দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার, বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ভারত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবেন অনন্য দুটি রেকর্ড নিয়ে। এ আসরটিতে অংশগ্রহণ করা ক্রিকেটারদের মাঝে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান এই টাইগারের।
২০০৭ বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া সাকিব ক্রিকেটের মেগা এই আসরটিতে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২৯টি ম্যাচ। যেখানে তার ঝুলিতে সংগ্রহ ৪৫.৮৪ গড়ে ১ হাজার ১৪৬ রান। রান গুলো সাকিব তুলেছেন ৮২.২৬ স্ট্রাইকরেটে। বিশ্বকাপে তার শতকের সংখ্যা ২। আর অর্ধশতক রয়েছে ১০টি।
বিশ্বকাপে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান বিরাট কোহলির। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। ৪৬.৮১ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৩০ রান। স্ট্রাইক রেট ৮৬.৭০। ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের শতকের সংখ্যা ২ টি, আর ৫০ ছুঁয়েছেন ৬ বার।
এই তালিকার তিনে অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। ১৮ ম্যাচে ৮২ গড়ে ৯৯২ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ৯৮.১২। অজি এই ওপেনারের শতক হাঁকিয়েছেন ৪ টি। আর অর্ধশতক ৩ টি।
তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে রোহিত শর্মা ৯৭৮ রান ও কেইন উইলিয়ামসন ৯১১ রান।
ছয় নম্বরে আছেন আরেক বাংলাদেশি মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার ২৯ ম্যাচ খেলে তুলেছেন ৮৭৭ রান। গড় ৩৮.১৩ স্ট্রাইক্র রেট ৭৯.৪৩ জাতীয় দলের হয়ে এখনো খেলে চলা ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব ও কোহলিই ন্যূনতম ১০০০ রান করেছেন বিশ্বকাপে।
সাকিব তো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর বিশ্বকাপে অলরাউন্ডারদের পারফরম্যান্স যাচাই করলেও দারুণ দারুণ এক রেকর্ডের মালিক তিনি। ক্রিকেটের সব থেকে জনপ্রিয় এই আসরটিতে ন্যূনতম ১ হাজার রান এবং অন্তত ৩০ উইকেট নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ২৯ ম্যাচে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
বর্তমানে জাতীয় দল কিংবা বিশ্বকাপে খেলা কোনো ক্রিকেটারই এই তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি সাকিবের সঙ্গে। অন্তত ২০ উইকেট এবং ন্যূনতম ১ হাজার রান করেছেন এমন দুইজন আছেন সাবেকদের তালিকায়। শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ৩৮ ম্যাচে ১১৬৫ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ২৭ উইকেট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ৩৬ ম্যাচে খেলে করেছেন ১১৪৮ রান সাথে শিকার করেছেন ২১ উইকেট।