Connect with us

বাংলাদেশ

ফেব্রুয়ারিতে ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

Published

on

সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো প্রবাসী আয়ের এ অংক আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ কম। বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংক ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৪৯ কোটি ৬১ লাখ (১.৪৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অংক গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বা ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। 

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭৮ কোটি ৬ লাখ ডলার। শুধু তাই নয়, ফেব্রুয়ারির রেমিট্যান্সের এ পরিমাণ গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দেশে ১০৯ কোটি ডলার (সর্বনিম্ন) রেমিট্যান্স এসেছিল।

 খাত সংশ্লিষ্টরা বল‌ছেন, কোভিডের কারণে প্রবাসীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে অনেকে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছিলেন। কেউ চাকরি হারিয়ে অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে সব অর্থ পাঠিয়ে দেশে ফিরেছেন। করোনা প্রাদুর্ভাবের  সময় অবৈধ চ্যানেলগুলো বন্ধ ছিল তাই বাধ্য হয়ে সবাই ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়েছেন। ফলে গত বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি ছিল।

এখন ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাতায়াত বাড়ছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া জমানো টাকা না পাঠিয়ে অনেকে আবার জমাতে শুরু করেছেন। আবার সশরীরে যাওয়া-আসা শুরু হওয়ায় অনেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছেন। ফলে চলতি অর্থবছরে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে।

Advertisement

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ডলার ( প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯৬ কোটি বা প্রায় ১৮ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসে দেশে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ের গতি কিছুটা বেড়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে আবারও ধস নামে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ কোটি ২৭ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি  ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বরাবরের মতই বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

Advertisement

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬৩ কোটি এবং জানুয়ারিতে এসেছে ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

 

এসআই/

Advertisement

অপরাধ

পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে (আনার) খুন করার জন্য হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী  ঘাতকদের সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন। আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে কলকাতা যাওয়ার পরের দিনই ঘাতকরা হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। মাত্র ২০ মিনিটেই শেষ হয় কিলিং মিশন।   এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ওই জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৬ বছর বয়সী আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় গিয়ে পূর্বপরিচিত গোপাল বিশ্বাস নামের একজনের বাসায় উঠেছিলেন। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়েছে।  চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন, বাংলাদেশিরাই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনিশ্চিত তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভারতের কেউ জড়িত না। অনেক তথ্য আছে, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই বলা যাচ্ছে না। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নেপথ্যের কারণ পরে জানাবো।’ খুনের মোটিভ জানার কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে একটি দল মোহাম্মদপুর থেকে প্রথমে আমানুল্লাহ নামে একজনকে আটক করার পরই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার জট খুলতে শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব তথ্য। পরে আটক করা হয় ফয়সল ওরফে জুয়েলকে। ডেকে নেওয়া হয় শিলাস্তি নামে এক যুবতীকে। এসব জানানো হয় ভারতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। দুই দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয় খুন হয়েছেন এমপি আনার।

Advertisement

ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশে সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন নামের এক ব্যক্তির নাম এসেছে। কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়, সেটি এই আক্তারুজ্জামানের ভাড়া করা। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামানের ছোট ভাই।

ঢাকা ও কলকাতার পুলিশ জানায়, আনোয়ারুল আজিম ১৩ মে দুপুরে গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বেরিয়ে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে যান। সেখানেই হত্যা করা হয় তাঁকে। তাঁর নিখোঁজের ঘটনায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়ে কলকাতার পুলিশ তথ্য পায়, ওই ফ্ল্যাটে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি রহমান নামের দুই ব্যক্তিও ছিলেন। এই তথ্যের সূত্র ধরে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ফয়সাল আলী ওরফে সাজি নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,  গ্রেপ্তার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  একসময় চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে। একটি হত্যা মামলায় আমানুল্লাহ সাত বছর (১৯৯১-৯৭) ও পরে আরেকটি হত্যা মামলায়  ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আমানুল্লাহ নামে পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে খুনের জন্য আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের সঙ্গে তাঁর পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি হয়।

Advertisement

এদিকে, গ্রেপ্তারকৃদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে আক্তারুজ্জামান ও আনোয়ারুল আজিম পুরানো বন্ধু। আক্তারুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসা রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে তাঁর বাসা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কলকাতার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় আক্তারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন। আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ খুঁজছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে দিল্লি হয়ে কাঠমান্ডু চলে গেছেন আক্তারুজ্জামান।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়,স্বর্ণ চোরাচালানের আন্তর্দেশীয় চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে ভারতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এমপি আজিম হত্যা মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি  আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে অপহরণ মামলা করেছেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রোবায়েত জামান এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।

মামলার এজাহারে যা আছে

মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

Advertisement

বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।’

ভারতীয় পুলিশ কী বোলছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানি য়েছে কলকাতা পুলিশ। তিনি খুন হয়েছেন কিনা সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি বলেও তারা জানায়।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)অখিলেশ চতুর্বেদী গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ গত ২০ মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই কেসটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার একটি নির্দেশ আসে। এরপর আজ ২২ তারিখে আমাদের কাছে একটি তথ্য আসে যে, তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরে আমাদের পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিকে শনাক্তকরণ করে। কারণ এখানেই তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আরও তদন্ত চলছে। সিআইডি এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।’

Advertisement

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের আইজিপি জানান, ‘এখন পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়নি। আমরা কেসের তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে, তাতে ১৩ তারিখে তিনি এই ভবনে ঢুকেছিলেন। তবে এর আগে এসেছিলেন কি না সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্তসাপেক্ষ।

মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তার ব্যাপারে জানতে চাইলে  অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘এটি এখনই বলা সম্ভব নয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফটোগ্রাফি সব টিমকে এই তদন্তে ইনভাইট করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেন।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের  জবাবে পশ্চিমবঙ্গের এই আইজিপি বলেন, ‘যে ফ্ল্যাটটিতে ওই সংসদ সদ্য এসে উঠেছিলেন, সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা (প্রবাসী বাংলাদেশি) আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।’

প্রসঙ্গত,  গেলো ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার মলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসককে দেখানোর উদ্দেশে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায়় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, তাকে আর ফোন করতে হবে না। দরকার হলে তিনি তাকে (গোপাল বিশ্বাস) ফোন করবেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনও উপায় না দেখে গত ১৮ মে শনিবার বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস।

Advertisement

আনোয়ারুল আজিম আনার ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একটানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীর একটি কারখানায় অভিযান, ৬৫ হাতবোমাসহ আটক ৩

Published

on

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমাসহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২২ মে) রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক জানান, পূর্ব-বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে অবৈধ হাতবোমা ও বোমা তৈরির কারখানার খবর পাওয়ার পর বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।  পরে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছালে অভিযান পরিচালনা করে  র‌্যাব-৩। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।

আটক হওয়াদের মধ্যে একজন এর আগেও বোমা তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলেও তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক বলেন, চলমান উপজেলা নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যেই বোমাগুলো এ কারখানায় তৈরি হচ্ছিল বলে তারা ধারণা করছেন। র‌্যাব ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এর আগে, রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার টেকপাড়া এলাকার ওই বাড়িতে হাতবোমাসহ বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানায় র‌্যাব। বুধবার (২২ মে) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা তখন জানায়, ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এই মুহুর্তে তাঁদের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version