Connect with us

এশিয়া

উইঘুর শিক্ষাবিদকে চীনের যাবজ্জীবন

Published

on

উইঘুর, শিক্ষাবিদ রাহিলে দাউত

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের এক শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অধিকার সংগঠন ডুই হুয়া ফাউন্ডেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অধিকার গোষ্ঠীটির তথ্যনুযায়ী, যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ওই শিক্ষাবিদের নাম রাহিলে দাউত। ২০১৮ সালে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন এ শিক্ষাবিদ।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসেই আপিলে হেরে গেছেন ৫৭ বছর বয়সী এ অধ্যাপক। চীনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উইঘুরদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে। দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে থাকা উইঘুর সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। নির্যাতন চালিয়ে উইঘুর মুসলমানদের সংখ্যা কমানোর অভিযোগও রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে।

অধিকার সংগঠনগুলোর ধারণা, গেলো কয়েক বছরে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে জোর করে বন্দি শিবিরে রেখেছে চীন। এছাড়া ইউঘুর সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার লোককে বিভিন্ন অভিযোগে সাজা দিয়েছে চীন।

Advertisement

ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কাম বলেন, ‘শিক্ষাবিদ রাহিলে দাউতের শাস্তি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এর মাধ্যমে উইঘুরদের একটি বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’

শাস্তির বিষয়ে রাহিলে দাউতের মেয়ে আকেদা পুলাউতি বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে কী হচ্ছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’

আকেদা পুলাউতির উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিবৃতিতে ডুই হুয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ‘হয়তো আমার মাকে সারা জীবন কারাগারে থাকতেই হবে। চীন আমার নির্দোষ মাকে মুক্তি দাও।’

‘বিভাজন’ ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৭ সালে রাহিলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরের বছরের ডিসেম্বরে জিনজিয়াংয়ের একটি বিশেষ আদালতে তার বিরুদ্ধে রুদ্ধদ্বার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

উইঘুর সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও লোককাহিনীতে বিশেষজ্ঞ ছিলেন রাহিলে। গ্রেপ্তারের আগে জিনজিয়াং ইউনিভার্সিটি কলেজ অব হিউম্যানিটিজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

Advertisement

এশিয়া

ছয় মাস যেতে না যেতেই রাম মন্দিরে ফাটল

Published

on

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি অযোধ্যার রাম মন্দিরে উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ছয় মাস পার হতে না হতেই ছাদ ফেটে অঝোরে পানি পড়ছে। অটল সেতুর ফাটলের পর অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছাদে এমন ফাটল সবার মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এ মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ইস্পাত। শুধুমাত্র নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় কুতুব মিনারের কাছাকাছি উচ্চতার রাম মন্দির। এটি তৈরির পিছনে রয়েছেন ভারতের নামিদামী বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই বেহাল অবস্থা রামমন্দিরের। ফুটো ছাদ এবং জলাবদ্ধ প্রাঙ্গন নির্মাণের গুণমান নিয়ে ব্যাপক বির্তর্কের জন্ম দিয়েছে।

রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনও বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

তিনি আরও বলেন, কেন নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে মনোযোগ দেয়া উচিত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অটল সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সেতুটিই ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এর জন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ৫ মাস যেতে না যেতেই সেই সেতুতে দেখা গেল ফাটল।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয় : মমতা

Published

on

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়র জন্য পানির প্রয়োজন।গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে— যদি বাংলাদেশের সাথে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বললেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (২৪ জুন)  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এসব কথা বলেন মমতা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মমতা বলেছেন,এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার পর এ চিঠিতে এ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,  রাজ্য সরকারের পরামর্শ এবং মতামত ছাড়া এই ধরনের একতরফা আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণযোগ্য কিংবা কাম্য নয়। তিনি বুঝতে পেরেছেন ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে।

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়,ভারত-বাংলাদেশ রেলপথ ও বাস পরিষেবা চালুসহ অতীতে বাংলাদেশের সাথে কয়েকটি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত সরকার বাংলাদেশে তিস্তাকে পুনরুজ্জীবিত করার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি অবাক হয়েছেন যে, জলশক্তি মন্ত্রণালয় ভারতে নদীটিকে তার আসল রূপে ফেরানোর জন্য কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।

উল্লেখ্য, গেলো ২২ জুন নয়াদিল্লিতে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

এবার হজে গিয়ে ১৩’শ জনের মৃত্যু

Published

on

চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে হাজিদের প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩’শ। এবার পুরো হজ মৌসুম জুড়েই দাবদাহ ছিল মক্কায়। প্রায় দিনই তাপমাত্রা ছিলে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এজন্য বেশিরভাগ হাজির মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত অসুস্থতায়।

রোববার (২৩ জুন) এ তথ্য জানায় সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশটির মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত হাজিদের ৮৩ শতাংশের হজে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল না। ফলে অনুমোদন নিয়ে যাওয়া অন্যান্য হাজিদের মতো প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে কুলিং সিস্টেম, ঠান্ডা পানি ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার মতো সেবা গ্রহণ করতে পারেননি তারা। তীব্র তাপদাহে কোনরকম আশ্রয় ছাড়াই তাদের হাঁটতে হয়েছে দীর্ঘপথ। এতে পথের মাঝেই প্রাণ হারান অনেকেই।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version