চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রবিউল হক (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত রবিউল হক দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের যুগেরপাড়ার মৃত রহমতুল্লাহর ছেলে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতের যেকোনো সময়ে এ ঘটনা ঘটে। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল করিম ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের পীরপুরকুল্লাহ ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মাহাবুর রহমান জানান, রবিউল হক অবৈধভাবে মালামাল পারাপার করত বলে শুনেছি। গেলো বুধবার রাতে মালামাল পারাপার করতে ভারতে গেলে ঠাকুরপুর সীমান্তের ৯২নং মেইন পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, নিহত রবিউল হকের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভীমপুর থানায় রাখা আছে। বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, ঠাকুরপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করেছি। বিএসএফর কাছ থেকে জানার পর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।
এর আগে গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে আরও এক বাংলাদেশি নিহত হন। ৭দিন পর তার মরদেহ বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহটি ফেরত দেয় বিএসএফ।
এএম/