যু। মূলত ক্ষমতাশালীদের হাতে নির্যাতন হয়ে অনেকে এ পথ বেছে নেন। এমন অনেক গল্প আছে। আমরা তাদের সুপথে ফেরার ও সমাজে করে খাওয়ার মতো ব্যবস্থা করছি। তাদের মামলাগুলো তুলে নিয়ে সহায়তা করবো। তবে খুন ও ধর্ষণের অভিযুক্তদের মামলা তুলবো না।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, র‍্যাব অনেক চড়াই-উৎরাই পরেও স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে যখন জঙ্গির উত্থান হচ্ছিল। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছে র‍্যাব। দেশের মানুষের সুরক্ষা দিতে গিয়ে জীবন দিয়েছে ৩৩ জন র‍্যাব সদস্য।

মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, চট্টগ্রাম আর আগের মতো নেই। এখানে টানেল হয়েছে, বে-টার্মিনাল হচ্ছে। এখানে কেন দস্যুতা থাকবে?

Advertisement

জলদস্যুদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৫ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছি। এখন একটি পিসফুল পরিস্থিতি চাই। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে। কেউ যেন অপরাধ করার সাহস না পায়। যারা ফিরে আসেনি তাদের কি পরিণতি হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version